কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি :: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে রাজনৈতিক পরিচয়ে বেবীটেক্সি চালক থেকে দুর্ধর্ষ ক্যাডার হয়ে উঠেছে মিজান। চরকাঁকড়া ইউনিয়নের পেশকারহাট রাস্তারমাথা এলাকায় গড়ে তুলেছে মিজান বাহিনী। খুন, ধর্ষণের চেষ্টা, মাদককারবারী, চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজী, জবর দখল সহ এমন কোন বে-আইনী কর্মকান্ড নাই যা মিজান বাহিনী দ্বারা হয় না। তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা সহ রয়েছে থানায় বেশ কয়েকটি মামলা। এসব মামলায় গ্রেফতার হলেও জামিনে এসে নববলে বলিয়ান হয়ে পুরোদমে চালিয়ে বেড়াচ্ছে নানান সন্ত্রাসী কর্মকান্ড।
মিজান বাহিনীর প্রধান মিজানুর রহমান (৪৮) উপজেলার চরকাঁকড়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের রাস্তারমাথা এলাকার মৃত তোফাজ্জল আলম’র ছেলে। সরকার দল আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার আগে সে বেবীটেক্সি চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করত। আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর শ্রমিকলীগের ব্যানারে গড়ে তুলে তার নিজস্ব বাহিনী। তার হাত থেকে দলীয় নেতাকর্মীরাও নিস্তার পাচ্ছে না। ছোটখাটো বিরোধ নিয়ে অস্ত্রসস্ত্রে ঝাপিয়ে পড়ে অস্থিতিশীল করে তুলে এলাকার শান্ত পরিবেশ।
রবিবার (১৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বিনা উস্কানিতে অস্ত্রসস্ত্রে আক্রমণ করে আহত করে ছাত্রলীগের ১০ নেতাকর্মীকে। এদের মধ্যে ৪জন এখনও হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছে। এরা হল: মুজিব কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক এমদাদুল হক, বসুরহাট পৌর ৮নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক এহছানুল হক বিজয়, চরকাঁকড়া ইউপি’র সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হানিফ সবুজের ছেলে সাজ্জাদ হোসেন ও চরকাঁকড়া ৯নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক আমির হোসেন নোমান। এ আক্রমণে তার বাহিনীর কেউ আহত না হলেও প্রতিপক্ষের নামে থানায় মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ করে ভুক্তভোগীরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক স্থানীয়রা জানায়, সে আওয়ামীলীগের প্রবীণ নেতা গোলাম মাওলা সারেং হত্যা মামলার অন্যতম আসামী। এছাড়াও রাস্তারমাথা এলাকার আহছান উল্যাহ, আলা উদ্দিন নেতা, মনচুর আলী হাজী বাড়ীর পারভেজ, জয়নাল মিয়ার পুরান বাড়ীর হানিফ মিয়া, কাশেম মেম্বার, নির্ঝর গ্রæপের মালিক জয়নাল মিয়া সহ অনেক নিরীহ সাধারণ মানুষ তার অত্যাচারের শিকার। তার নিজ বাড়ীর জাহানারা নামের এক নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে সে।
এ ব্যাপারে মিজানুর রহমানের মোবাইল ফোনে বারবার কল করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আরিফুর রহমান জানান, মিজানের বিরুদ্ধে গতকাল এমদাদুল হক জয় নামের এক যুবক বাদী হয়ে মামলা দায়ের করে। তাকে গ্রেফতারে পুলিশের পাঁচটি টীম কাজ করছে। কোম্পানীগঞ্জে কোন বাহিনীর অনৈতিক কর্মকান্ড প্রতিরোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে।