নুর উদ্দিন মুরাদ :: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় গত ৩দিন যাবত পুলিশের সাঁড়াশি অভিযান ও গণসচেতনতায় পুলিশি প্রচারণা চলছে। উপজেলার বসুরহাট পৌরসভাসহ ৮টি ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ ১৭টি স্থানে চেক পোস্ট বসিয়ে ৭ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে সামনে রেখে এ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।
১৭টি চেক পোস্টে পুলিশি অভিযানে মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন সন্দেহভাজন যানবাহনে তল্লাশি অভিযান চলছে। পাশাপাশি ভোটারদেরকে ভোট কেন্দ্রে আসতে এবং নির্বাচনী বিধিমালা মেনে চলতে সচেতন করা হচ্ছে। এ অভিযানের ফলে অবৈধ মোটরসাইকেল মালিক ও আরোহীদের ত্রাহি অবস্থা বিরাজ করছে। তবে পুলিশের এ অভিযানকে সাধুবাদ জানাচ্ছে সর্বসাধারণ।
তবে এখন পর্যন্ত কাংখিত লক্ষ্য অর্জন না হলেও দুষ্ট চক্রের কাছে একটি কঠিন বার্তা পৌঁছেছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুকঅভিযান পরিচালনাকারী সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। ৩দিনের অভিযানে উল্লেখ করার মতো কোন ফলাফল অভিযানকারীরা গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করতে পারেনি।
এদিকে আওয়ামী লীগের বিবদমান দু’গ্রুপের গত একবছর যাবত চলতে থাকা সহিংসতায় প্রকাশ্য দিবালোকে প্রদর্শিত অসংখ্য অস্র উদ্ধার এবং পুলিশের তালিকাভূক্ত সন্ত্রাসীদের এখনও পর্যন্ত গ্রেপ্তার না করায় জনমনে ব্যাপক আতংক বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাচন অফিসার আরিফুর রহমান বলেন, আসন্ন নির্বাচনে সন্ত্রাসীমুক্ত, উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটাররা স্বাধীনভাবে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোটাধিকার প্রয়োগ করে এবং কাংখিত ফলাফল নিয়ে নিরাপদে গন্তব্যে ফিরেযেতে পারবে। সে লক্ষ্যেই প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে।
অভিযানের বিষয়ে জানতে চাইলে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ সাজ্জাদ রোমন বলেন, নির্বাচন যেন প্রশ্নবিদ্ধ নাহয়, তা’ নির্বিঘ্ন ও সন্ত্রাসমুক্ত করার লক্ষ্যেই অবৈধ অস্র, মাদক উদ্ধার এবং বহিরাগত সন্ত্রাসীদেরকে একটি কঠিন হুশিয়ারীদেয়ার উদ্দেশ্যে এ অভিযান। সোমবার প্রার্থীদের মাঝে নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্ধের পর নির্বাচনী প্রচার প্রচারনা শুরু হলে সন্ত্রাসী দমনে এ অভিযান আরো কঠিন থেকে কঠিনতর করা হবে।