Home Blog Page 159

ব্রীজের ওপর অবৈধ সিএনজি স্ট্যান্ড শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হবার পরে কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থা গ্রহন

0

ইসমাইল হোসেন টিটু :: গত ২০ আগষ্ট বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় ব্রীজের ওপর অবৈধ সিএনজি স্ট্যান্ড শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হবার পরে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করেছে যথাযথ কর্তৃপক্ষ। প্রকাশ হওয়ার ৭ দিন পরে ২৭ আগষ্ট কর্তৃপক্ষ মাঠে নামে এবং অবৈধ সিএনজি স্ট্যান্ড এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করে। এই দিন ১৮ টি সিএনজি সহ ৩টি লেগুনা ডাম্পিং করা হয়। সকালের এই অভিযানের পরে বিকালে দেখা যায় না বুড়িগঙ্গা ব্রীজের ওপর সেই চিরচেনা জ্যামজটের দৃশ্য। এতে এলাকার আশে পাশের জনমনে স্বস্তি ফিরে এসেছে।

রাজু নয়াবাজারের একজন কাগজের ব্যবসায়ী তিনি বলেন আমি আজকে ৫ বছর এখানে কাগজের ব্যবসা করে আসছি আমার বাসা কেরানীগঞ্জ মডেল টাউন অথচ দুঃখের বিষয় হল আমার বাসা থেকে আমার দোকান পর্যন্ত আসতে সময় লাগে পাঁচ মিনিট । আর এই সিএনজি ব্রীজের উপরে স্ট্যান্ড তৈরি করার করার ফলে তীব্র যানজটের শিকার হয়ে প্রতিদিন ৫ মিনিটের জায়গায় সময় লাগে আধা ঘন্টা থেকে এক ঘন্টারও বেশী । গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি তুলে ধরার জন্য সাংবাদিক সমাজকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানান এবং বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিয়েছেন তাদেরকেও ধন্যবাদ জানাই কিন্তু এই ধারাবাহিকতা প্রতিনিয়ত অব্যাহত যেন থাকে ।

এ বিষয়ে লালবাগ জোনের এডিসি বলেন, এ অভিযান আমাদের প্রতিনিয়ত অব্যাহত থাকবে সাধারণ মানুষ যেন ব্রিজের উপরে নিরাপদ ভাবে চলাফেরা করতে পারে সেই সহযোগিতা আমরা করে যাবো এটা আমাদের দায়িত্ব।

বেগমগঞ্জে অস্ত্র মামলায় ৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার

0

বেগমগঞ্জ (নোয়াখালী) সংবাদদাতা :: নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে অস্ত্র মামলায় ৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি সালাউদ্দিনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

উপজেলার আমান উল্যাহপুরের আইবপুর থেকে বেগমগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহীন আক্তার সোমবার (২৬ আগস্ট) দুপুরের দিকে তাকে গ্রেফতার করে। 
বেগমগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহীন আক্তার বলেন, একটি অস্ত্র মামলায় সালা উদ্দিনের বিরুদ্ধে  ৭ বছরের সাজা রয়েছে। সে রায়ের পর থেকে দীর্ঘদিন পলাতক ছিল।  গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে গ্রেফতার আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণ করে ।

ইলেকট্রিক মিস্ত্রী পেশার আড়ালে ইয়াবা ব্যবসা, অভিযানে ইয়াবাসহ গ্রেফতার

0

কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি :: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে পুলিশ ছদ্মবেশে অভিযান চালিয়ে সোলোমান আলী সুরুজ (২০), নামে এক ইয়াবা ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃত ইয়াবা ব্যবসায়ী সুরুজ চরকাঁকড়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের বেচু মাঝির বাড়ির আইয়ুব আলীর ছেলে।

সোমবার (২৬ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ঈদগাঁও এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় পুলিশ তার কাছ থেকে ৫৩ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে।

অপরদিকে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ঘটনাস্থল কৌশলে আরেক ইয়াবা ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম রিয়াদ পালিয়ে যায়। পরে এ ঘটনায় পুলিশ গ্রেফতারকৃত সুরুজ ও পলাতক রিয়াদকে আসামি করে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, গ্রেফতারকৃত সুরুজ এলাকায় বিয়ে বাড়িতে লাইটিংয়ের কাজ করে। কিন্তু সে ইলেকট্রিকের কাজের আড়ালে দীর্ঘদিন রামপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আজাদের ভাগিনা সাইফুল ইসলাম রিয়াদের ইয়াবা ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। 

এ বিষয়ে ইউপি সদস্য আজাদ বলেন, আমি আজকে জানতে পেরেছি আমার ভাগিনা ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত। তবে এ বিষয়ে আমার কোন সুপারিশ নেই।

কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.আসাদুজ্জামান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, থানার তিনজন উপ-পরিদর্শক (এএসআই) অভিযান চালিয়ে এ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে।

নোয়াখালীতে ধর্ষিতার স্বামীকে এসিড নিক্ষেপ

0

সদর (নোয়াখালী) সংবাদদাতা :: নোয়াখালীর জেলা শহর মাইজদীতে ধর্ষণের শিকার এক নারীর স্বামীর ওপর এসিড নিক্ষেপের অভিযোগ ওঠেছে। রবিবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে সুবর্ণচর উপজেলার চর বাগ্যা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এসিডে নিক্ষেপের শিকার ব্যক্তির নাম নাছির উদ্দিন। তিনি ওই গ্রামের নেজাম উদ্দিনের ছেলে। 

আহত নাছির উদ্দিনের মা জানান, রবিবার দুপুরে জেলা শহর মাইজদীর নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সামনে নির্যাতনের বিরুদ্ধে অন্যান্যদের সঙ্গে নাছিরও মানববন্ধনে অংশ নেয়। সেখান থেকে বিকালে বাড়ি গেলে ধর্ষণের মামলার আসামি ও তার লোকজন নাছিরসহ পরিবারের সদস্যদের নানাভাবে হুমকি দেয়। এক পর্যায়ে রাতে নাছির প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে উঠলে তাকে সন্ত্রাসীরা এসিড মেরে ৬-৭ জন দৌড়ে পালিয়ে যায়। এ সময় নাছির ৩-৪ জনকে চিনতে পারে। পরে নাছিরকে উদ্ধার করে রাতেই নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। চিকিৎসকরা জানান, নাছির বর্তমানে ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তার বুক, হাত ও উরুসহ শরীরের ৯ শতাংশ ঝলসে গেছে। তবে শংকামুক্ত রয়েছে নাছির। 

উল্লেখ্য, নোয়াখালীর সুবর্ণচরের গত ২ মে উত্তর বাগ্যা গ্রামে গোপনে গোসলের ভিডিও ধারণ করে ফেসবুকে ভাইরাল করার হুমকি দিয়ে তার স্ত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ করে নাছির। ঘটনায় অভিযুক্ত জয়নাল নামে একজনকে আসামি করে আদালতে মামলা দিলে, বাদীর পরিবারের বিরুদ্ধে উল্টো টাকা আত্মসাতের মিথ্যা মামলা ও সাক্ষীদের এলাকা থেকে বিতাড়িত করার হুমকি দিয়ে আসছে বলে অভিযোগ করছে নাছিরের পরিবার। শুধু বাদী ও তার পরিবারকে নয়, মামলায় স্বাক্ষী হওয়ায় হুমকির সম্মুখিন হচ্ছেন স্বাক্ষীরাও। 

কবিরহাটে বিয়ের প্রলোভনে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

0

কবিরহাট (নোয়াখালী) সংবাদদাতা :: নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার চাপরাশিরহাট ইউনিয়নে বিয়ের প্রলোভনে এক কলেজ ছাত্রী (২৪)-কে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে সাইফুর রহমান (২৭) নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। 

এ ঘটনায় সোমবার সকালে ভিকটিম বাদী হয়ে কবিরহাট থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত সাইফুর রহমান কবিরহাট পৌরসভার পূর্ব ফতেজঙ্গপুর গ্রামের সেকান্তর মিয়ার ছেলে। ভিকটিম চাপরাশিরহাট ইউনিয়নের নরসিংহপুর গ্রামের বাসিন্দা। সে কবিরহাট সরকারি কলেজের স্নাতক (ডিগ্রি) শেষ বর্ষের ছাত্রী।ভিকটিমের অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, প্রবাসী সাইফুর রহমানের সাথে দীর্ঘ ৭বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল তার। বিদেশ থেকে আসার পর নিয়মিত সাইফুর রহমানের সাথে তার যোগাযোগ হতো। গত ২৩ আগস্ট শুক্রবার বিকেলে তারা একসাথে ঘুরতে বের হয়। ঘুরাঘুরি শেষে সন্ধ্যায় সাইফুর ভিকটিমকে তার বাড়ীর একটি নির্মাণাধীন ঘরের ছাদে নিয়ে যায়। পরে বিয়ে করবে বলে রাতভর তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। শনিবার ভোরে তাকে কৌশলে বাড়ীতে পাঠিয়ে দেওয়ার পর যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় সাইফুর।

কবিরহাট থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) টমাস বড়ুয়া জানান, ভিকটিমের অভিযোগের ভিত্তিতে সাইফুর রহমানকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ভিকটিমকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

কোম্পানীগঞ্জে ১৪ বছরের সশ্রম দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেফতার

0

নুর উদ্দিন মুরাদ :: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে কাওসার মিয়া (৫০) নামে এক সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে গ্রেফতার করেছে কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ। বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার চরকাঁকড়া ইউনিয়ন থেকে গোপণ সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। 

গ্রেফতারকৃত কাওসার মিয়া চরকাঁকড়া ইউনিয়নে ২নং ওয়ার্ডের মৃত আমিন উল্যাহ’র ছেলে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নারী ও শিশু অপহরণ মামলায় ১৪ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি কাওসার মিয়া দীর্ঘদিন আত্মগোপনে ছিলো। দীর্ঘদিন পর আসামি এলাকায় আসলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।

কোম্পানীগঞ্জ থানার সহকারী উপ-পুলিশ পরিদর্শক আজিম উদ্দিন নোয়াখালী টাইমস কে মুঠোফোনে গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আসামি কাওসার মিয়াকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

লক্ষ্মীপুরে ব্যবসায়ীর গলা কাটা লাশ উদ্ধার

0

লক্ষীপুর সংবাদদাতা :: লক্ষ্মীপুরে দরের কাজীর দিঘীর পাড় এলাকা থেকে আলমগীর হোসেন নামে এক ব্যবসায়ীর গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (২১ আগষ্ট) সকাল ৯টার দিকে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। 

স্বজনরা বলছেন ওই ব্যবসায়ী মান্দারী বাজারের এক ব্যাক্তির কাছ থেকে ৬ লাখ পাওনা টাকা নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় দুর্বৃত্তরা ওই টাকা লুটে নিয়ে তাকে হত্যা করে বলে দাবি করেন তারা।  নিহত আলমগীর রায়পুর উপজেলার সাইচা গ্রামের মৃত বশির উল্ল্যাহর ছেলে ও রায়পুর বাজারের রাখি মালের ব্যবসায়ী। পুলিশ ও স্বজনরা জানান, স্থানীয় ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন সদরের মান্দারী এলাকার আরেক জনৈক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে পাওনা টাকা আদায় করতে যান। পরে রাত ৯ টার দিকে মুঠোফোনে পরিবারের কাছে ৬ লাখ টাকা নিয়ে বাড়ি ফিরছেন বলে জানান তিনি। ওই সময় রায়পুরের বাসাবাড়িতে তার অবস্থান ছিল বলে জানান। এরপর থেকে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরে খোঁজাঝুজি করে তার সন্ধান পায়নি পরিবার। 

সকালে গলাকাটা মরদেহের সন্ধান পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে আলমগীরের মরদেহ হিসেবে শনাক্ত করে স্বজনরা। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

সদর থানার ওসি মোহাম্মদ আজিজুর রহমান মিয়া জানান, ব্যবসায়ী গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। হত্যার কারণ জানা যায়নি। ঘটনার তদন্ত চলছে, মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

তারেক রহমানের নির্দেশ মেনেই ২১ আগষ্টে তারা হামলা চালিয়েছিল : ওবায়দুল কাদের

0

নিউজ ডেস্ক :: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার সঙ্গে জড়িত হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি হান্নানের জবানবন্দিতে আছে, তারেক রহমানের নির্দেশ মেনেই তারা সেদিন হামলা চালিয়েছিল। এ হত্যাকাণ্ডের যেমন বিচার হয়েছে, এর মাস্টারমাইন্ডদেরও সর্বোচ্চ বিচার হতে হবে।

আজ বুধবার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে একথা জানান সেতুমন্ত্রী।

কাদের বলেন, সেদিন আওয়ামী লীগ সভাপতি আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘প্রাইম টার্গেট’ করে হামলা চালানো হয়েছিল। আল্লাহর রহমতে তিনি বেঁচে গেছেন। ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়েছে, ২১ আগস্ট হত্যাকাণ্ডেরও বিচার হবে। বাংলার মানুষ এর জন্য অপেক্ষা করে আছে। আজকের দিনে আমাদের শপথ, আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে রাজনীতিতে সন্ত্রাস ও সাম্প্রদায়িকতা মোকাবিলা করবো।

তিনি বলেন, ১৫ আগস্ট আর ২১ আগস্টের হত্যাকাণ্ড একই সূত্রে গাঁথা। ২০০৪ সালের এ দিনে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে সন্ত্রাসীদের দিয়ে রক্তস্রোত বইয়ে দিয়েছিল বিএনপি-জামায়াত সরকার।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এরপরেও খালেদা জিয়াকে গণভবনে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। খালেদা জিয়া কী ব্যবহার করেছিলেন সেটা দেশের মানুষ জানে। তার ছেলে মারা যাওয়ার পর শেখ হাসিনা পুত্রহারা মাকে সান্ত্বনা দিতে বাড়িতে ছুটে গিয়েছিলেন। সেদিন প্রধানমন্ত্রীর মুখের ওপর দরজা বন্ধ করে দিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে সংলাপের দরজাও বন্ধ করে দিয়েছে বিএনপি।

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন

0

নিউজ ডেস্ক :: একুশে আগস্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন।

আজ বুধবার সকালে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের বেদীতে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় নিহতদের এ শ্রদ্ধা জানানো হয়।

সকাল ৯টায় শ্রদ্ধা নিবেদনের শুরুতে প্রথমে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে স্থাপিত বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শ্রদ্ধা নিবেদনের পর শহীদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারাও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এ সময় আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারাও ২১ আগস্টে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

এ সময় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, ড. মহিউদ্দিন খান আলমগীর, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, মোহাম্মদ নাসিম, কাজী জাফরউল্লাহ, অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম,  ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, উপ-দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ উপস্থিতি ছিলেন।

১৪ দলের পক্ষ থেকেও নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন, ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া প্রমুখ।

এছাড়া ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ দক্ষিণ ও উত্তর, ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগ, যুব মহিলা লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, কৃষক লীগ, তাঁতী লীগ, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন শাখা, দলের বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের পক্ষেও শ্রদ্ধা জানানো হয়।

আজ সেই নারকীয় একুশে আগস্ট

0

গোলাম সারোয়ার :: আজ সেই ভয়াল একুশে আগস্ট। আজ থেকে পনের বছর আগে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানী ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে তখনকার বিরোধীদলীয় নেতা ও আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভায় এক নারকীয় গ্রেনেড হামলা করেছিলো ইতিহাসের কুলাঙ্গারেরা।
সেই ভয়াল হামলায় নিহত হয়েছিলো সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী সে সময়ের মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী আইভি রহমানসহ ২২ জন। আর আহত হয়েছিলো কয়েক শত আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও সেই সময়ের বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনা ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান। তবে তাঁর কান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। হামলাটি হয়েছিলো মূলত তাঁকেই হত্যার টার্গেট করে।

সেই নারকীয় হামলার ১৪ বছর পর গত বছরের ১০ অক্টোবর পৃথক দুটি মামলায় একটি রায় হয়েছিলো। সে রায়ে হামলার সময়ের বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় ঐক্যজোটের সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড দেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১। আর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ আরো ১৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। এছাড়া বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয় আরও ১১ জনের। সে রায়ের সাজাপ্রাপ্ত ৫১ জন আসামির ভিতরে ১৮ জন আজ পর্যন্ত পলাতক রয়েছে।

আইন অনুযায়ী, কোন মামলায় মৃত্যুদণ্ডের রায় হয়ে গেলে তা কার্যকর করার জন্য হাইকোর্টের অনুমোদন লাগে। সে জন্যে রায় ঘোষণার পর মামলার সব নথিপত্র হাইকোর্টে পাঠাতে হয়। হাইকোর্ট পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও জেল আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে। ২১ আগস্ট হামলা মামলার অবস্থা এই পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে এ বছরের জানুয়ারী মাসের ১৩ তারিখে।
এই মামলাকে কেন্দ্র করেই সৃষ্টি হয় জজ মিয়া নাটক। সে সময়ের সরকার হামলার পর থেকেই নৃশংস ওই হত্যাযজ্ঞের তদন্ত ভিন্ন খাতে নিতে নানা চেষ্টা করে। হামলার ১০ মাস পরে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ হঠাৎ গণমাধ্যমকে জানায় যে, তারা ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা মামলার রহস্য উদ্ঘাটন করে ফেলেছে। এরপরই তারা সামনে আনে জজ মিয়া নামের এক তরুণকে। সিআইডি জানায় যে, জজ মিয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন। তারপর সেই বিরূপ সময়েই কিছু সাংবাদিকের অসীম সাহসী অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে জজ মিয়াকে নিয়ে সিআইডির মিথ্যাচারের কাহিনী।

২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় এসে নতুন করে তদন্ত শুরু করে। বেরিয়ে আসে অনেক অজানা তথ্য। ২০০৮ সালের জুনে বিএনপি সরকারের উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু, তাঁর ভাই তাজউদ্দীন, জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের নেতা মুফতি হান্নানসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি। তদন্তে বেরিয়ে আসে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ওই হামলা চালানো হয়েছিল। হামলায় ব্যবহৃত আর্জেস গ্রেনেড আনা হয়েছিলো পাকিস্তান থেকে।
পরবর্তীতে ৬১ জনের সাক্ষ্য নেওয়ার পর ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার আরো অধিকতর তদন্ত করে। এরপর বিএনপির নেতা তারেক রহমান, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, হারিছ চৌধুরী, জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদসহ ৩০ জনকে নতুন করে আসামি করে ২০১১ সালের ৩ জুলাই সম্পূরক অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি।

আমাদের দেশে সব সময়ে একটি প্রপাগাণ্ডা চলে যে, যখন যে সরকার ক্ষমতায় আসে আদালত চলে সে সরকারের আঙ্গুলের ইশারায়। এই অভিযোগ যে সব সময় সত্য নয় তার প্রমাণ হলো একুশে আগস্টের হামলা মামলার পরিণতি। আওয়ামী লীগ টানা একদশকের বেশি সময় ধরে ক্ষমতায়। সেই নেত্রী প্রধানমন্ত্রী, যাঁকে হত্যার জন্যেই সে সময়ে প্লট রেডি করেছিলো দানবেরা। কিন্তু সেই মামলার রায় পেতেও সরকারকে অপেক্ষা করতে হচ্ছে অন্তত ১৫ বছর। এখনো রায় কার্যকর করা যায়নি।

আমরা বলবো, ইতিহাসের কোন কলঙ্ক রাখতে নেই। আমরা প্রতিহিংসা চাইনা। আমরা বিচারহীনতাও চাইনা। আমরা ন্যায়বিচার চাই। ন্যায়বিচারের কার্যকারিতা চাই। আমরা আর কোন জজ মিয়ার নাটক চাইনা। আমরা বিশ্বাস রাখবো, হত্যা কিংবা গণহত্যার শাস্তি হয় ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট। আমরা আশা করবো জাতি কলঙ্কমুক্ত হবে খুব শীঘ্রই। আমরা আশা করবো রক্তাক্ত একুশে আগস্টের ঐ নির্মমতার সঠিক বিচারের রায় কার্যকর হবে রাজনীতির প্রতিহিংসা কিংবা সুবিধার আশা ছেড়ে মূল নিয়মে।

গোলাম সারোয়ার
গবেষক ও কলামিস্ট।