Home Blog Page 148

করোনা ভাইরাসের কারনে সৃষ্ট পরিস্থিতি থে‌কে উত্তর‌ণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ৩১ নির্দেশনা

0

নিউজ ডেস্ক ::করোনাভাইরাসের কার‌ণে সৃষ্ট পরিস্থিতি থে‌কে উত্তর‌ণের জন্য ৩১ নি‌র্দেশনা দি‌য়ে‌ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর ম‌ধ্যে কেউ আক্রান্ত হ‌লে তা‌কে লু‌কোচু‌রি না ক‌রে অবশ্যই চি‌কিৎস‌কের কা‌ছে যাওয়ার নি‌র্দেশ দি‌য়ে‌ছেন তি‌নি। এছাড়া ব্য‌ক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পি‌পিই) সাধারণ মানুষ‌কে না প‌রে শুধুমাত্র চি‌কিৎসক ও চি‌কিৎসা সং‌শ্লিষ্ট‌দের পরার ব্যাপা‌রে গুরুত্বারোপ ক‌রে‌ছেন তি‌নি।

বৃহস্প‌তিবার (২ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং‌য়ের ফেসবুক পে‌জে এই নি‌র্দেশনাগু‌লো দেয়া হ‌য়ে‌ছে। নি‌র্দেশনাগু‌লো হ‌চ্ছে-

১) করোনাভাইরাস সম্পর্কে চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এ ভাইরাস সম্পর্কিত সচেতনতা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে হবে;

২) লুকোচুরির দরকার নেই, করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা দিলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হন;

৩) পিপিই সাধারণভাবে সকলের পরার দরকার নেই। চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট সকলের জন্য পিপিই নিশ্চিত করতে হবে। এই রোগ চিকিৎসায় ব্যবহৃত পিপিই, মাস্কসহ সকল চিকিৎসা সরঞ্জাম জীবাণুমুক্ত রাখা এবং বর্জ্য অপসারণের ক্ষেত্রে বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে;

৪) কোভিড-১৯ রোগের চিকিৎসায় নিয়োজিত সকল চিকিৎসক, নার্স, ল্যাব টেকনিশিয়ান, পরিচ্ছন্নতাকর্মী, অ্যাম্বুলেন্স চালকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিশেষ অগ্রাধিকার প্রদান করতে হবে;

৫) যারা হোম কোয়ারেন্টাইনে বা আইসোলেশনে আছেন, তাদের প্রতি মানবিক আচরণ করতে হবে;

৬) নিয়মিত হাত ধোয়া, মাস্ক ব্যবহার ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ এক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন;

৭) নদীবেষ্টিত জেলাসমূহে নৌ-অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করতে হবে;

৮) অন্যান্য রোগে আক্রান্তদের যথাযথ স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং চিকিৎসাসেবা অব্যাহত রাখতে হবে;

৯) পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে হ‌বে। সারাদেশের সকল সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও উপজেলা পরিষদকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম আরও জোরদার করতে হবে;

১০) আইনশৃঙ্খলা বিষয়ে দৃষ্টি দিতে হবে। জাতীয় এ দুর্যোগে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সশস্ত্র বাহিনীসহ সকল সরকারি কর্মকর্তাগণ যথাযথ ও সুষ্ঠু সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করে যাচ্ছেন-এ ধারা অব্যাহত রাখতে হবে;

১১) ত্রাণকাজে কোনো ধরনের দুর্নীতি সহ্য করা হবে না;

১২) দিনমজুর, শ্রমিক, কৃষক যেন অভুক্ত না থাকে। তাদের সাহায্য করতে হবে। খেটে খাওয়া দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য অতিরিক্ত তালিকা তৈরি করতে হবে;

১৩) সোশ্যাল সেফটিনেস কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে;

১৪) অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড যেন স্থবির না হয়, সে বিষয়ে যথাযথ নজর দিতে হবে;

১৫) খাদ্য উৎপাদন ব্যবস্থা চালু রাখতে হবে, অধিক প্রকার ফসল উৎপাদন করতে হবে। খাদ্য নিরাপত্তার জন্য যা যা করা দরকার করতে হবে। কোনো জমি যেন পতিত না থাকে;

১৬) সরবরাহ ব্যবস্থা বজায় রাখতে হবে যাতে বাজার চালু থাকে;

১৭) সাধারণ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে;

১৮) জনস্বার্থে বাংলা নববর্ষের সকল অনুষ্ঠান বন্ধ রাখতে হবে যাতে জনসমাগম না হয়। ঘরে বসে ডিজিটাল পদ্ধতিতে নববর্ষ উদযাপন করতে হবে;

১৯) স্থানীয় জনপ্রতিনিধিগণ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সমাজের সকল স্তরের জনগণকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রশাসন সকলকে নিয়ে কাজ করবে;

২০) সরকারের পাশাপাশি সমাজের বিত্তশালী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানসমূহ জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সঙ্গে সমন্বয় করে ত্রাণ ও স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম পরিচালনা করবেন;

২১) জনপ্রতিনিধি ও উপজেলা প্রশাসন ওয়ার্ডভিত্তিক তালিকা প্রণয়ন করে দুস্থদের মধ্যে খাবার বিতরণ করবেন;

২২) সমাজের সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী যেমন-কৃষি শ্রমিক, দিনমজুর, রিকশা/ভ্যানচালক, পরিবহন শ্রমিক, ভিক্ষুক, প্রতিবন্ধী, পথশিশু, স্বামী পরিত্যক্তা/বিধবা নারী এবং হিজড়া সম্প্রদায়ের প্রতি বিশেষ নজর রাখাসহ ত্রাণ সহায়তা প্রদান নিশ্চিত করতে হবে;

২৩) প্রবীণ নাগরিক ও শিশুদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে;

২৪) দুর্যোগবিষয়ক স্থায়ী আদেশাবলী (এসওডি) যথাযথভাবে প্রতিপালনের জন্য সকল সরকারি কর্মচারী ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে এগিয়ে আসতে হবে;

২৫) নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের উৎপাদন, সরবরাহ ও নিয়মিত বাজারজাতকরণ প্রক্রিয়া মনিটরিংয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সং‌শ্লিষ্ট‌দের কাজ করতে হবে;

২৬) আতঙ্কিত হয়ে অতিরিক্ত পণ্য ক্রয় করবেন না। খাদ্যশস্যসহ প্রয়োজনীয় সকল পণ্যের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে;

২৭) কৃষকগণ নিয়মিত চাষাবাদ চালিয়ে যাবেন। এক্ষেত্রে সরকারি প্রণোদনা অব্যাহত থাকবে;

২৮) সকল শিল্প মালিক, ব্যবসায়ী ও ব্যক্তি পর্যায়ে নিজ নিজ শিল্প ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এবং বাড়িঘর পরিষ্কার রাখবেন;

২৯) শিল্প মালিকগণ শ্রমিকদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে নিজেদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করে উৎপাদন অব্যাহত রাখবেন;

৩০) গণমাধ্যমকর্মীরা জনসচেতনতা সৃষ্টিতে যথাযথ ভূমিকা পালন করে চলেছেন। এক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের গুজব ও অসত্য তথ্য যাতে বিভ্রান্তি ছড়াতে না পারে, সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে এবং

৩১) গুজব রটানো বন্ধ করতে হবে। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে নানা গুজব রটানো হচ্ছে। গুজবে কান দেবেন না এবং গুজবে বিচলিত হবেন না।

কবিরহাটে অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার

0

কবিরহাট (নোয়াখালী) সংবাদদাতা ::  নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার সোন্দলপুর ইউনিয়ন থেকে অজ্ঞাত (৩২) এক যুবকের ঘাড় কাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার  দিকে কবিরহাট-সোনাপুর সড়কের সোন্দলপুর চৌরাস্তা মিয়া বাড়ী (হাতাইল্যাপোল) সংলগ্ন সড়কের পাশ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য (মেম্বার) নজরুল ইসলাম বলেন, ভোরে ফজরের নামাজ শেষ করে স্থানীয় মসজিদ থেকে লোকজন বের হলে মিয়া বাড়ী এলাকার সড়কের পাশে কম্বল পেঁছানো অবস্থায় একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে বিষয়টি থানায় অবগত করা হয়। খবর পেয়ে কবিরহাট থানা পুলিশ ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগশন (পিবিআই) একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতের লাশ উদ্ধার করে।

কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির্জা মোহাম্মদ হাছান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নিহতের ঘাড়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কাটা হয়েছে। তার পা বাধা ছিল। ধারণা করা হচ্ছে রাতে কোন একসময় দূর্বৃত্তরা এ যুবককে হত্যা করে ট্রাক বা কাভার্ডভ্যান থেকে পেলে দিয়ে গেছে। নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হবে। এ ঘটনায় পরবর্তীতে প্রয়জনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

যুক্তরাষ্ট্রে ২৪ ঘন্টায় আরো ১৮ বাংলাদেশির মৃত্যু

0

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :: যুক্তরাষ্ট্রে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরো ১৮ বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। বুধবার ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে এই প্রাণহানীর ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে দেশটিতে করোনা ভাইরাসে মোট ৫৩ বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। বেশিরভাগ বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে নিউ ইয়র্কে অঙ্গরাজ্যে।

ঢাকায় প্রাপ্ত খবরে বলা হয়েছে, উবার ও ট্যাক্সিচালকদের বড় একটি অংশ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে এদের সংখ্যাই বেশি। তবে বাংলাদেশিদের মৃত্যুর সংখ্যা যেমন বেড়েছে তেমনি অনেকেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ১৬ হাজার ছাড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৫ হাজারের বেশি মানুষের। এর মধ্যে নিউ ইয়র্কেই মৃত্যু হয়েছে এক হাজার সাড়ে তিনশো মানুষের। পরিস্থিতি মোকাবেলায় নিউ ইয়র্কে অনেকগুলো অস্থায়ী হাসপাতাল তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া ২০টি হোটেলে ১০ হাজার শয্যার হাসপাতাল করা হয়েছে।

সুবর্ণচরে দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে প্রাণ গেল কিশোরের

0

সুবর্ণচর (নোয়াখালী) সংবাদদাতা :: নোয়াখালীর সুবর্ণচরে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে এনায়েত উল্যাহ বাপ্পী (১৬) নামের এক কিশোর নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় দুই মোটরসাইকেলের আরও তিন আরোহী আহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে চেয়ারম্যানঘাট-সোনাপুর সড়কের বৈরাগী রাস্তার মাথার চরজব্বর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত এনায়েত উল্যাহ বাপ্পী চরবজলুল করিম গ্রামের নূর আহম্মদের ছেলে। আহতরা হলেন, চরবজলুল করিম গ্রামের নিজাম উদ্দিন (১৭), চরজুবলী এলাকার আরাফাত হোসেন (৩৮) ও একই এলাকার মোস্তাক আহম্মেদ (৩০)।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাতে বাপ্পী ও নিজাম চেয়ারম্যানঘাট-সোনাপুর সড়ক দিয়ে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরছিল। পথে তাদের মোটরসাইকেলটি চরজব্বর ফায়ার সার্ভিসের দক্ষিণ পাশে পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা অপর একটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে দুটি মোটরসাইকেলে থাকা চার আরোহী গুরুতর আহত হয়। স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে চরজব্বর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে অবস্থার অবনতি হলে তাদেরকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক এনায়েত উল্যাহ বাপ্পীকে মৃত ঘোষণা করেন।

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. সৈয়দ মো. আব্দুল আজিম জানান, রাতে মৃত অবস্থায় এনায়েত উল্যাহ বাপ্পী নামের ওই কিশোরকে হাসপাতালে আনা হয়।

চরজব্বার থানার ওসি শাহেদ উদ্দিন চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, লাশ নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে মোটরসাইকেল দুটি উদ্ধার করা হয়েছে।

অহন না খায় মরি গেলে কবর দিব কে?

0

আবু জাফর সোহেল :: ‘চুলায় আগুন জ্বলে না কয়েক দিন। রাস্তায় মানুষ নাই, কার কাছে ভিক্ষা চামু, যে কজন দেখা যায়, কাছে গেলে দূর দূর করে। আশেপাশের বাসা-বাড়িতেও ডুকতে দেয়। কি রোগ আইছে হুবাই খালি দূর দূর করে। কি করম। অহন না খায় মরি গেলে কবর দিবে কে? আঁর তো আপন কেউ নাই।’

কান্নাজড়িত কণ্ঠে কথাগুলো বললেন, ছিন্নমূল নারী মরিয়ম। মরিয়মের বাড়ী নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ থানার রামপুর ইউনিয়নে। বয়সের ভারে সোজা হয়ে হাঁটতেও পারেন না। থাকেন রাজধানীর মতিঝিলের সোনালী ব্যাংক কলোনির পাশে ময়লার স্তূপের পাশে ঝুপড়ির মধ্যে। স্বজনহীন এ বৃদ্ধার বয়স প্রায় ৭০। জমির খাজনা দিতে না পারায় ভিটেবাড়িসহ সবকিছু হাতছাড়া হয়ে যায়।

বিয়ের পরপরই স্বামী মারা যান। এলাকায় থাকার জায়গা পাননি। বাঁচার তাগিদে ঢাকায় চলে আসেন কবে সেই কথাও স্মৃতি থেকে মুছে গেছে । মরিয়াম বলেন, ‘হে সময় তো জোয়ান ছিলাম। এক বেডা বিয়ার কথা কইয়া ঢাকায় লইয়া আইছে। কয়দিন একলগে রাখছে তারপর হেই ব্যাংকের পিছে হালাই থুই চলি গেছে। হেতারে তো আর খুঁজি পায়নো। ২৫-৩০ বছর আগের কথা। অন তো বুড়ি হই গেছি। আর কেউ খোঁজ নেয় না। হুবাই খালী দূর দূর করে’

ছবি তুলতে চাইলে সরে যেতে চাইলো। তখন বললাম পত্রিকা থেকে আসছি। তখন হাসির দিয়ে বলে ‘মামা চিনি গো চিনি। আপনের পত্রিকাতো চিনি। আননে বুঝি হিয়ানে থাকেন।’

তিনি বলেন, ‘মামা গো আই কিততাম, হেডের জ্বালা তো সহ্য করতে হারিনা, দেহেন হেন্দার কাপরানও চিরি গেছে, অহন আই যদি না খায় মরি যায় আননেরা আরে কবর দিয়েন’ গত কয়েকদিন ধরে অঘোষিত লকডাউনে রাজাধানীর জনজীবন থমকে গেছে। এতে বিশেষ করে ছিন্নমূল মানুষেরা খুব বিপদে পড়েছেন। তাদের নাভিশ্বাস অবস্থা। সব ধরণের খাবারের দোকান বন্ধ থাকায় কেউ সাহায্য করলেও সেই টাকা দিয়ে খাবারও কিনতে পারছেন না।

সুবর্ণচরে করোনা সন্দেহে চার বাড়ি লকডাউন

0

সুবর্ণচর (নোয়াখালী) সংবাদদাতা :: নোয়াখালীতে করোনা সন্দেহে একজন অটোরিকশা চালকের বাড়িসহ চারটি বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করেছে স্থানীয় প্রশাসন। রোববার (২৯ মার্চ) দুপুরে উপজেলার পূর্বচরবাটা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের যোবায়ের বাজার এলাকার ওই চার বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করা হয়। সুবর্ণচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এএসএম ইবনুল হাসান ফোনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, ওই অটোরিকশা চালকের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য চট্টগ্রামে পাঠানো হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট হাতে না আসা পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে চার বাড়ি পুরোপুরি লকডাউন ঘোষণা করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারিতে রাখা হয়েছে।

অপরদিকে স্থানীয়রা বলছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে পুলিশ ওই বাড়িগুলো পাহারায় রেখেছে।

এ বিষয়ে সুবর্ণচর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শাহেলা আফরোজা ঝুমা জানান, ওই রিকাশাচালক নোয়াখালীর মাইজদী শহরের হাসপাতাল রোডে অটোরিকশা চালাত। গতকাল শনিবার সে সুবর্ণচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসে ডাক্তার দেখাতে। তখন তাকে পরীক্ষা নিরীক্ষা করলে করোনা ভাইরাস (কোভিড ১৯) কয়েকটি উপসর্গ তার শরীরে দেখা যায়। এ ছাড়া তার অন্য চিকিৎসা সেবা অব্যাহত আছে। পরবর্তীতে নমুনা সংগ্রহের রিপোর্ট হাতে পেলে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানা যাবে।

নোয়াখালীতে সেনাবাহিনী ও পুলিশের বিভিন্ন জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম

0

সদর (নোয়াখালী) সংবাদদাতা :: নোয়াখালীতে করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে লিফলেট ও প্ল্যাকার্ডসহ মাইকিংয়ের মাধ্যমে সচেতনতা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও পুলিশ।

শনিবার সকালে নোয়াখালী বেগমগঞ্জ চৌমুহনী এলাকা থেকে তারা প্রথম প্রদর্শনী কার্যক্রম শুরু করে নোয়াখালীর জেলার প্রধান শহর প্রদর্শন করেন তারা।

এই কার্যক্রমের আওতায় জনসচেতনতা সৃষ্টিতে পায়ে হেঁটে মাইকিং করে করোনা নিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি না করার আহ্বান জানানো হয়। করোনা থেকে রক্ষা পেতে কিভাবে চলাফেরা করতে হবে সে বিষয়েও লিফলেটও বিতরণ করা হয়। সেই সঙ্গে সকলকে ঘর থেকে অকারণে বাহিরে বের না হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

একই সাথে বিভিন্ন দোকানের সামনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে ব্লক পদ্ধতিতে সাধারণ মানুষকে কেনাকাটা করার জন্য ব্লক একে সেখানে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করেছেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন মেজর কামরুল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেগমগঞ্জ সার্কেল শাহজাহান শেখ, বেগমগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ হারুনুর- রশীদ চৌধুরী, বেগমগঞ্জ সহকারী ভূমি কর্মকর্তা সারোয়ার কামাল।

চৌমুহনিতে সর্দি-কাশি ও জ্বর আক্রন্ত হয়ে যুবকের মৃত্যু, ভবন ঘিরে রেখেছে পুলিশ

0

বেগমগঞ্জ (নোয়াখালী) সংবাদদাতা :: নোয়াখালীর বাণিজ্যিক শহর চৌমুহনীতে সর্দি-কাশি ও জ্বর আক্রন্ত এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী পাবলিক হলের পাশের একটি ভবনে ওই যুবকের মৃত্যুর খবর পেয়ে রাতেই পুরো ভবনটি কোয়ারেন্টাইন ঘোষণা করে স্থানীয় প্রশাসন। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ভবনটি ঘিরে রেখেছে।

বেগমগঞ্জ মডেল থানা পুলিশের ওসি হারুনুর রশিদ জানান, আনুমানিক ২৩ বছর বয়সী ওই যুবক চৌমুহনীতে এক চিকিৎসকের চেম্বারে সহকারী হিসেবে কাজ করতেন। গত এক সপ্তাহ ধরে তিনি জ্বরে ভুগছিলেন। দুই দিন থেকে এক মেডিসিন বিশেষজ্ঞের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী বাসায় তার চিকিৎসা চলছিল। বৃহস্পতিবার রাতে তার বমির সঙ্গে রক্ত যেতে থাকে। এরপর স্বজনরা তাকে অ্যাম্বুলেন্সযোগে জেলা সদরের ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম বলেন, হাসপাতালে এক যুবককে আনার পর জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সম্ভবত ওই তরুন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।

ওই যুবককে চিকিৎসা দেয়া চিকিৎসক জানান, গত মঙ্গলবার ওই যুবককে তার কাছে আনা হয়। তখন তাকে জানানো হয় ওই তরুণ ছয়-সাত দিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন। তিনি অবস্থা জানার পর প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেন। সন্ধ্যায় তার বমি হচ্ছে এবং সঙ্গে রক্ত যাচ্ছে জানানোর পর তিনি দ্রুত জেনারেল হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেন।

এ ব্যপারে বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. অসীম কুমার দাস জানান, বিষয়টি আইইডিসিআরকে জানানো হয়েছে। নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। ভবনটি হোম কোয়ারেন্টাইন ঘোষণা করে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারিতে রাখা হয়েছে।

খালেদা জিয়ার চিকিৎসা তদারকি করবেন পুত্রবধূ জোবায়দা

0

নিউজ ডেস্ক :: বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) থেকে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তার চিকিৎসার সার্বিক তদারকি করবেন পূত্রবধূ ডা. জোবায়দা রহমান। পরিবারের সদস্য ও দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে কাছে পেয়ে তিনি মানসিকভাবে অনেকটাই শক্তিশালী বোধ করছেন বলে জানালেন বিএনপি নেতারা।

দীর্ঘ ২ বছরের বেশি সময় পর বাড়ি ফিরেছেন বেগম খালেদা জিয়া। করোনাভাইরাস পরিস্থিতি বিবেচনায় গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন বিএনপি নেত্রী। তাকে বাসাতেই চিকিৎসা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন ছোট বোন সেলিমা ইসলাম।

