কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি :: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে মৎস্য অধিদপ্তর থেকে নিবন্ধিত ২২৯টি জেলে কার্ডের চাল বিতরণে অনিয়ম ও দুর্নীতির ঘটনা ঘটেছে। গত বৃহস্পতিবার উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে জেলেদের খাদ্য সহায়তার চাল বিতরণে এ অনিয়ম ও দুর্নীতির ঘটনা ঘটে।
একাধিক জেলে কার্ডধারীর অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রত্যেক কার্ড প্রতি ৮০ কেজি করে চাল বরাদ্দ থাকলেও, তারা কার্ডপ্রতি ৬৮ থেকে ৭০ কেজি চাল পেয়েছেন। তবে কি কারণে বরাদ্দের চেয়ে কম চাল পেয়েছেন, সে বিষয়ে কার্ডধারীরা কিছু জানাতে পারেনি। অপরদিকে, তালিকাভুক্ত ৭১ জন জেলে কার্ডধারী স্থান পরিবর্তন করার কারণে তাদের কার্ডের চাল বিতরণ স্থগিত করা হয়েছে।
সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, জেলেদের বিনামূল্যে চাল বিতরণে দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্যাগ অফিসার নজরুল ইসলামের অনুপস্থিতে ২২৯টি জেলে কার্ডের চাল বিতরণ করা হয়েছে। এ সময় চেয়ারম্যান ইউনিয়ন পরিষদের তৃতীয় তলায় অবস্থান করলেও চাল বিতরণ স্থলে ছিলেন না। পরে গণমাধ্যম কর্মীদের উপস্থিতির কথা শুনে তিনি চাল বিতরণস্থলে আসেন।
ট্যাগ অফিসার নজরুল ইসলাম জানান, চেয়ারম্যান তাকে না জানিয়ে আজকে এ চাল বিতরণ করেছেন। তবে কোন কার্ডধারীকে ৮০ কেজির থেকে ওজনে কম চাল দেওয়ার কোন সুযোগ নেই।
চর ফকিরা ইউনিয়দ পরিষদ চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন লিটন জানান, তিনি চাল বিতরণস্থলে না থাকার কারণে হয়তো ওজনে একটু কম হয়েছে।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফরসাল আহমেদ গণ মাধ্যমকে জানান ,যারা কম পাচ্ছে তারা লিখিতভাবে অভিযোগ করলে আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবো।