অবশেষে উচ্চ আদালতের আদেশে প্রতীক পেলেন মন্ত্রীর ছোট ভাই শাহাদাত

Date:

কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি:
উচ্চ আদালতের আদেশে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীতা ফিরে পেয়ে প্রতীক বরাদ্দ পেলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ছোট ভাই শাহাদাত হোসেন। বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে রিটার্নিং অফিসার ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো:ইছমাঈল হোসেন স্বাক্ষরিত এই প্রতীক বরাদ্দ দেন।ফলে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি টেলিফোনে প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান পদে লড়বেন।

গত ৫ মে শাহাদাত এর হলফ নামায় ৪ টি মামলার বিষয় ও সম্পত্তির বিবরণ উল্লেখ না থাকায় মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন নোয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহম্মদ ইসমাঈল হোসেন।
এরপর শাহাদাত নোয়াখালী জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও নোয়াখালী জেলা প্রশাসক বরাবর আপিল করেন। ৯ মে বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান আপিল আবেদন আবারো খারিজ করে দেন।
এরপর গত ১২ মে রবিবার হাইকোর্টে আপিল করেন শাহাদাত হোসেন। হাইকোর্ট শুনানির পর ১৪ মে মঙ্গলবার শাহাদাত হোসেন এর প্রার্থীতা ফিরিয়ে পান।
এরপর উচ্চ আদালতের নির্দেশে বৃহস্পতিবার ১৬ মে শাহাদাত হোসেনকে চেয়ারম্যান পদে টেলিফোন প্রতীক বরাদ্দ দেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসার।

এবার চেয়ারম্যান পদে শাহাদাতসহ মোট চার জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। অন্য প্রার্থীরা হলেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল,কাদের মির্জা সমর্থিত প্রার্থী ঢাকার বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী গোলাম শরিফ চৌধুরী পিপুল, যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ওমর আলী। 

এ ব্যাপারে শাহাদাত হোসেন বলেন,আমার বিরুদ্ধে অনেক ষড়যন্ত্র করা হয়েছে প্রার্থীতা ফিরে না পাওয়ার জন্য।
সরকারের একাধিক পক্ষের সাথে আইনী লড়াই করে আমি আমার প্রার্থীতা ফিরে পেয়েছি।
এখনো ষড়যন্ত্র অব্যাহত আছে।
শাহাদাত আরো জানান, কোনো ষড়যন্ত্রই জনতার রায়ে আমার জয় ঠেকানো যাবে না।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Share post:

Subscribe

Popular

More like this
Related

মুছাপুর নদী ভাঙনে শত বছর পুরনো বাড়ীঘর বিলীন হয়ে যাচ্ছে

এএইচএম মান্নান মুন্না:ডাকাতিয়া নদীর তীব্র ভঙ্গনে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার...

এখনো নোয়াখালীতে পানিবন্দি হাজারো মানুষ

এএইচএম মান্নান মুন্না :দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে গেল স্মরণাতীতকালের ভয়াবহ বন্যা।এরমধ্যে ফেনীর পানি নেমে গেলেও নোয়াখালীতে এখনো কাটেনি বন্যার রেশ।  গত ১৫ দিন ধরে পানিবন্দি নোয়াখালীর বিভিন্নউপজেলার কয়েক হাজার মানুষ ফলে সেখানকার বন্যার্ত মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। বন্যা-পরবর্তী খাদ্য সংকটের পাশাপাশি প্রাদুর্ভাববেড়েছে পানিবাহিত বিভিন্ন রোগের।তাদের ঘরগুলোও এখনো বসবাস অনুপযোগী।সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন নারী-শিশু ও বৃদ্ধরা।শুক্রবার দিনভর নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার ৯ নম্বর দেউটি ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায় বানভাসি মানুষের দুর্ভোগ আর অসহায়তার চিত্র।সেখানকার অধিকাংশ রাস্তাঘাটে এখনো হাঁটুসমান পানি।কোথাও বা তার একটু নিচে।ইউনিয়নের নবগ্রামের ব্যাপারি বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, বাড়ির সাতটি পরিবারই পানিবন্দি।সবার রান্নাঘরে পানি এখনো থৈ থৈ করছে।ঘরবাড়ী থেকে পানি নেমে গেলেও কাদামাটির মধ্যেই বসবাস করছেসাত পরিবারের প্রায় ৪০ জন সদস্য কোনো ঘরেই নেই মাটির চুলায় রান্নার ব্যবস্থা।শিশু,বৃদ্ধ আর অসুস্থ মানুষদের নিয়ে এই পরিবারগুলো পানিবন্দি দিন কাটাচ্ছে।এক সপ্তাহ ঘরে বাজার ছিল না, কোনো রকম শুকনো খাবার খেয়ে দিন পার করেছি।পানি আর কাদামাটিতে চলাচল করতে করতে পায়ে ক্ষত য়ে গেছে। পানি নামছেই না।ঘরের ভেতর ইট, কাঠ আর পাটের বস্তা বিছিয়ে হাঁটাচলা...

কাদের মির্জাসহ ৪৭ জনের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীর মামলা

কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি :: বসুরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র কোম্পানীগঞ্জ...

একজন কর্মীবান্ধব ও মানবিক নেতা কামাল উদ্দিন

কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি :: একজন প্রকৃত নেতা তিনিই যিনি...