Home Blog Page 20

হামলায় জড়িত সেনা-পুলিশও, ঢাকা কলেজের দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী আহত

0


টাইম ডেস্ক :
ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে আবারও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ঢাকা কলেজের দেড়শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে বলে জানায় প্রতিষ্ঠানটির প্রশাসন। বুধবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকা কলেজ অডিটোরিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানায় কলেজের অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষসহ অন্যান্যরা।

কলেজ প্রশাসন সিটি কলেজের সন্ত্রাসীদের পাশাপাশি এ হামলায় জড়িত সেনা ও পুলিশ সদস্যদের বিচার দাবি করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে ৯টি দাবির কথা জানানো হয়। সেগুলো হলো :

১. দেড়শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। তাদেরকে সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। এমনকি শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তারাও আহত হয়েছেন;

২. আমাদের স্থাপনা সেনাবাহিনী সরাসরি হামলা ও ভাংচুর করেছে। যা আমাদের জন্য লজ্জানজক। এ হামলায় সংশ্লিষ্ট জড়িত প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। ৩, বিশেষ করে, দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা যারা এই হামলার নির্দেশ দিয়েছে তাদের পদত্যাগ করতে হবে; ৪. ইতিপূর্বেকার সব বিশৃঙ্খলার সঙ্গে সিটি কলেজের কতিপয় সন্ত্রাসী শিক্ষার্থী দোষী সাবস্ত হওয়ায় এবং পরবর্তী সংঘর্ষ এড়াতে সিটি কলেজকে স্থানান্তর করতে হবে; ৫. সিটি কলেজের যেসব শিক্ষক এই নিন্দনীয় ঘটনা সরাসরি নির্দেশ ও জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে; ৬. এই ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে সশরীরে ক্যাম্পাসে এসে পরিদর্শন করতে হবে; ৭. হামলায় জড়িত সেনা ও পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগ করতে হবে। ৮. বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সাত শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন এবং শত শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন তাই পরিকল্পিতভাবে ঢাকা কলেজের ১৮৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে হামলা করে বর্তমান সরকারকে ব্যর্থ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। যাতে সরাসরি সিটি কলেজ এবং পুলিশ জড়িত ছিল; ৯. ঢাকা কলেজের ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই সব দাবি মেনে ঢাকা কলেজে শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।

সূত্র :dainik shiksha

ডেঙ্গু: ২৪ ঘণ্টায় ৫ জনের মৃত্যু

0

টাইম ডেস্ক:
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত ৫ জন মারা গেছেন। একই সময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত ১ হাজার ৩৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

আজ বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল বিভাগের একজন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি ও উত্তর সিটিতে একজন করে এবং খুলনা বিভাগে দুজন মারা গেছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মোট ৪২৭ জন মারা গেছেন এবং ৮৩ হাজার ১৫৪ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন।

এমন শিক্ষাব্যবস্থা দরকার, যা সৃজনশীল মানুষ হতে সাহায্য করে: প্রধান উপদেষ্টা

0

টাইম ডেস্ক :
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, দেশে উদ্যোক্তাদের একটি প্রজন্ম তৈরি করতে হলে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা এমন হতে হবে যাতে সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটে।

আজ বুধবার রাজধানীর সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কার্যালয় পরিদর্শনে গিয়ে প্রধান উপদেষ্টা এ মন্তব্য করেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘মানুষ জন্মগতভাবে উদ্যোক্তা। তবুও, আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা চাকরিপ্রার্থী তৈরি করে। এটি একটি ত্রুটিপূর্ণ শিক্ষাব্যবস্থা।’

‘আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে এমনভাবে সংস্কার করা উচিত যেন এটি একটি প্রজন্মকে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে পারে। আমাদের এমন শিক্ষাব্যবস্থা দরকার, যা শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল মানুষ হতে সাহায্য করবে,’ বলেন তিনি।

ড. ইউনূস আরও বলেন, ‘আমাদের তরুণদের মধ্যে সৃজনশীলতার যে সম্ভাবনা রয়েছে তা অবশ্যই পূরণ করতে হবে।’

প্রধান উপদেষ্টা সচিবালয়ে তার প্রথম উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন এবং পরে শিক্ষা মন্ত্রণালয় পরিদর্শন করেন।

অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘বাংলাদেশে এমন শিক্ষাব্যবস্থা তৈরি করা উচিত নয় যেখানে শুধু পরীক্ষার নম্বরের ওপর জোর দেওয়া হয়।’

তিনি বলেছেন, ‘পরীক্ষার নম্বর কত পেল সেটাই যে সবকিছু না, এটি সকলের উপলব্ধি করা উচিত।’

প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের সমাজে জেনারেশন গ্যাপ (পূর্ববর্তী প্রজন্মের সঙ্গে পরবর্তী প্রজন্মের ব্যবধান) কমিয়ে আনার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই নতুন প্রজন্মের ভাষা, তাদের আকাঙ্ক্ষা এবং তাদের চিন্তার প্রক্রিয়া বুঝতে হবে।’

অধ্যাপক ইউনূস আরও বলেন, ‘আমাদের তরুণদের ভাষা ও চিন্তা প্রক্রিয়া বুঝতে হবে। আমাদের জানতে হবে কীভাবে প্রবীণ প্রজন্ম তাদের অভিজ্ঞতা তরুণ প্রজন্মের সঙ্গে শেয়ার করে নিতে পারে।’

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘তরুণ ও প্রবীণ প্রজন্মের মধ্যে দূরত্ব বাড়ছে, এটি সমস্যা তৈরি করবে। আমাদের অবশ্যই দুই প্রজন্মের মধ্যে ধ্যান-ধারণার ব্যবধান কমিয়ে আনতে হবে।’

তিনি আমাদের জাতীয় পাঠ্যক্রমে পারিবারিক মূল্যবোধ অন্তর্ভুক্তির প্রতিও জোর দেন।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকে শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ ও শিক্ষা সচিব সিদ্দিক জোবায়ের উপস্থিত ছিলেন।

চট্টগ্রাম ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টির নেপথ্যে কাজ করছে উসকানিমূলক সাংবাদিকতা

0

নোয়াখালী টাইমস ডেস্ক :: গত ২ সেপ্টেম্বর ফেসবুকে বাংলাদেশের মানচিত্রের ছবিযুক্ত একটি পোস্ট ভাইরাল হতে দেখা যায়, যেখানে রংপুর বিভাগ এবং চট্টগ্রাম বিভাগকে “হিন্দুদেশ” নাম দিয়ে লাল রঙে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং বলা হচ্ছিল “আমরা এই দুইটা বিভাগ হিন্দুদের করতে চাই। আপনারা ভারতে না গিয়ে এই ২ টা জায়গায় গিয়ে বসবাস করুন।” এটি এমন একটি সময় ছড়োনো হয় যখন ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার একমাস পূর্ণ হতে চলেছে। স্বাভাবিকভাবেই পোস্টটি ফেসবুকে বেশ উত্তজনা এবং কৌতুকের সৃষ্টি করে, পোস্টটির স্ক্রিনশটও অনেককে শেয়ার দিতে দেখা যায়। পোস্টগুলোতে “হিন্দুদেশ” এর পক্ষে-বিপক্ষে প্রচুর কমেন্ট দেখা যায়। আমার মতন অনেককে অবাক করে দিয়ে এই পোস্টটি ফেসবুকে শেয়ার হবার প্রায় দুই মাস বাদে চট্টগ্রামকে ঘিরে সৃষ্টি হয়েছে সাম্প্রদায়িক এবং ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা, যার নেপথ্যে অন্যতম ভূমিকা রেখে চলেছে এই ধরণের কিছু অপতথ্য।

যেভাবে উত্তপ্ত হলো চট্টগ্রাম-
গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর ৫২ জেলায় অন্তত ২০৫টি সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। এই পরিংখ্যানে উল্লেখিত হামলাগুলোর কতখানি রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক এবং কতখানি সাম্প্রদায়িক উদ্দেশ্য প্রণোদিত তা জানা না গেলেও, সেসময় হিন্দুদের ওপর সাম্প্রদায়িক হামলার সংক্রান্ত প্রায় ৪০ টিরও বেশি গুজব শনাক্ত করেছিলো রিউমর স্ক্যানার। পরবর্তীতে চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘু নির্যাতন বন্ধসহ ৮ দফা দাবিতে বিক্ষোভ এবং অবরোধ কর্মসূচী পালন করেন সনাতন ধর্মালম্বীরা। এরপর সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবর মাসে চট্টগ্রামে হিন্দুদের বেশ কয়েকটি বিশাল সমাবেশ ঘটে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য চট্টগ্রাম নগরের লালদীঘি মাঠে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সংগঠন বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের গণসমাবেশ যেখান থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে লংমার্চের ঘোষণা আসে। এরপর সনাতন ধর্মবিশ্বাসী সংগঠন আন্তর্জাতিক শ্রীকৃষ্ণ ভাবনামৃত সংঘের (ইসকন) আলোচিত সংগঠক এবং সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে মামলা দায়ের হয়। ৩০ অক্টোবর (বুধবার) রাতে মো. ফিরোজ খান নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে নগরীর কোতোয়ালী থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, গত ৫ অগাস্ট গণঅভুত্থানের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা নিউমার্কেট মোড়ে একটি জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে। গত ২৫ অক্টোবর লালদিঘী মোড়েসমাবেশের দিন ওই পতাকার ওপর সাম্প্রদায়িক ধর্মীয় গোষ্ঠী ইসকনের গেরুয়া রঙের ধর্মীয় পতাকা উত্তোলন করে স্থাপন করে দেওয়া হয়, যা রাষ্ট্রের অখণ্ডতাকে অস্বীকার করার শামিল।

চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দায়েরের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (৩১শে অক্টোবর) বিকেল ৩টায় চট্টগ্রামের চেরাগী পাহাড় মোড়ে সমাবেশ করে বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ। উক্ত সমাবেশ থেকে ৬৪ জেলায় সমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এরপর ১লা নভেম্বর শুক্রবার পূর্বনির্ধারিত সেই সমাবেশে আসার পথে বাধা দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়। সংবাদসূত্রে জানা যায়, সেদিন বিকেলে নগরের চেরাগী পাহাড় মোড়ের সমাবেশে যোগ দিতে যাওয়ার সময় জামালখান মোড়, আন্দরকিল্লা ও বৌদ্ধমন্দির মোড়ে এ বাধা দেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, যদিও বাধা ঠেলে সমাবেশে যোগ দেন হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন।

এরপর গত ৫ নভেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত একটি ফেসবুক পোস্টকে ঘিরে চট্টগ্রাম নগরের কোতোয়ালি থানার হাজারী গলি এলাকা হয়ে ওঠে রণক্ষেত্র। একাধিক সংবাদসূত্রে জানা যায়, মো. ওসমান নামের এক দোকানদার ঘটনার কয়েক দিন আগে তার ফেসবুকে ইসকনের নাম উল্লেখ করে একটি পোস্ট শেয়ার করেন। ঘটনার দিন এ নিয়ে ঐ এলাকার হিন্দুদের মধ্যে ক্ষোভ ও উত্তেজনা সৃষ্টি হলে তা একপর্যায়ে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এরপর পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে ঘটনাস্থলে গিয়ে ফেসবুকে পোস্টদাতা ব্যক্তিকে দোকান থেকে উদ্ধারের সময় বিক্ষোভকারীরা বাধা দেয় এবং যৌথবাহিনীকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে যৌথবাহিনী ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে থানায় নিতে সক্ষম হন। এ সম্পর্কে যৌথবাহিনীর মুখপাত্র লে. কর্নেল ফেরদৌস আহমেদ সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, যৌথবাহিনীর ওপর সেখানে জুয়েলারির কাজে ব্যবহৃত এসিড হামলা ও ইট পাটকেলসহ কাঁচের বোতল ছোড়া হয়েছে। এতে পাঁচ সেনাসদস্য ও সাত জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে বলে জানান তিনি। উক্ত সংঘর্ষের ঘটনায় সুমন চৌধুরী নামের এক যুবলীগ নেতাসহ ৮০ জন আটক এবং নিরাপত্তা বাহিনীর ১২ সদস্য আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। উক্ত ঘটনার নিন্দা জানিয়ে, চট্টগ্রামে এক প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে বাংলাদেশে ইসকন (আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ) নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম। সেই সমাবেশ থেকে ইসকন ভক্তদের ধরে ধরে জবাই করার হুমকিমূলক একটি ভিডিও ইতিমধ্যে সামাজিক মাধ্যমে সয়লাব, আশ্চর্যজনকভাবে যা কোনো বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম তুলে ধরেনি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিক্রিয়া-
ভারতীয় মিডিয়া স্বাভাবিকভাবেই চট্টগ্রাম এনং ইসকন বিষয়ে সংবাদগুলো ফলাও করে প্রচার করছে, যার কয়েকটিতে মিশে আছে অতিরঞ্জন এবং উসকানি। যেমন জি ২৪ ঘন্টা তাদের একটি প্রতিবেদনে ইসকনের পূর্বাঞ্চলীয় মুখপাত্রের বরাত দিয়ে বলেছে, চট্টগ্রাম পুলিশ নাকি ইসকনকে জঙ্গি তকমা দিয়েছে। যদিও চট্টগ্রাম পুলিশের তরফ থেকে এমন কোনো বিবৃতি পাওয়া যায়নি, বরং একটি সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের উপ-কমিশনার রইছ উদ্দিন বলেছেন, “প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ এবং ফেইসবুকের প্রচার প্রচরণাসহ সবকিছু বিচার বিশ্লেষণ করে আমরা জানতে পেরেছি ‘ইসকন সমর্থকরা’ এ হামলার সাথে জড়িত রয়েছে”। অন্যদিকে আওয়ামীপন্থী অ্যাক্টিভিস্ট নিঝুম মজুমদারের বরাতে হিন্দুস্তান টাইমস তাদের প্রতিবেদনের শিরোনাম করেছে “চট্টগ্রামে হিন্দুদের উপরে আক্রমণ সেনার, গণহত্যা শুরু হয়।

জুলাই-আগস্ট গণুভ্যুত্থানের শুরু থেকে আক্রমণাত্মক উপস্থাপনার জন্য আলোচনায় থাকা ভারতীয় বাংলা সংবাদমাধ্যম রিপাবলিক বাংলা একাধিক মন্তব্য প্রতিবেদন প্রচার করেছে এই বিষয়ে। তাদের “চট্টগ্রাম আলাদা রাষ্ট্র হবে? মাউন্টব্যাটেন- নেহেরুর ভুল ঠিক করার সময় এসেছে? ভারতের হস্তক্ষেপ জরুরি?” শীর্ষক একটি প্রতিবেদনে দুই সংবাদ পরিবেশক সন্তু পান এবং ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ বলছেন, চট্টগ্রাম হাতছাড়া হতে পারে বাংলাদেশ থেকে। চট্টগ্রাম ভূ-রাজনৈতিকভাবে কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা বোঝাতে এই প্রতিবেদনে বলা হয়, যেহেতু উত্তর-পূর্ব ভারতের কোনো সমুদ্রবন্দর নেই, তাই চট্টগ্রাম যদি ভারতে চলে আসে তাহলে ভারতের মূল ভূখন্ড থেকে উত্তর-পূর্ব অংশের দূরত্ব মিটে যাবে, পণ্য পরিবহনের খরচ কমে যাবে। একইসাথে বঙ্গোপসাগরে ভারতের কর্তৃত্ব বাড়বে, আমেরিকা ধারে কাছে আসতে পারবে না।

পাকিস্তানি জাহাজ নিয়ে বিতর্ক-
গত ১৩ই নভেম্বর বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর প্রথমবারের মতো পাকিস্তানের করাচি থেকে ‘এমভি ইউয়ান জিয়ান ফা ঝং’ নামের কন্টেইনার বহনকারী একটি জাহাজ সরাসরি এসে ভিড়েছিলো বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরে। গত কয়েকদিন ধরে এ নিয়ে বাংলাদেশ এবং ভারতের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ও সংবাদমাধ্যমে এ নিয়ে চলছে আলোচনা এবং বিতর্ক। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পণ্য খালাস হয়ে গেলে পরদিনই জাহাজটি বন্দর ত্যাগ করেছে। এবিষয়ে বিবিসি বাংলা বলছে, দুবাই টু চট্টগ্রাম রুট ধরে আসা জাহাজটির পরবর্তী গন্তব্য ইন্দোনেশিয়া। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বিবিসিকে জানিয়েছেন, “দুবাই থেকে চট্টগ্রাম, এই সার্ভিস আমাদের আগে থেকেই আছে। এইবার আসার সময় তারা করাচি বন্দর হয়ে বাংলাদেশে আসছে। স্বাধীনতার পরে সরাসরি এভাবে কোনও জাহাজ বাংলাদেশে এসেছে কি না, তা জানি না। আমার জানামতে, এইবার সরাসরি এসেছে। পাকিস্তানের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য আগে থেকেই ছিলো। আগে পাকিস্তান থেকে যে কন্টেইনার আসতো, তার কিছু আসতো সিঙ্গাপুর হয়ে, কিছু আসতো কলম্বো হয়ে”। প্রথম আলোর একটি প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, পাকিস্তান থেকে আমদানি হওয়া কনটেইনারে রয়েছে শিল্পের কাঁচামাল ও ভোগ্যপণ্য

