ফেনী সংবাদদাতা :: ঢাকায় কিডনি সমস্যাজনিত রোগে হাজেরা বেগমের (৬০) মৃত্যু হয়। কিন্তু করোনাভাইরাস সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ভেবে ফেনীতে তাঁর লাশ দাফনে বাধা দিয়েছে এলাকাবাসী। সোমবার দিবাগত রাতে ফেনী সদর উপজেলার শর্শদী ইউনিয়নের আবুপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে ফেনী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) হস্তক্ষেপে লাশ দাফন করা হয়।
ইউএনও নাসরীন সুলতানা ও স্থানীয় শর্শদি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জানে আলম ভূঁঞা জানান, কিডনি সমস্যাজনিত রোগে অসুস্থ হয়ে ওই নারী ঢাকার কল্যাণপুর এলাকায় একটি বেসরকারি কিডনি হাসপাতালে মারা যান। মৃতের স্বজনেরা রাত ১০টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সে করে লাশ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসেন। খবর পেয়ে স্থানীয়রা তাদের বাধা দেয়। একপর্যায়ে গ্রামের কিছু লোক লাঠিসোঁটা নিয়ে লাশ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সে ভাঙচুর চালায়। পরে ফেনী সদর থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ফেনী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন বলেন, করোনায় মৃত্যু ভেবে লাশ দাফনে বাধা দেওয়া হয়েছিল। পরে রাতেই ফেনী পৌরসভার সুলতানপুর পৌর কবরস্থানে লাশ দাফন সম্পন্ন হয়।
মারা যাওয়া বৃদ্ধ নারীর ভাই কামাল উদ্দিন মোল্লা বলেন, চেয়ারম্যানের সঙ্গে যোগাযোগ করে বাড়িতে লাশ নিয়ে আসা হয়। আবুপুর গ্রামে আসার পর স্থানীয় কিছু স্বার্থান্বেষী মানুষ অ্যাম্বুলেন্স অবরোধ ও ভাঙচুর করে লাশ দাফনে বাধা দেয়। তাঁর বোন করোনায় আক্রান্ত ছিলেন না। কয়েকজন মানুষ তাঁদের জায়গা জমি দখল করে রেখেছে, তারা এই ষড়যন্ত্র করেছে।