সদর (নোয়াখালী) সংবাদদাতা :: সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণ ও খাগড়াছড়িতে মানসিক ভারসাম্যহীন আদিবাসী নারীকে গণধর্ষণকারীদের শাস্তির দাবিতে নোয়াখালী জেলা ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত। পুলিশের লাঠিচার্জ, আটক ৮।
সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) জেলা শহর মাইজদীর পৌর বাজারে সামনের সড়কে এ ঘটনা ঘটে।
বিক্ষোভ মিছিল শেষে প্রতিবাদ সমাবেশে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এসময় ছাত্রদলের ১৮ নেতাকর্মী আহত হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ছাত্রদলের ৮ নেতাকর্মীকে আটক করে।
আটককৃতরা হলো, পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম-আহবায়ক রাকিব বিল্লাহ তুষার, নোয়াখালী সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম সোহাগ, পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম-আহবায়ক রনি সারোয়ার, যুগ্ম-আহবায়ক মিনার, থানা ছাত্রদলের সুজন হাম্মাদী, পৌর ছাত্রদল আশরাফুল করিম পাভেল, নোয়াখালী সরকারি কলেজ ছাত্রদলের মুর্শীদুর রহমান রায়হান, ধর্মপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের এমরান সহ ৮ জন।
সোমবার সন্ধ্যায় জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আজগর উদ্দিন দুখু এক প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানান, সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ছাত্রলীগ কতৃর্ক স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণ ও খাগড়াছড়িতে মানসিক ভারসাম্যহীন আদিবাসী নারীকে গণধর্ষণকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের কর্মসূচীর অংশ হিসেবে জেলা ছাত্রদল বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করে। মিছিল শেষে পৌর বাজারে সমাবেশ করার সময় পুলিশ বিনাউস্কানিতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে লাঠিচার্জ করে ছাত্রদলের ১৮ জন নেতাকর্মীকে আহত করে এবং ৮জন নেতাকর্মীকে আটক করে।
সুধারাম মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সমাবেশ থেকে ছাত্রদলের ৮ নেতাকর্মীকে আটকের বিষয়ে জানান, ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ সমাবেশের মাধ্যমে শহরে অস্থিরতা সৃষ্টির সুযোগ নিচ্ছিল। এসময় পুলিশ আইন শৃঙ্খলা রক্ষার্থে ঘটনাস্থল থেকে ৮জন আটক করে।