কিছু ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এই জাহাজকে ইউনুস সরকারের ‘পাক প্রেম’ প্রেম হিসেবে প্রচার করেছে। ওপার বাংলার আনন্দবাজার পত্রিকা তাদের দুটি সংবাদ শিরোনামে বলছে “বাংলাদেশে করাচির পণ্যবাহী জাহাজ, মুক্তিযুদ্ধ ভুলে পাকিস্তানকে কাছে টানতে চান ইউনূস?” এবং “পাকিস্তানের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক গড়ছেন ইউনূস, চট্টগ্রাম-করাচি সরাসরি জাহাজ চলাচল চালু”। হিন্দুস্তান টাইমস তাদের শিরোনাম করেছে “করাচির জাহাজ নোঙর ফেলল বাংলাদেশের বন্দরে, উথলে উঠছে পাক-প্রেম”। রিপাবলিক বাংলা তাদের ভিডিও প্রতিবেদনের শিরোনামে লিখেছে “এক জাহাজ অস্ত্র নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে পাকিস্তানি জাহাজ? মৌলবাদের ষোলকলা পূর্ণ হল বাংলাদেশের?” উক্ত প্রতিবেদনে শুরুতে উপস্থাপক ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ বলছেন, “পাকিস্তান কিংবা সিরিয়া হতে চায় নতুন বাংলাদেশ… সামরিক অস্ত্রের পর এবার কি পারমাণবিক অস্ত্র চুক্তি?… পাকিস্তান-বাংলাদেশের মধ্যে এবার কি পারমাণবিক চুক্তি হতে চলেছে? পারমাণবিক শক্তি নিয়ে চুক্তি দু’দেশের মধ্যে। কেন এই চুক্তি সই করার চেষ্টা চলছে?” প্রতিবেদনের এক পর্যায়ে বাংলাদেশের সামরিক ব্যয়ের বেশ কিছু পরিসংখ্যান হাজির করে বলা হচ্ছে, শেষ দুইমাসে ইউনূস সরকার ৪০ হাজার কোটি টাকার অস্ত্র কিনেছেন। অথচ এমন তথ্যের কোন উৎস উদ্ধৃত করা হয়নি উক্ত প্রতিবেদনে, বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম এবং অন্য কোনো অফিসিয়াল সূত্র থেকে এমন কোনো কেনাকাটার খবর পাওয়া যায়নি। উলটো ২০১৭ সালের বেশ কয়েকটি ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সংবাদে পাওয়া গেছে, ভারতীয় সেনাবাহিনীর আধুনিকায়নে ৪০ হাজার কোটি টাকা অস্ত্র কেনা হচ্ছে।

ভারতীয় সামাজিক মাধ্যমে চট্টগ্রাম নিয়ে গুজব-
ভারতীয় সামাজিকমাধ্যমে সম্প্রতি চট্টগ্রামের বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে হয়েছে অপতথ্যের ছড়াছড়ি, যার কয়েকটি পরবর্তীতে বাংলাদেশেও ভাইরাল হয়েছে। এরকম কয়েকটি উল্লেখযোগ্য গুজব হলো:

*চট্টগ্রামে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং জামায়াতে ইসলামীর সন্ত্রাসীদের যৌথ হামলায় ৫০ জনেরও বেশি হিন্দু নিহত ও আহত হয়েছে। * অন্তত ৬ জন হিন্দু নারী ও মেয়েকে উগ্র ইসলামবাদীরা অপহরণ করেছে।
* ইসলাম ধর্মালম্বীর দোকানে হামলার দৃশ্যকে হিন্দুদের ওপর হামলা বলে প্রচার।
* চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর হাতে নয়, অমিত সূত্রধর নিহত হয়েছেন মৌলভীবাজারে সড়ক দুর্ঘটনায়।
* চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের বক্তব্যকে নরেন্দ্রমোদির কাছে মানবিক আবেদন বলে প্রচার।
* চট্টগ্রামে হাজারী গলিতে যৌথ বাহিনীর অভিযানে হিন্দু ধর্মাবলম্বী ব্যক্তি নিহত হওয়ার ভুয়া দাবি।
* চট্টগ্রামে স্বৈরাচার বিরোধী মিছিলে ‘লীগ ধর, জবাই কর’ স্লোগানের ভিডিওকে ‘ইসকন জবাই কর’ স্লোগান দেওয়া হচ্ছে দাবিতে প্রচার।
* গত আগস্টে টাঙ্গাইলে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের একটি বিক্ষোভ মিছিলকে চট্টগ্রামে হিন্দুদের ওপর সেনাবাহিনীর হামলার অভিযোগে হওয়া প্রতিবাদের মিছিল বলে প্রচার।
* এক জাহাজ অস্ত্র নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে পাকিস্তানি জাহাজ।
* বাংলাদেশের সাথে পাকিস্তানের সামরিক এবং পারমাণবিক শক্তি চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে।

তথ্যসূত্র: Dhaka Tribune

কোম্পানীগঞ্জে বিএনপি নেতা তোতা হত্যা মামলায় গ্রেফতার আরও ১

0
https://noakhalitimes.com

কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি :: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় বিএনপি নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মতিন তোতা হত্যা মামলা আজিজুল হক খোকন (৫০) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বুধবার রাতে চরএলাহী ইউনিয়নে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। আজিজুল হক খোকন (৫০) চরএলাহী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের মৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে। সে বিএনপি নেতা তোতা হত্যা মামলায় এজাহারের ৭ নং আসামী ও চর এলাহী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাকের বড় ভাই।

এর আগে গত ৬ অক্টোবর একই মামলায় বিএনপির ৭ নেতাকর্মী কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয় নোয়াখালীর বিচারিক আদালত। কোম্পানীগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম বলেন, গ্রেফতারকৃত খোকনকে নোয়াখালীর বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ২৭ আগস্ট রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টায় চরএলাহী বাজারের নুরুল হুদার ফলের দোকানে বসা অবস্থায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা আবদুল মতিন তোতার ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এতে তোতা গুরুত্বর আহত হয়। আহত তোতাকে উদ্ধার করে নোয়াখালী থেকে রাজধানীর ধানমন্ডি পপুলার হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ৪দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৩০ আগস্ট শুক্রবার তোতা মৃত্যুবরণ করে। এঘটনায় চরএলাহী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক এবং উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মোঃ ইসমাইলসহ ৩১ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করে তোতার ছেলে মো. ইসমাইল।

সাংবাদিকদের ঢালাওভাবে ফ্যাসিবাদের দোসর বলা ঠিক হবে না: প্রেস সচিব

0

নোয়াখালী টাইমস ডেস্ক :: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, “ফ্যাসিবাদী রেজিমে সাংবাদিক ও গণমাধ্যমের কার কী ভূমিকা ছিল, সেটা খুঁজে দেখতে হবে। এটা নিয়ে গবেষণা হওয়া প্রয়োজন। তার আগে সবাইকে ঢালাওভাবে ফ্যাসিবাদ বা ফ্যাসিবাদের দোসর বলা ঠিক হবে না।” সাংবাদিকদের ভূমিকা নিয়ে গবেষণার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

বুধবার (২০ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে “জুলাই গণহত্যায় গণমাধ্যমের ভূমিকা: জবাবদিহিতা ও সংস্কার প্রস্তাব” শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

শফিকুল আলম বলেন, “গত ১৬ বছরে অনেক সাংবাদিক ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে শক্তভাবে দাঁড়িয়ে তাদের পরিবার ও কমিউনিটিকে বিপদে ফেলেছেন। তারপরও সত্য প্রকাশে পিছ পা হননি। কিন্তু এই ১৬ বছরে বিপুল সংখ্যক সাংবাদিক এই ফ্যাসিবাদের প্রতি সম্মতি উৎপাদন করেছেন।”

তিনি বলেন,“ গত ১৬ বছরে কীভাবে শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদ রেজিম কায়েম হয়েছে, সেটা সাংবাদিকদের তুলে ধরতে হবে। এগুলো যেন আমরা ভুলে না যাই। প্রতিটি ঘটনা লিপিবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন। এটা আমাদের ইতিহাসের দায়। এই দায়টা পরিশোধ করতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “প্রতিটি বিষয়ে সিরিয়াস গবেষণা হওয়া প্রয়োজন। যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে দেখাতে পারবো কীভাবে ১৬ বছরে ফ্যাসিবাদ কায়েম হয়েছে।”

সূত্র : dhakatribune

অত্যাচার-নির্যাতন করে মানুষ মেরে আওয়ামী লীগের সেই দস্যুরা পালিয়েছে – মির্জা ফখরুল

0

ফেনী প্রতিনিধি :: বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পৈত্রিক বাড়ি ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার শ্রীপুরে এসে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বুধবার দুপুর বারোটায় দিকে শ্রীপুর মজুমদার বাড়িতে পৌঁছান তিনি। এখানে ফুলগাজী উপজেলায় স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ ও ঢেউটিন বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন তিনি।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘সারাদেশের মানুষ খালেদা জিয়াকে মায়ের মতো জানে। তিনিও সারাদেশের মানুষকে গণতন্ত্রের অধিকার আদায়ের জন্য আজীবন জীবন-সংগ্রাম করেছেন। তার স্বামী ছিলেন রাষ্ট্রপতি, সেনাবাহিনীর প্রধান। স্বৈরাচার এরশাদ যখন জনগণের কাছ থেকে ক্ষমতা ছিনিয়ে নিলো, তখন তরুণদের নিয়ে খালেদা জিয়া আন্দোলন করেছেন। সরকারে এসে তিনি দেশের জন্য, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য কাজ করেছেন। ছেলে-মেয়েদের পড়ালেখার জন্য বিনা বেতনে শিক্ষার ব্যবস্থা করেছেন। মেয়েদের চাকরির ব্যবস্থা করেছেন।’

বিএনপি মহাসচিব আরো বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর বেগম খালেদা জিয়ার নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে পাঠিয়ে দেয়া হয়। ছোট্ট একটি স্যাঁতসেঁতে ঘরে তাকে আটকে রাখা হয়েছিল। সেখানে ঠিকমত ঘুমাতে পারেননি। খেতে দেয়া হয়নি। যার কারণে তার অসুখ হয়ে যায়। ছয় বছর জেল খেটেছেন। তবুও তিনি মাথা নত করেননি। অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে এখনো মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছেন। অথচ যারা মানুষ মেরেছে, অত্যাচার-নির্যাতন চালিয়েছে আওয়ামী লীগের সেই দস্যুরা পালিয়েছে।’

১৫ বছরের জঞ্জাল সাফ করতে সময় লাগে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ড. মুহাম্মদ ইউনূস অত্যন্ত সম্মানী লোক। দেশের প্রতিটি মানুষ তাকে সম্মান করে। তিনি নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। ছাত্র-জনতার অভ্যূত্থানের পর তাকে প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তিনি ইতোমধ্যে কাজও শুরু করেছেন। রাতারাতি সবকিছু হয়ে যাবে না। ১৫ বছরের জঞ্জাল সাফ করতে সময় লাগে। তিন মাসের মধ্যে অনেক কাজ করেছেন। শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে। আওয়ামী লীগের লোক এখন আর অত্যাচার করতে পারে না। নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার গঠন হবে।’

উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ফখরুল আলম স্বপনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপানসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম ও জয়নাল আবদীন ভিপি, বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, যুগ্ম-মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহবায়ক রফিকুল আলম মজনু, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-প্রশিক্ষণ সম্পাদক রেহানা আক্তার রানু, সদস্য শাহানা আক্তার শানু ও আবু তালেব, জেলা বিএনপির আহবায়ক শেখ ফরিদ বাহার, সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলাল যুগ্ম-আহবায়ক প্রফেসর এম এ খালেক, গাজী হাবিব উল্যাহ মানিক, এয়াকুব নবী ও আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারী।

এছাড়া বক্তব্য রাখেন জেলা যুবদল সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন খন্দকার, স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি সাইদুর রহমান জুয়েল, সাধারণ সম্পাদক এসএম কায়সার এলিন, ছাত্রদল সভাপতি সালাহউদ্দিন মামুন, সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ আলম মিলন গাজী উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ফখরুল আলম স্বপন, ফুলগাজী উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাবেক চেয়ারম্যান আবুল হোসেন, সিনিয়ত যুগ্ম হাওয়ায়ক সাবেক সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম রসুল মজুমদার গোলাপ, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক ফরিদ আহমদ ভূঁইয়া যুগ্ম আহ্বায়ক শাহীন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকের আহ্বায়ক আমিরুল ইসলাম রসূল উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মোঃ ইউসুফ প্রমুখ।অনুষ্ঠানের পরে বন্যার্ত ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ ও ৫০ বান ডিউটিন বিতরণ করেন।

শিক্ষকতা পেশার এক দশক – আব্দুল্যাহ নয়ন

0

টাইম ডেস্ক :
২০ নভেম্বর ২০১৪ পেশাগত জীবনে আমার প্রথম দিন। সরকারি চাকুরীতে প্রবেশের এইদিন আমার বয়স ছিল ২৪ বছর ৫ মাস ২৩ দিন। আজ আমার চাকুরীর বয়স এক দশক পূর্ণ হলো। ২০১৩ সালে আমি সদ্য অনার্স পাস করা গ্যাজুয়েট। মনে নানা ধরনের স্বপ্ন। তবে বড় কোন ক্যাডার বা আমলা হওয়ার চিন্তা ছিল না। ইচ্ছা ছিল কোন কলেজের লেকচারার হয়ে সম্মান জনক ভাবে খেয়ে ধেয়ে জীবন কাটিয়ে দেব। কিন্তু আমার রিজিক বরাদ্ধ ছিল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে।