টেলিফোনে তিনি বলেন, উনার তো শ্বাসকষ্ট হচ্ছে, কথা বলতে পারছেন না, উঠে দাঁড়াতে পারছেন না। হাঁটতে পারছেননা, বসে থাকতেও বেশিক্ষণ পারছেন না, গায়ে হাত দিলেই ব্যথা লাগছে তার। খাওয়া দাওয়াও করতে পারছেন না, খেলেই বমি হয়ে যাচ্ছে। মুভ করানোর মতো অবস্থা নাই। তারও মতামত বাসাতেই থাকবেন। বিএনপি চেয়ারপার্সনের চিকিৎসার সার্বিক বিষয়ে তত্ত্বাবধান করছেন পুত্রবধূ ড. জোবায়দা রহমান। চিকিৎসা করছে দলের গঠিত মেডিকেল বোর্ড।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন, অন্য যেসব চিকিৎসকরা আগে তাকে দেখতেন, তাদেরকে দিয়েই এই বোর্ড করা হয়েছে।  বুধবার প্রায় দুই ঘণ্টা পর্যবেক্ষণ শেষে আগের চিকিৎসা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরার্মশ দেয় ৬ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড।

পরিবার ও দলীয় নেতাকর্মীদের দেখার পর মানসিকভাবে অনেকটাই চাঙা হয়ে উঠেছেন বলে জানালেন বিএনপির ভাইস চেয়াম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ।

তিনি বলেন, কোয়ারেন্টাইনে যে সমস্ত প্যারামিটার থাকে সেগুলো দেখার জন্য উনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক আছেন, নার্স আছে। তারাই উনাকে দেখাশোনা করবেন। বিএসএমএমইউ-তে যে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল সেগুলোই কিছুটা মডিফাই করে ঠিক করা হয়েছে। বাকিটা একই আছে। মানসিকভাবে পরিবারের সদস্যদের কাছে পেয়ে হয়তো কিছুটা ভালো আছেন, শারীরিকভাবে কিন্তু তিনি সত্যিই খুব খারাপ অবস্থায় আছেন।

দুর্নীতির দুই মামলায় ২ বছরের বেশি সময় সাজাভোগের পর শর্তসাপেক্ষে ৬ মাসের জন্য মুক্তি পান বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।

সূত্র: সময়টিভি

নোয়াখালীতে ছাত্রলীগ কর্মী শুভ হত্যার বিচার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

0

সদর (নোয়াখালী) সংবাদদাতা ::নোয়াখালী পৌর এলাকার সোনাপুরে সন্ত্রাসী হামলায় আবুল কালাম শুভ (২২) নামে ছাত্রলীগের এক কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করার প্রতিবাদে  দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করেছে নিহতের পরিবার। নিহত শুভ মহব্বতপুর গ্রামের মৃত আক্রাম উদ্দিনের পুত্র ও সোনাপুর কলেজ ছাত্রলীগের কর্মী ।

সংবাদ সম্মেলনে নিহতের বড় ভাই মোঃ রুবেল জানান, গত ২২ মার্চ রাত ১০টায় কালিতারা কাঞ্চন মেম্বারের পোল লিংক রোড় দিয়ে আসার পথে আবদুর জাহের ওরফে পাকশী হারুন, ফরহাদ, বুলবুল, অপু, সোহেল, শাকিলসহ কিছু সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র দিয়ে অতর্কিতভাবে তার উপর হামলা চালিয়ে কুপিয়ে জগম করে।

পরে স্থানীয় এলাকার লোকজন শুভকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করলে রাতে তার অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৪ মার্চ রাতে তার মৃত্যু হয়। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে নিহতের পরিবার জানান।

সংবাদ সম্মেলনে নিহতের পরিবার ছাড়াও জেলা আওয়ামী লীগ নেতা খালেদ মোশাররফ মনজু, জেলা পরিষদ সদস্য ও সিএনজি মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. কামাল উদ্দিন, যুবলীগ নেতা আরিফ খান হৃদয়, সোনাপুর কলেজ ছাত্রলীগ নেতা আবদুল হাকিম রাজু বক্তব্য রাখেন। বক্তারা এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী, স্থানীয় সংসদ সদস্যের হস্তক্ষেপ কামনা করে অবিলম্বে হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি করেন।