ইতালিতে করোনায় মৃত্যুবরণকারী প্রথম বাংলাদেশি কোম্পানীগঞ্জের গোলাম মাওলা

Date:

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :: করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ইতালির মিলানে গোলাম মাওলা (৬০) নামে এক বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এটি ইতালিতে এই রোগে প্রথম কোনো বাংলাদেশির মৃত্যু।

করোনাভাইরাসে মৃত্যুবরণ করা গোলাম মাওলার গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের রামপুর ইউনিয়নে। তিনি ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের মাদ্রাসা রোডের হিরা চৌধুরী বাড়ির হাফেজ আলী আকবর’র ছেলে। তিনি অনেক দিন ধরে সর্দি-কাশি ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগছিলেন। পরীক্ষার পর তার শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। এরপর থেকে মিলানোর নিগোয়ারদা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

গোলাম মাওলা ইতালির মিলান শহরে বসবাস করতেন। তার মৃত্যুতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে। এছাড়া প্রবাসীদের মাঝে আতঙ্ক বেড়ে গেছে। তার স্ত্রীও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের এক ছেলে ও এক মেয়েসহ পুরো পরিবারকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। গোলাম মাওলার মরদেহ মিলানের নিগোয়ারা হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

 মরণব্যাধি করোনাভাইরাসে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে ইতালিতে। গত  ২৪ ঘণ্টায় ৬২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ইতালিতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৪ হাজার ৩২ জনে। এছাড়াও কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৫ হাজার ৯৮৬ জন। এ নিয়ে সেখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৭ হাজার ২১ জন। 

ইউরোপের দেশটিতে এখনও ৩৭ হাজার ৮৬০ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এদের মধ্যে অন্তত ২ হাজার ৬৫৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন প্রায় ৫ হাজার ১২৯ জন। 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Share post:

Subscribe

Popular

More like this
Related

মুছাপুর নদী ভাঙনে শত বছর পুরনো বাড়ীঘর বিলীন হয়ে যাচ্ছে

এএইচএম মান্নান মুন্না:ডাকাতিয়া নদীর তীব্র ভঙ্গনে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার...

এখনো নোয়াখালীতে পানিবন্দি হাজারো মানুষ

এএইচএম মান্নান মুন্না :দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে গেল স্মরণাতীতকালের ভয়াবহ বন্যা।এরমধ্যে ফেনীর পানি নেমে গেলেও নোয়াখালীতে এখনো কাটেনি বন্যার রেশ।  গত ১৫ দিন ধরে পানিবন্দি নোয়াখালীর বিভিন্নউপজেলার কয়েক হাজার মানুষ ফলে সেখানকার বন্যার্ত মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। বন্যা-পরবর্তী খাদ্য সংকটের পাশাপাশি প্রাদুর্ভাববেড়েছে পানিবাহিত বিভিন্ন রোগের।তাদের ঘরগুলোও এখনো বসবাস অনুপযোগী।সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন নারী-শিশু ও বৃদ্ধরা।শুক্রবার দিনভর নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার ৯ নম্বর দেউটি ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায় বানভাসি মানুষের দুর্ভোগ আর অসহায়তার চিত্র।সেখানকার অধিকাংশ রাস্তাঘাটে এখনো হাঁটুসমান পানি।কোথাও বা তার একটু নিচে।ইউনিয়নের নবগ্রামের ব্যাপারি বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, বাড়ির সাতটি পরিবারই পানিবন্দি।সবার রান্নাঘরে পানি এখনো থৈ থৈ করছে।ঘরবাড়ী থেকে পানি নেমে গেলেও কাদামাটির মধ্যেই বসবাস করছেসাত পরিবারের প্রায় ৪০ জন সদস্য কোনো ঘরেই নেই মাটির চুলায় রান্নার ব্যবস্থা।শিশু,বৃদ্ধ আর অসুস্থ মানুষদের নিয়ে এই পরিবারগুলো পানিবন্দি দিন কাটাচ্ছে।এক সপ্তাহ ঘরে বাজার ছিল না, কোনো রকম শুকনো খাবার খেয়ে দিন পার করেছি।পানি আর কাদামাটিতে চলাচল করতে করতে পায়ে ক্ষত য়ে গেছে। পানি নামছেই না।ঘরের ভেতর ইট, কাঠ আর পাটের বস্তা বিছিয়ে হাঁটাচলা...

কাদের মির্জাসহ ৪৭ জনের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীর মামলা

কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি :: বসুরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র কোম্পানীগঞ্জ...

একজন কর্মীবান্ধব ও মানবিক নেতা কামাল উদ্দিন

কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি :: একজন প্রকৃত নেতা তিনিই যিনি...