২০১৩ সালে ১ লা জুলাই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। আমি বিজ্ঞপ্তিটি দেখলে ও আবেদন করব কি করব না এই সব দ্বিধায় ছিলাম। তখন কলেজের এক ছোট ভাই বলল আবেদন করে পেলেন দেখেন না ভাগ্যে কী আছে!!! তখন সে নিজেই আবেদন টা করে দিল। আবেদন করার পর ভাবলাম পরীক্ষা দিয়েই দেখি। পরীক্ষার প্রবেশ পত্র ডাউনলোড করে দেখলাম কেন্দ্র পড়ল মাইজদী পিটিআই। ১৮ এপ্রিল ২০১৪ ইং লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলো, লিখিত পরীক্ষায় পাস করলাম, ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ভাইভা পরীক্ষা হয়,৭ নভেম্বর চূড়ান্ত রেজাল্ট প্রকাশিত হয়,১৮ নভেম্বর নিয়োগ পত্র ইস্যু করা হয়। ২০ নভেম্বর ২০১৪ সালে সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগদান সম্পন্ন করি। সেই বছর নোয়াখালীতে ২৩৫ জন নিয়োগ দেওয়া হয়। আমাদের উপজেলায় নিয়োগ দেওয়া হয় ১৫ জন। আমি বেচারা কোন কোটা ছাড়া মেধার ভিত্তিতে যোগদান করি। ঐ ২৩৫ জনের মধ্যে সবাই হয়তো এই পেশায় নেই। যারা আছে তাদেরকে ১০ বছর পূর্তিতে অভিনন্দন।

যোগদানের পর থেকে নিজের পেশাকে ভালোবেসেছি। দিন রাত কাজ করার চেষ্টা করেছি। বিদ্যালয়ের ছুটির পর ও অনেক কাজ করতাম। শেখাতে হলে আগে নিজে শিখতে হয়, প্রতিনিয়ত নিজেকে বদলাতে হয়। বদলাতে হলে প্রয়োজন নতুন স্থান, নতুন পরিবেশ, নতুন মানুষ ও নতুন ধারণা থেকে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করা। আমি বিশ্বাস করি, আমি কি হতে চেয়েছি আর বর্তমানে কি হয়েছি তার উপর আমার পেশাগত উতকর্ষতা নির্ভর করবে না। কারণ আমি অন্তরে-বাহিরে নিজেকে বদলে চলেছি নিরন্তর। আমি বিশ্বাস করি যারা বদলায় না, বদলাতে জানে না তারা স্থবির। আমি সে দলের নয়। বদ্ধ জলাশয় হওয়াটা আমার জীবনের লক্ষ্য নয়। “আমি একজন শিক্ষক” এই বোধ যখন আমার ভিতরের সত্ত্বাকে নাড়া দিতে থাকে, তখন আরো বহু পেশার মধ্যেও এই পেশার একজন হতে পেরে মন গর্বিত হয়ে ওঠে। আজ আমি বুকে ধারন করি- Teaching is a passion not a profession.

যদিও আমার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষকতা জীবন শুরু হয় ২০ শে নভেম্বর,২০১৪। আমার সত্যিকার শিক্ষকতা জীবন শুরু হয় ২০০৪ সালের এপ্রিল মাসের পর থেকে। দাখিল পরীক্ষা শেষ করার পর থেকে এ যাত্রা শুরু। যদিও সেটা প্রাতিষ্ঠানিক ছিলনা। প্রথম যাদেকে পড়িয়েছিলাম তারা এখন গ্র্যাজুয়েট সম্পন্ন করেছে। একজন Indoor Medical officer (IMO) ডাক্তার হিসেবে কর্মরত। একজন আমেরিকা ও একজন লন্ডন প্রবাসী। কিন্তু আমি আদম ভাগ্যের যাঁতাকলে পিষ্ট হয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রয়ে গেলাম। বিষয়টি হৃদয়ের অন্দরমহলে হতাশার ঝড় তোলে আর বুকের ভিতরের আর্তনাদ নিজেকে বাক্যবানে জর্জরিত করে এই বলে- “ প্রভাতের সুর্য উঠে, তবু কেন আমার কারাকক্ষ বিষাদে ভরা।’’ পরক্ষনেই মনকে প্রবোধ দিই এই বলে-“ আমি শিক্ষক, কঠিনকে করছি সহজ, অজানাকে জানার পথে সদা অগ্রজ।’’

শিক্ষকতা সৃষ্টিকর্তার দেয়া মহান দায়িত্ব। আমি গর্বিত পৃথিবীর সকল পেশার মধ্যে সেরা পেশার একজন হতে পেরে। আমি আরো গর্বিত বোধ করি এই জন্য , আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) একজন শিক্ষক ছিলেন।শিক্ষকদের কল্যাণার্থে তাঁর অন্যতম একটি দোয়া ছিল – “ হে আল্লাহ! সকল শিক্ষককে ক্ষমা করো। তাঁদের দীর্ঘজীবী নেক হায়াত দান করো।’’ পবিত্র ইসলাম ধর্মও শিক্ষকদের উচ্চ আসনে আসীন করেছে। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত রাসূল (সাঃ) এরশাদ করেন- “ তোমরা জ্ঞান অর্জন কর এবং জ্ঞান অর্জনের জন্য আদব-শিষ্টাচার শিখো। তাকে সম্মান কর যার থেকে তোমরা জ্ঞান অর্জন কর ।’’ (আল-মুজামুল আউসাত :৬১৮৪)

শিক্ষক নামটি বেশ ওজনদার। second mother খ্যাত শিক্ষক, প্রাণিত্বকে মনুষ্যত্বে কনভার্ট করার মহান দায়িত্বে ব্রত। শিক্ষকের কাজ সম্পর্কে বলতে গেলে Burtrand Russell –এর কথাটি না বললেই নয়। তিনি বলেন- শিক্ষকের কাজ দুটি। (১) শিক্ষার্থীদের পাঠের প্রতি আগ্রহী করে তোলা। (২) সেই আগ্রহকে নিবৃত করা । কিতাবে- কলমে কাজ দুটোকে সহজ মনে হলেও প্রাক্টিকালি কাজ দুটো খুবই কঠিন। যারা এ দুটো কাজ সুচারুরূপে করতে পারেন তারাই শিক্ষক। তাদের পদতলে শিক্ষার্থীরা মাথা ঝুঁকাতে বাধ্য। শিক্ষকদের ও মনে রাখা উচিৎ , “ সবাই যদি পারদকে স্বর্ণ করতে জানে তাহলে স্বর্ণের দামটা থাকবে কোথায় ?” অর্থাৎ প্রকৃত শিক্ষক হয়ে উঠা বহু সাধনার বিষয়।

অসম্ভব সুন্দর যাদু দেখায় জুয়েলাইট । হাতের যাদুর কাঠি হয়ে উঠে ফুলের তোড়া, ডিম থেকে ফুটে হয় ছানা-বাচ্চা, একটি রশিকে ১০ টুকরো করে নিমিষেই জোড়া লেগে দেয়। আর আমরা শিক্ষকরা জুয়েলাইটের চেয়েও বড় যাদুকর। চুম্বুকের মত আকর্ষন করার ক্ষমতা আছে আমাদের। আমাদেরকে কখনো অভিনেতা হতে হয়, কখনো কৃষক হতে হয়,কখনো ডাক্তার হতে হয় কখনো বা আবার খেলোয়াড় হতে হয়,কখনো চিত্র শিল্পী, কখনো কণ্ঠ শিল্পী হতে হয়ে। শিশুর শিখন আনন্দদায়ক ও স্থায়ী করার জন্য এক এক সময় এক এক রকম ভূমিকা রাখতে হয়। আমরা শিক্ষকরা শ্রেণিকক্ষে কথার তুবড়ি ছুটিয়ে শিক্ষার্থীদের বিমোহিত করি। একশ আকাশ, একশ নদী, অযুত স্বপ্ন বুকে পুষতে বাধ্য করি । আমরা শিক্ষকরা হচ্ছি রাস্তার মত, রাস্তা যেমন একই জায়গায় দাঁড়িয়ে থেকে পথিককে তার গন্তব্যে পৌঁছিয়ে দেয় শিক্ষকরাও তেমনি তাদের শিক্ষার্থীদেরকে স্বপ্নের পথে হাঁটিয়ে নিজ লক্ষ্যে পৌঁছে দেয় আর আমরা একই জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকি। তাই আমরা শিক্ষকরা গর্ব করে বলতেই পারি- We can make a difference.

তুলনা বিচারে বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষকতায় প্রাপ্তির চেয়ে অপ্রাপ্তির পাল্লাই ভারী। স্বাধীনতার ৫৩ বছরে ও শিক্ষকরা এখনো তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী। দৈনিক টিপিন ভাতা পান মাত্র ৬.৬৬ টাকা, ভ্যাকেশনাল ডিপার্টমেন্টের নামে অর্জিত ছুটি থেকে বঞ্চিত ও অবসরে আর্থিকভাবে ক্ষতগ্রস্থতা, উচ্চতর স্কেল পাওয়ার ক্ষেত্রে বঞ্চিত, গ্রেডেশনে সিনিয়র জুনিয়র সমস্যা,পদোন্নতির ক্ষেত্রে জটিলতা ও অনাকাঙ্ক্ষিত দীর্ঘসূত্রীতা, রয়েছে আরো নানা চরম বৈষম্য। এ ছাড়া রয়েছে মান-মর্যাদার প্রশ্ন। আরো কম যোগ্যতার কর্মচারী আরো উপরের গ্রেডে বেতন পাওয়া, সম যোগ্যতায় ১০ম গ্রেড পাওয়া কর্মচারী ও আছে অনেক। আর এসব কারণে প্রাথমিকে অনেক শিক্ষক ঝরে পড়ে। আমরা শিক্ষার্থী ঝরে পড়া নিয়ে কাজ করলে ও শিক্ষক ঝরে পড়া নিয়ে কী কাজ করি?

তবে আমার সামান্য অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি শত সমস্যার মাঝেও শিক্ষকতা এমন একটি পেশা যেখানে অপেক্ষাকৃত স্বাধীনভাবে কাজ করা যায়, অপেক্ষাকৃত উৎকণ্ঠাবিহীন ভাবে থাকা যায়, অপেক্ষাকৃত কম তাঁবেদারি করে থাকা যায়, অপেক্ষাকৃত স্বচ্ছ বিবেক নিয়ে কাজ করা যায়। শিক্ষকতার সার্থকতা- ব্যর্থতা,ভালোলাগা, নালাগা-সবই নির্ভর করে শিক্ষার্থীদের সাথে সম্পর্কের ওপর। শিক্ষার্থীদের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার ওপর। আমি প্রাথমিকের শিক্ষক হয়েছি আপসোস নেই। যখন দেখি আমার ছাত্র-ছাত্রীরা, তাদের অভিভাবকেরা সম্মান দিচ্ছে, তাদের স্বপ্নকে আমাদের হাতে তুলে দিচ্ছে আর সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারলে তখন ভালো লাগে, গর্বে বুক ভরে যায়। নিতান্তই ক্ষুদ্র একজন শিক্ষক হিসেবে আমার সকল ক্ষুদ্রতা ঢেকে যায়। ওদের সাফল্যের মাঝে খুঁজে পাই আমার শিক্ষক জীবনের সার্থকতা।

নিজের পেশার প্রতি ভালোবাসা ও প্রচেষ্টার ফলে ২০২৩ সালে কোম্পানীগঞ্জের শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষক নির্বাচিত হয়ে জেলায় ও ২০২৪ সালে নোয়াখালী জেলার শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষক নির্বাচিত হয়ে বিভাগে অংশ গ্রহণ করার সুযোগ হয়েছে। আমার প্রিয় সহকর্মীবৃন্দ সহ এ পেশার সাথে সংশ্লিষ্ট যাঁদের আন্তরিকতা আর সহযোগিতায় এ পেশায় এখনও থাকতে পারছি তাদের নিকট কৃতজ্ঞ । প্রিয় শিক্ষার্থী সহ সকলের জন্য রইল আন্তরিক শুভ কামনা । মহান আল্লাহ যেন বাকি সময়টা সুস্থতার সঙ্গে, নিরাপদে, সম্মানের সঙ্গে অতিবাহিত করার এবং যথাযথ দায়িত্ব পালন করার সামর্থ্য দেন এটাই প্রত্যাশা করছি । সকলের নিকট দোয়ার আবেদন রইলো।

লেখকের :ফেসবুক আইডি থেকে

রুনা লায়লার চিঠি কেন আসে না লিলিনের কন্ঠে!

0

বিনোদন ডেস্ক :
রুনা লায়লা ও লিলিন উপমহাদেশের প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী, সুরস্রষ্টা রুনা লায়লা গাওয়া ‘চিঠি কেন আসে না আর দেরি সহেনা’ গানটি শ্রোতা দর্শকের মধ্যে দারুণ সাড়া ফেলেছিলো। ফজলে আহমেদ বেনজীর পরিচালিত প্রয়াত নায়িকা দিতি ও কলকাতার নায়ক প্রসেনজিৎ অভিনীত ‘প্রিয় শত্রু’ সিনেমায় গানটি ব্যবহার হয়। গানটি মনিরুজ্জামান মনিরের লেখায় সুর-সঙ্গীতে ছিলেন আলম খান।

গানটির মূল ভার্সন ‘অনুপম মুভি সংস’ চ্যানেলে প্রকাশিত আছে। ২০২১ সালে ইউটিউবে প্রকাশিত গানটি এখন পর্যন্ত এক কোটিরও বেশি ভিউয়ার্স উপভোগ করেছেন। তবে ইউটিউবের যুগ আসার আগেই এই গান বহু জনপ্রিয় এক গানে পরিণত হয়েছে।

এবার জনপ্রিয় এই গানটি হালের শ্রোতাপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী লিলিন মুন নতুন সঙ্গীতায়োজনে গেয়েছেন। গানটির নতুন করে সঙ্গীতায়োজন করেছেন শাহরিয়ার রাফাত। মিউজিক ভিডিও নির্দেশনা দিয়েছেন শিথিল রহমান। এরইমধ্যে গানটি নিয়ে অনুপম’র এর কর্ণধার মো. আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে দেখাও করেছেন লিলিন মুন।

লিলিন মুন বলেন,‘আমার সঙ্গীত জীবনের পরম শ্রদ্ধার, ভালোবাসার আর অনুপ্রেরণার নাম শ্রদ্ধেয় রুনা লায়লা ম্যাডাম। কখনো ভাবিনি তার গান এভাবে কাভার করতে পারবো। যেহেতু ক’দিন আগেই তাঁর জন্মদিন ছিলো। তাই অনেকটাই সাহস করে চিঠি কোনো আসেনা গানটি গাইবার সাহস করলাম। কারণ এই গানটি ছোটবেলা থেকেই আমার ভীষণ প্রিয়। জানিনা কেমন গেয়েছি।

শ্রোতা দর্শকের কেমন লাগবে সেটা নিয়ে খুব বেশি ভাবনায় না থাকলেও শ্রদ্ধেয় রুনা লায়লা ম্যাডামের যদি একটু হলেও ভালোলেগে থাকে তাতেই আমি ধন্য হবো, মনে করবো এটাই আমার জীবনের অনেক বড় প্রাপ্তি। ধন্যবাদ আনোয়ার ভাইকে তার চ্যানেলে আমার গানটি প্রকাশের সুযোগ করে আমাকে অনুপ্রাণিত করার জন্য। ধন্যবাদ রাফাত ভাই ও শিথিল’কে সঙ্গে থেকে সাহস দেবার জন্য।’

অনুপম’র কর্ণধার মো. আনোয়ার হোসেন জানান, লিলিনের কন্ঠে রুনা লায়লার কাভার করা এই গানটি আগামীকাল সন্ধ্যায় প্রকাশ পাবে।

৩৭ সাংবাদিকের জাতীয় প্রেস ক্লাবের সদস্য পদ স্থগিত

0

নিউজ ডেস্ক:
বেশ কজন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকসহ ৩৭ সাংবাদিকের জাতীয় প্রেসক্লাবের সদস্য পদ স্থগিত করা হয়েছে। রোববার (১৭ নভেম্বর) প্রেসক্লাবের সভাপতি হাসান হাফিজ এবং সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত নোটিশে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, জুলাই বিপ্লবে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গণহত্যায় উস্কানি প্রদান এবং পতিত সরকারের দোসর হিসেবে কাজ করার দায়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবের ৩৭ জন সদস্যের সদস্য পদ স্থগিত করা হলো। গত ২৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত ক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে নোটিশে জানানো হয়।
যাদের সদস্যপদ স্থগিত
জাতীয় প্রেস ক্লাবের যাদের সদস্য পদ স্থগিত করা হয়েছে এই তালিকায় সিনিয়র অনেক সাংবাদিকের নাম রয়েছে। তারা হলেন- নূরুল আমিন প্রভাষ, জায়েদুল আহসান পিন্টু, মোজাম্মেল বাবু, আশীষ সৈকত, ইকবাল সোবহান চৌধুরী, সোহেল হায়দার চৌধুরী, ফরজানা রুপা, অশোক চৌধুরী, আজমল হক হেলাল, আবুল খায়ের, মোহাম্মদ মঞ্জুরুল ইসলাম, প্রণব সাহা, নঈম নিজাম, খায়রুল আলম, আবেদ খান, সুভাষ চন্দ বাদল।

এই তালিকায় আরও আছেন জহিরুল ইসলাম মামুন (জ.ই মামুন), জাফর ওয়াজেদ, সাইফুল ইসলাম কল্লোল, পাভেল রহমান, আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া, শাবান মাহমুদ, মুহম্মদ শফিকুর রহমান, আবুল কালাম আজাদ, শ্যামল সরকার, অজয় দাশগুপ্ত, আলমগীর হোসেন, রমাপ্রসাদ সরকার বাবু, সঞ্জয় সাহা পিয়াল, ফারাজি আজমল হোসেন, আনিসুল রহমান, নাঈমুল ইসলাম খান, মো. আশরাফ আলী, ইখতিয়ার উদ্দিন ও আবু জাফর সূর্য।

সূত্র ইত্তেফাক