কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি:
নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট) আসনে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও সাবেক ছাত্রদল নেত্রী ব্যারিস্টার পারভীর কাওসার মুন্নী দাবি করেছেন—দল যদি ত্যাগ, ক্লিন ইমেজ ও মাঠপর্যায়ে সক্রিয়তা বিবেচনায় মনোনয়ন দেয়, তবে সব সূচকে আমিই সবচেয়ে যোগ্য।
সম্প্রতি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরকাঁকড়ায় নিজ গ্রামের বাড়িতে আয়োজিত এক মতবিনিময় সময়ে তিনি স্থানীয় সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন।
রাজনীতিতে দীর্ঘদিনের সম্পৃক্ততা ও সক্রিয়তা তুলে ধরে ব্যারিস্টার মুন্নী বলেন, “কোম্পানীগঞ্জ সরকারি কলেজে ছাত্রদলের রাজনীতি থেকে শুরু করে সুপ্রিম কোর্টের আইন অঙ্গনে বিএনপির সব আন্দোলন-সংগ্রামে সক্রিয় থেকেছি। দলে ত্যাগ আছে, ক্লিন ইমেজ আছে—এই আসনের জন্য আমি উপযুক্ত প্রার্থী।”
তিনি জানান, দলীয় সকল কর্মসূচি, আইনি সহায়তা প্রদান এবং সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে করোনাকালীন সময় থেকে টানা কাজ করে যাচ্ছেন। স্থানীয় দরিদ্র জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছেন ত্রাণ, ঈদ উপহার এবং আইনি সেবার মাধ্যমে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে ব্যারিস্টার মুন্নী বলেন,
“আবেদ সাহেব যে একজন ছাত্রনেতা ছিলেন—এটি অস্বীকার করার কিছু নেই। তবে, তিনি বিগত ১৭ বছর নোয়াখালী-৫ আসনের রাজনৈতিক মাঠে কতটা সক্রিয় ছিলেন, তা এই এলাকার জনগণ এবং বিএনপির ত্যাগী নেতাকর্মীরা ভালোভাবেই জানেন।“দলীয় কোনো প্রমাণপত্র ছাড়াই নিজেকে ‘সাংগঠনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা’ বলা কতটা যৌক্তিক, তা দলীয় নেতাকর্মীরাই ভালো বুঝেন। আধিপত্য বিস্তারের কারণে তোতা চেয়ারম্যান ও যুবদল নেতা এরশাদ মাঝির মতো নেতাদের হত্যাকাণ্ড, দলীয় বিভাজনসহ নানা সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।”
দলীয় ঐক্য ও গ্রুপিং নিয়ে দলের বর্তমান অবস্থা নিয়ে তিনি বলেন, “এখন দলীয় কমিটি বিলুপ্ত হওয়ায় কর্মকাণ্ডে স্থবিরতা এসেছে। গ্রুপিং সবার চোখে দৃশ্যমান। তবে এখন নতুন কমিটি দিলে গ্রুপিং আরও বাড়তে পারে। আমাদের নেতা তারেক রহমানের নির্দেশনা অনুসারে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ না হলে নির্বাচনে কঠিন খেসারত দিতে হবে।”
দলীয় মনোনয়ন না পেলেও দলের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার অঙ্গীকার করে ব্যারিস্টার মুন্নী বলেন, “ধানের শীষ যিনি পাবেন, আমি তাকে বিজয়ী করার জন্য আন্তরিকভাবে কাজ করবো। কারণ বিএনপির জন্য আমার ত্যাগ রয়েছে, ভালোবাসা রয়েছে।”
তিনি আরও জানান, মহিলা সংরক্ষিত আসন নিয়েও তার দলের কাছে প্রত্যাশা থাকবে যদি সাধারণ আসনে ধানের শীষ না পান।
মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে কেউ কেউ জাতীয় পার্টি থেকে এসেছেন, কেউ জামায়াত থেকে এসেছেন। সেই প্রেক্ষাপটে আমি কতটা উপযুক্ত, কতটা ক্লিন ইমেজধারী—তা সিনিয়র নেতারা নিশ্চয়ই যথাযথভাবে বিবেচনা করবেন। আমি দীর্ঘদিন ধরে দলের সঙ্গে থেকে আন্দোলন সংগ্রামে অংশগ্রহণ করে মাঠে থেকেছি। তাই দলীয় সিদ্ধান্তের প্রতি আস্থা রেখে আমি মনোনয়নের প্রত্যাশা করছি।
পারিবারিকভাবে বিএনপির ঘরানা বিষয়ে ব্যারিস্টার মুন্নী জানান, তার স্বামী অ্যাডভোকেট নুরুল আলমও একজন আইনজীবী এবং তিনিও বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। ফলে পরিবারটি দলীয়ভাবে পুরোপুরি বিএনপি ঘরানার।