মোহাম্মদ আমান উল্যা, চাটখিল (নোয়াখালী) প্রতিনিধি:
বাংলাদেশে এই প্রথম সচেতন অভিভাবকত্বে গড়ে উঠতে ফ্রি প্যারেন্টিং কোর্স করিয়ে অভিভাবকের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে চাটখিল ও সোনাইমুড়ির গৌরব উজ্জ্বলীত সু-পরিচিত প্রতিষ্ঠান ডা: মোস্তফা হাজেরা ফাউন্ডেশন।
শুক্রবার (২ মে) সকালে জয়াগ মহাবিদ্যালয় অডিটোরিয়ামে ব্যতিক্রমী অনুষ্ঠানে চাটখিল ও সোনাইমুড়ী উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৫শ শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে।
বাংলাদেশের সর্বপ্রথম অভিভাবকদের দায়িত্বশীলতা নিয়ে প্যারেন্টিং কোর্সের যাত্রা শুরু করেন ডাঃ মোস্তফা হাজেরা ফাউন্ডেশনের প্রধান উপদেষ্টা ক্যাপ্টেন গোলাম কিবরিয়া, গোলাম মর্তুজা, জহিরুল ইসলাম ও গোলাম মাওলা।
ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা গোলাম মর্তুজার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে কোর্স সম্পর্কে উপস্থাপন করেন যুক্তরাজ্য মানসিক হাসপাতালের সাবেক ডেপুটি ম্যানেজার জিয়াউল হক। বিশেষ অতিথি ছিলেন যুক্তরাজ্যের টেলিভিশন উপস্থাপক ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সুমন মাহমুদ।
কোর্সের আওতায় অভিভাবকদের দায়িত্ব, বয়স অনুযায়ী আচরণ, চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতি মোকাবেলা, অন্তরীন সম্পর্ক ও আত্মউন্নয়ন বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
ডাঃ মোস্তফা হাজেরা ফাউন্ডেশন দীর্ঘদিন থেকে চাটখিল ও সোনাইমুড়ী উপজেলায় বিভিন্ন সামাজিক ও মানবিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। সেই ধারাবাহিকতায় এ অঞ্চলের সর্বসাধারণের স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নে হাজার কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিয়েছে।
প্যারেন্টিং কোর্স করিয়ে অভিভাবকের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে ডা: মোস্তফা হাজেরা ফাউন্ডেশন।
নারী শিক্ষায় অবদান রেখেছে জৈতুন নাহার কাদের মহিলা কলেজ
শাহাদাত হোসেন ক্যাম্পাস থেকে ফিরে :
নোয়াখালী কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত জৈতুন নাহার কাদের মহিলা কলেজে শিক্ষার পরিবেশ অক্ষুণ্ন রয়েছে।শিক্ষক, ক্লাসরুম, বিজ্ঞান ভবন, একাডেমিক ভবন, ছাত্রী নিবাসসহ, এবং মনোরম পরিবেশে নারী শিক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা রাখছে এ কলেজটি।
কলেজ সূত্রে জানা যায়,২ একর ৩১ শতাংশ জমির উপর ৯ ডিসেম্বর ২০১০ সালে জৈতুন নাহার কাদের মহিলা কলেজটি স্থাপিত হয়। কলেজটি এমপিওভুক্ত ২০২২ সালে।কলেজটি প্রতিষ্ঠাতা বিশিষ্ট সমাজ সেবক মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন, এবং কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ বেলায়েত হােসেন অবদান রাখেন।
এই কলেজে অধ্যক্ষ ১জন,উচ্চমাধ্যমিক ও ডিগ্রি সবমিলিয়ে প্রভাষক ৩০ জন, স্টাফ ৯জন রয়েছে। উচ্চমাধ্যমিকে ৪৮০জন শিক্ষার্থী, এবং ডিগ্রি পর্যায়েও শিক্ষার্থী রয়েছে।
এ কলেজে একটি পাঠাগার রয়েছে,
এতে প্রায় সহস্রাধিক অধিক বই সংগৃহীত আছ,। কলেজে ১০০ আসনের ৪ তলা বিশিষ্ট একটি ছাত্রী নিবাস রয়েছে।
কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ বেলায়েত হােসেন “দৈনিক আজকালের কন্ঠ” কে বলেন,দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারী। তাই নারীদের শিক্ষার বাহিরে রেখে দেশের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন সম্ভব না। নোয়াখালী কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় সরকারি মুজিব কলেজে সহশিক্ষা চালু থাকলেও রক্ষণশীল পরিবারের মেয়েদের জন্য সহশিক্ষায় শিক্ষাগ্রহণ বাধাগ্রস্ত হওয়া কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় একটি মহিলা কলেজ প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়।
এই প্রেক্ষিতে স্থানীয় নাগরিক সমাজের আন্তরিক প্রয়াসে ২০১০ সালে জৈতুন নাহার কাদের মহিলা কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই কলেজটি নোয়াখালী জেলার অন্যতম নারীশিক্ষা কেন্দ্র হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ক্রমে ক্রমে কলেজের ভবন এবং শিক্ষার পরিসর বাড়তে থাকে। অপরিহার্য বিবেচনায় ২০২২ সালে কলেজটি এমপিওভুক্ত করা হয়। তখন কলেজের নামকরণ হয় ‘জৈতুন নাহার কাদের মহিলা কলেজ’।
নারীশিক্ষায় কলেজটি শুরু থেকেই গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে আসছে। সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং ক্রীড়া ক্ষেত্রসহ অন্যান্য সহশিক্ষা কার্যক্রমে কলেজটি সাধ্যমত ভূমিকা রেখে আসছে। উচ্চমাধ্যমিক এবং ডিগ্রি(পাস) পর্যায়ে এখানে পাঠদান করা হয়। বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষায় কলেজের সামগ্রিক ফলাফল সন্তোষজনক। এই মান আরও উন্নীত করতে কলেজ প্রশাসনের নেতৃত্বে কলেজের নিবেদিত শিক্ষকবৃন্দ আন্তরিকভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
হাতের মুঠোয় তথ্যপ্রাপ্তির সুযোগ সৃষ্টি করার জন্য কলেজের নিজস্ব ডায়নামিক ওয়েবসাইট তৈরি করা হয়েছে। ছাত্রীরা এবং তাদের অভিভাবকবৃন্দ ঘরে বসেই প্রয়োজনীয় তথ্য উপাত্ত পেতে এই ওয়েবসাইট ভূমিকা রাখবে। এছাড়া বর্তমানে সমগ্র কলেজ চত্তর সিসিটিভির আওতায় এনে শৃঙ্খলা এবং সার্বিক পরিবেশ সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা হয়। অধিকতর বোধগম্যভাবে পাঠ উপস্থাপনের জন্য বেশ কয়েকটি শ্রেণিকক্ষে ইতোমধ্যে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর ব্যবহার করা হচ্ছে।
বসুরহাটে বিলিফ রেস্টুরেন্ট এণ্ড পার্টি সেন্টার উদ্বোধন
স্টাফ রিপোর্টার:
বাংলা নববর্ষের পহেলা বৈশাখে নতুন আঙ্গিকে নোয়াখালী কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বাণিজ্যিক প্রাণ কেন্দ্র বসুরহাটে আরও একটি ‘বিলিফ রেস্টুরেন্ট এণ্ড পার্টি সেন্টার নামে বাংলা চাইনিজ রেস্টুরেন্ট উদ্বোধন করা হয়েছে।
বসুরহাট পুরাতন টেম্পু স্টান্ড সোমবার ১৪ এপ্রিল,পহেলা বৈশাখ,সকাল ৮ ঘটিকায় বিশিষ্ট সমাজ সেবক ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ নওশাদ ফিতা কেটে এই বিলিফ রেস্টুরেন্ট এন্ড পার্টি সেন্টার উদ্বোধন করেন।
ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ নওশাদ বলেন,
রেস্টুরেন্টটির মনোরম ও নির্মল পরিবেশ ভোজন রসিকদের প্রশান্তি দেবে বলে আমি মনে করি। তিনি বলেন, আমি প্রত্যাশা করি সুস্বাদু চাইনিজ খাবারের সমাহার এবং চমৎকার পরিবেশনের কারণে অতিথিদের কাছে কোম্পানীগঞ্জের অন্যতম জনপ্রিয় একটি রেস্টুরেন্ট হয়ে উঠবে বিলিফ রেস্টুরেন্ট এন্ড পার্টি সেন্টার।
প্রোপাইটার কামরুজ্জামান বাবু বলেন, ভোজনবিলাসী মানুষগুলোর কথা ভেবে নতুন মাত্রা নিয়ে যাত্রা শুরু করেছে বিলিফ রেস্টুরেন্ট এন্ড পার্টি সেন্টার নারী-পুরুষ জন্য মনোরম পরিবেশ খাবারের গুণগত মান ঠিক রেখে আমাদের কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
এই রেস্টুরেন্টে থাকবে মানসম্মত খাবারের নিশ্চয়তা। দেশি খাবারের পাশাপাশি থাকবে সব ধরনের চাইনিজ খাবারের সমাহার। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের সামুদ্রিক মাছ, কাবাব, বিফ, চিকেনের রেসিপি।এখানে বিয়ে, সুন্নতে খাতনা ও অন্যান্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যাবে।এই শুভযাত্রায় সকলের সহযোগিতা ও সমর্থন প্রত্যাশা করেন। এ সময়ে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক ছাত্রদল নেতা মিজানুর রহমান মিলনসহ স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মী, গণ্যমান্য ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ।
অনুষ্ঠানে দোয়া পরিচালনা করেন, মাওলানা মোঃ আহছান উল্লাহ।
কোম্পানীগঞ্জে ৬ মাদকসেবীসহ গ্রেফতার ৭
কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি :: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার রাতে কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশের কয়েকটি টিম উপজেলার সবকটি ইউনিয়নে রাতভর অভিযান পরিচালনা করে। তাদের অভিযানে ৭ জন আসামী গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন, কবিরহাট উপজেলার লামছি এলাকার মাদকসেবী মো. আলা উদ্দিন মিষ্টার (৩৩), মো. সালা উদ্দিন বুলেট (২৫), চর ফকিরা ইউনিয়নের রিয়াদ হোসেন (২২), পন্ডিতের হাট অলি উল্যাহ সাগর (১৯), বসুরহাট পৌরসভার কাজী নজরুল ইসলাম (১৯), জিয়াউল ইসলাম (৩৮), সিরাজপুর ইউনিয়নের মোহাম্মদনগর এলাকার সাজাপ্রাপ্ত আসামী চন্দন কুমার শীল (৩২)। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে বসুরহাট পৌরসভার কাজী নজরুল ইসলাম ও জিয়াউল ইসলামকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তিনমাসের বিনাশ্রম সাজা দেয়া হয়েছে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম জানান, ওয়ারেন্ট তামিল ও সার্বিক আইন শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে তাদেরকে মাদকসহ আটক করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে ।
ভাষানচরকে হাতিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন করার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বিক্ষোভ
হাতিয়া (নোয়াখালী) সংবাদদাতা :: হাতিয়া দ্বীপের অন্তর্ভুক্ত ভাষানচরের মালিকানা নিয়ে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও অবস্থান ধর্মঘট পালন করেছে হাতিয়াবাসী। মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সকাল থেকে উপজেলা সদরের ওছখালি গোলচত্তরে হাতিয়া ভাসানচর রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে এ প্রতিবাদ সভা ও অবস্থান ধর্মঘট পালন করা হয়।
এ সময় হাতিয়া উপজেলা সদরের প্রধান সড়ক দীর্ঘ সময় বিক্ষোভে উত্তাল ছিল। বিক্ষুব্ধ জনতা ভাসানচরের উপর অবৈধ হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে নানান স্লোগান দিয়ে থাকে। তারা এসময় উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খানের পদত্যাগের দাবি করে। এতে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন সহকারি অধ্যাপক আনম নাঈম শামীম, এডভোকেট নুরুল ইসলাম, এডভোকেট ফজলে আজিম তুহিন, আব্দুল কাদের , জি এম ইব্রাহিম , আরজুল সাফদার, আমজাদ সাফদার, এডভোকেট সাদ্দাম হোসেন, মো: ফাহিম উদ্দিন, সুমন তালুকদার, আরেফিন আলী, রিয়াজ মাহমুদ,আয়াত হোসেন জুয়েল, মো: হালিম ও ডাক্তার জোবায়েরসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
অবস্থান ধর্মঘটে বিক্ষুদ্ধরা বলেন, ভাসানচর একটি মিমাংসীত বিষয়। এটিকে সন্ধীপের সাথে নিয়ে যাওয়ার অপচেষ্টা করে আঞ্চলিক দাঙ্গা লাগানোর উসকানি দেওয়া হচ্ছে। এই বিষয়ে নগ্ন হস্তক্ষেপ করছেন সন্ধীপের বাসিন্দা ও বর্তমান সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্ঠা ফাওজুল কবির খান। যা কোন ভাবে মেনে নেওয়া হবে না। আঞ্চলিক শান্তি বিনষ্ট করার কারণে এই উপদেষ্ঠার পদত্যাগের দাবি জানানো হয় প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে।
জানা যায়, নোয়াখালী থেকে সন্ধীপ আলাদা হয় ১৯৫৪ সালে। এর পর সাগরে জেগে উঠা নতুন এসব চর নোয়াখালী জেলার সাথে রেখে কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ভাসানচরের দিয়ারা জরিপের মাধ্যমে ৬টি মৌজায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সেই ছয় মৌজার একটি ভাসানচর। পরে হাতিয়া উপজেলাধীন বনবিভাগ ২০০২-২০০৩ সালে বনায়ন সৃজন করে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্প হিসেবে ভাসানচরকে হাতিয়া উপজেলার প্রশাসনিক এলাকার মধ্যে নিরাপত্তাসহ রাষ্ট্রীয় সকল ধরনের কর্মকান্ড পরিচালিত হচ্ছে।
সরকারের এই গেজেট উপেক্ষা করে ভাসানচরকে সন্ধীপের সাথে নিয়ে যাওয়ার অপচেষ্টার বিরুদ্ধে হাতিয়া সহ জেলা ও রাজধানীতে ভাসানচর রক্ষা আন্দোলন কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে।
নোয়াখালী-৫ আসনে নির্বাচনের আগেই ভোটের আমেজ!
আজগর আলী :: ঐতিহাসিক ও ভৌগলিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কোম্পানীগঞ্জ-কবির হাট (নোয়াখালী-৫) নির্বাচনী এলাকার সাবেক সংসদ সদস্য, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও উপরাষ্ট্রপতি ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ এর মৃত্যুর পর কার্যতঃ এ আসনের জাতীয়তাবাদী শক্তি স্তিমিত হয়ে পড়ে। দলটির নেতা-কর্মিগণ হয়ে পড়েন নিতান্ত অভিভাবকহীন। ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের জুলুম-নির্যাতন ও হামলা-মামলায় জর্জরিত হয়ে নেতা-কর্মীরা যখন দিশেহারা ; তখনই এ আসনের জাতীয়তাবাদী তাঁবুতে ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হন ২০০০ সাল থেকে মওদুদ আহমদ সাহেবের রাজনৈতিক-সহচর দেশের বিখ্যাত আবাসন শিল্প প্রতিষ্ঠান মেট্রো গ্রুপ ও দেশের শীর্ষস্থানীয় জীবন-বীমা কোম্পানী ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লি. এর বর্তমান চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল, কোম্পানিগঞ্জ শাখার আহবায়ক কমিটির প্রভাবশালী সদস্য আলহাজ্ব মো. ফখরুল ইসলাম।

আবু সাঈদের মত দু-হাত প্রসারিত করে এ আসনের নেতাকর্মীদেরকে পরম যত্নে আগলে রাখেন তিনি । ফ্যাসিস্ট হাসিনার দায়ের করা সকল মামলা-মোকদ্দমাকে মোকাবিলা করেন স্বউদ্যোগে, সফলভাবে এবং তিনি সবসময় সর্বাত্মকভাবে আহত নেতা-কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এ আসন থেকে হাসিনা-বিরোধী সকল আন্দোলনকে জোরদার ও বেগবান করার লক্ষ্যে দুর্বার ভূমিকা রেখে একজন সত্যিকারের জননেতা হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হন। ফলস্বরুপ হাসিনা কাদের গং এর রোষানলে পড়ে তিনি নিজেই ঢাকা-নোয়াখালী মিলে প্রায় ২০ টিরও অধিক রাজনৈতিক মামলার আসামী হয়েছেন, পুলিশি নির্যাতন সহ্য করেছেন এবং প্রায় দীর্ঘ ৫ মাস ফ্যাসিস্ট হাসিনার কারাগারে বন্দী ছিলেন। এমনকি খুনি হাসিনা তার ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রযন্ত্রকে লেলিয়ি দিয়ে মো. ফখরুল ইসলামের ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানকে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করেছে ।
কিন্তু, ফ্যাসিস্ট হাসিনা তার সকল অপশক্তি দিয়েও উনাকে রুখতে পারে নি। বরং তিনি দিগুণ উৎসাহে নেতাকর্মীদের বটবৃক্ষের মত আগলে রেখে আন্দোলনকে আরও ক্ষুরধার করে তোলেন। ঢাকা-চট্টগ্রাম ফেনী-মাইজদী-সহ দেশের বিভিন্ন-স্থানে হাসিনা-বিরোধী বিভিন্ন কর্মসূচীকে সফল করার জন্য সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন ।
ফলস্বরূপ সারাদেশে দুর্বার জনমত তৈরী হওয়ার প্রেক্ষিতে ৫ আগষ্ট- ২৪ এর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে খুনি হাসিনার নির্মম পতন হলে বাংলাদেশের মানুষের চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয় ।
আলহাজ্ব ফখরুল ইসলাম প্রতিশোধোন্মূখ না হয়ে তাঁর নেতা-কর্মীদেরকে ধৈর্য ধারন করে বিজয় উদযাপন করতে নির্দেশ দেন এবং কোনো রাজনৈতিক চাঁদাবাজকে প্রশ্রয় না দেওয়ার দ্যর্থহীন ঘোষণা দেন। ফলস্বরূপ ৫ আগস্ট-পরবর্তী কোনো ধরনের অনিয়মের কাদা তাঁর গায়ে লাগতে পারে নি, লাগে নি । বরং ৫ আগস্ট পরবর্তী ভারতের পানিআগ্রাসনে সৃষ্ট বন্যায় অতীতের মত সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে নজীরবিহীন ভূমিকা রেখে সর্ব-মহলে প্রসংশিত হন তিনি।
সম্প্রতি জনদরদি এবং আজীবন গণতন্ত্রকামী এ নেতা এ নির্বাচনী এলাকায় বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে গণ-সংযোগ করেন এবং বিভিন্ন উৎসবাদিতে সাধারণ মানুষের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করতে জনতার কাতারে আপনভাইয়ের ন্যায় শামিল হন। ফলে এ অঞ্চলের মানুষ এবার একটি অবিস্মরণীয় ঈদ উদযাপন করতে সক্ষম হন। এলাকায় তাঁর এ বিরামহীন পদচারনায় নির্বাচন না আসার আগেই এলাকায় একটি স্বতস্ফুর্ত নির্বাচনী আমেজ তৈরি হয়েছে।
আর এটা কেবল সম্ভব হয়েছে তাঁর কর্মিবাৎসল্য, অহিংস মনোভাব ও আন্তরিক বদান্যতার দরুন। তারঁ সকল কর্মযজ্ঞের ফলস্বরূপ দলমত নির্বিশেষে তিনি এখন এলাকার মানুষের একজন ভরসার পাত্র হিসাবে আভির্ভূত হয়েছেন।
আশা করা যাচ্ছে তিনি বাংলাদেশের সর্বাধিক আলোচিত এ আসনটির সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে নোয়াখালী ৫ আসন তার হারানো গৌরব ফিরে পাবেই।
লেখক : মো. আজগর আলী
ভিপি, ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লি.
কোম্পানীগঞ্জে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ উদ্বোধন
স্টাফ রিপোটার :
“জাটকা ধরা বন্ধ হলে, ইলিশ উঠবে জাল ভরে” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ-২০২৫ উদ্বোধন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে উপজেলা মৎস অধিদপ্তরের আয়োজনে উপজেলার চরএলাহী ইউনিয়নের চরএলাহী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নোয়াখালী জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর ফরহাদ শামীমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নোয়াখালী জেলা মৎস্য অফিসার মো. ইকবাল হোসেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রশান্ত চক্রবর্তী, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম সরকার, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম প্রমুখ।
আমরা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে থাকলে জনগণ আমাদের পাশে থাকবে -ফখরুল ইসলাম
স্টাফ রিপোর্টার:
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির প্রভাবশালী সদস্য ও ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স এবং মেট্রো হোমসের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ফখরুল ইসলাম বলেছেন,আমরা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে থাকলে জনগণ আমাদের পাশে থাকবে।মুছাপুর আমার এলাকা এখানে দল-মত, ধর্ম,বর্ণ নির্বিশেষে সকলেই আমার লোক।আমি সকলের এখানে সমর্থন ও সহযোগিতা চাই । মুছাপুর, রামপুরসহ কোম্পানীগঞ্জ দক্ষিণ অঞ্চলে দল-মতের উবের্ধ রেখে কাজ করতে হবে। আমি আপনাদের সন্তান। এই মুছাপুর আমার রক্তের সম্পর্ক এখানে রাজনৈতিক গুরুত্ব বিষয় নয়। এই মুছাপুর ইউনিয়নে আপনারা আমার,আমি আপনাদের। এখানে আমাদের সামাজিক, আত্মীয় ও প্রতিবেশী সম্পর্ক।সামাজিক,আত্মীয়, প্রতিবেশীর সম্পর্ক ও রক্তের বন্ধনে আমরা সকলে ঐক্যবদ্ধ থাকবো।
শুক্রবার (৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আবু নাছের (নাছের মাস্টার) এর সভাপতিত্বে ও মুছাপুর ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি হাজী মোহাম্মদ ইব্রাহিম এর সঞ্চালনায় মুছাপুর বাংলা বাজারে ঈদ পরবর্তী গণসংযোগ শেষে একটি রেস্টুরেন্টে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন,এখানে আমরা কখনো অন্যায়ের সাথে জড়িত হবো না।আমরা হাট দখল, জমি দখল, সিএনজি স্ট্যাণ্ড দখল, বালু উত্তোলন ও চাঁদাবাজির সাথে কেউ সম্পৃক্ত হবো না এবং যারা এসবের সাথে সম্পৃক্ত হবে তাদেরকে আমাদের সাথে রাখবো না।
অন্যায়কারীদের সাথে আমাদের কোন আপোষ নেই। আমরা জালেমের পক্ষে নয়,মজলুমের পক্ষে। সাধারণ মানুষ আমাদের পক্ষে আছে এবং থাকবে।
যারা পদ ব্যবহার করে এমন কাজ করবে তাদের পথ ক্ষণস্থায়ী। যার প্রমাণ বিগত জেলা কমিটি।
জেলাতে যারা এমন কাজ করছে তাদের কোন অস্তিত্ব আছে ? যারা পদ নিয়ে বেড়াচ্ছে তাদের এই পথ কাউন্সিলর ও ভোটের মাধ্যমে হয়নি । উপরের লোকদের হাত-পা মালিশ করে এই পদ দখল করেছে। এই পদগুলো ক্ষণস্থায়ী।
তিনি আরো বলেন, হাসিনা- কাদের, ও মির্জা কাদের ক্ষমতার যে দাপট দেখিয়ে ছিল তাদের এমন দাফট আছে? নেই। কোম্পানীগঞ্জে বিএনপির পদধারীদের দাপটও ক্ষণস্থায়ী এটি থাকবে না। যখন জনগণ তাদের অপকর্মে থু- থু মারবে অস্ত্র, পুলিশ, টাকা, কিছুই কাজে আসবেনা। জনগণকে আপনারা ভালোবাসবেন জনগণকে আপনার পাশে পাবেন।
এসময়ে উল্লেখযোগ্য নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপি যুগ্ম আহবায়ক আনিছুল হক, সদস্য একরামুল হক মিলন, হারুনুর রশীদ ভুঁইয়া,লুৎফুর কবির, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেদী হাসান টিপু, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আজিজ আজমীর,মুছাপুর কৃষক দল’র আহ্বায়ক আবদুল মোতালেব মঞ্জু,মুছাপুর কৃষক দল’র সদস্য সচিব মাহামুদুল হাসান জাহেদ, মাসুদ রানাসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
পেশকার হাট মোবারকীয়া ঐতিহাসিক ঈদগাহে অন্যতম ঈদের বড় জামাত অনুষ্ঠিত
স্টাফ রিপোর্টার :
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় পেশকার হাট মোবারকীয়া ঐতিহাসিক ঈদগাহে অন্যতম ঈদের বড় জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবারে( ৩১ মার্চ) সকাল ৯টায় ঈদ জামাতে অংশ নিতে আসা মুসল্লিদের ভিড়ে পূর্ণ ছিল ঈদগাহ ময়দান। এছাড়াও আশ পাশের রাস্তায় ছিলো মুসল্লিদের নামাজের সারি।
সোমবার (৩১ মার্চ)হযরত মাওলানা ফয়সাল কামাল সিদ্দিকী জৈনপুরী’র ইমামতিতে অনুষ্ঠিত ঈদ জামাত শেষে দেশের শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য দোয়া করা হয়।
পেশকার হাট মোবারকীয়া ঐতিহাসিক ঈদগাহ ময়দানে সোমবার সকাল থেকে ঈদ জামাতে অংশ নিতে জড়ো হতে শুরু করেন আশপাশের ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা থেকে ছুটে আসে ধর্মপ্রাণ মুসল্লি।
সুন্দর ও মনোরম শীতল পরিবেশে
ঈদগাহে ঈদের নামাজ শেষ করে বাড়ি ফেরেন মুসল্লীরা।আয়োজক বৃন্দ প্রত্যেক সারিতে প্রত্যেক মুসল্লিদের জন্য পানির পিপাসা মিটাতে ব্যবস্থা করেছিলেন মামের বোতল।
খুতবা পূর্বে পেশকার হাট মোবারকীয়া ঈদগাহ কমিটির সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ’র সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ঢাকার বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম’র সঞ্চালনায় রমজান ও ঈদের তাৎপর্য ওপর আলোচনা করেন পেশকার হাট জামে মসজিদ খতিব মাওলানা কামরুল ইসলাম।
ঈদ মোবারক জানিয়ে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন নির্ঝর গ্রুপের চেয়ারম্যান নুরুন্নবী চৌধুরী সেলিম। এসময়ে রাজনৈতিক,সামাজিক ও বিভিন্ন পেশা উল্লেখযোগ্য নেতৃবৃন্দরাসহ হাজার হাজার মুসল্লি উপস্থিত ছিলেন।
ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের কেউ কেউ এই সুন্দর আয়োজনের জন্য ও সুচারুভাবে নামাজ আদায় করতে পেরে আয়োজকবৃন্দদেরকে ধন্যবাদ জানান।
নোয়াখালী- ৫ আসনে সর্বস্তরের জনগণকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রকৌশলী নওশাদ
স্টাফ রিপোর্টার :
বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও শিক্ষানুরাগী প্রকৌশলী মোহাম্মদ নওশাদ পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে
নোয়াখালীর ৫ আসনে সর্বস্তরের জনগণকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ঈদ মোবারক জানিয়েছেন।
সোমবার (৩১ মার্চ)একটি চাইনিজ রেষ্টুরেন্টে ইফতার পূর্বে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এ শুভেচ্ছা ও ঈদ মোবারক জানান।তিনি আগামী দিনে কোম্পানীগঞ্জ ও কবিরহাট উপজেলায় জনগণের সুখে- দুঃখে পাশে থাকতে চান।দীর্ঘদিন ধরে তিনি এলাকার বিভিন্ন উন্নয়ন ও সমাজ সেবামূলক কর্মকান্ডে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছেন। ফলে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ও কবিরহাট উপজেলার এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে তার একটা নিজস্ব ব্যক্তি ইমেজ তৈরী করেছেন।
মোহাম্মাদ নওশাদ কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নে একটি সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। ছাত্র জীবন থেকেই তিনি রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। একজন উচ্চ শিক্ষিত সৎ, যোগ্য ও ভালো মানুষ হিসেবে তার একটা ব্যক্তি ইমেজ রয়েছে সর্ব মহলে। তিনি পেশায় একজন প্রকৌশলী।
প্রকৌশলী মোহাম্মদ নওশাদ সকলের সুস্বাস্থ্য, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধ জীবন কামনা করে ঈদুল ফিতরের আনন্দ সকলের মাঝে ছড়িয়ে পড়ুক এই প্রত্যাশা করেন।