কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি:আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে লাল কার্ড দেখানো হবে বলে মন্তব্য করেছে তার ছোট ভাই ও বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। বুধবার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে বসুরহাট পৌরসভা হলরুমে তার অনুসারী উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সাথে ইউপি নির্বাচন পরবর্তী এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
কাদের মির্জা সপ্তম ধাপে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আটটি ইউনিয়নে অনুষ্ঠিত (ইউপি) নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, ওবায়দুল কাদের কোম্পানীগঞ্জের ভোটারদের লাল কার্ড দেখিয়েছেন। আপনাকে লাল কার্ড দেখানো হবে। আপনি স্বরণ রাখবেন ওবায়দুল কাদের সাহেব, আপনি আপনার স্ত্রীর কথায় কোম্পানীগঞ্জের এ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন। এ সময় তিনি প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা বলে পরবর্তী সিন্ধান্ত নিবেন বলেও মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, কোম্পানীগঞ্জে প্রতীকবিহীন ইউপি নির্বাচন হয়েছে। এটাও একটা চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র। ওবায়দুল কাদের সাহেব মূলত তার ভাগনেদের জেতানোর জন্য এ প্রদক্ষেপ নিয়েছেন। ভোটের আগের দিন আমার কাছে খবর এলো তিন ভাগনেকে জিতাতে হবে। এটা ওনার নির্দেশ। ডিসি-এসপিকে বলে দেয়া হয়েছে। তারা ওই নির্দেশ মোতাবেক কাজ করছেন। আমাকে একটা গুরুত্বপূর্ণ জায়গা থেকে বিষয়টা জানানো হয়েছে। ওনার নাকি সিন্ধান্ত ছিল জামাতের তিন প্রার্থীকে হারাতে হবে। এ দু’পরিকল্পনা নিয়ে প্রশাসন নির্বাচন শুরু করে।
কাদের মির্জা আরো বলেন, চরফকিরা ইউনিয়নে আগের দিন রাতে ভোট নিয়ে নেয়া হয়েছে। পরের দিন এটা ছিল আইওয়াশ। আগের দিন রাতে প্রশাসন কিভাবে ভোট নেয় তা আমি দেখছি। ওবায়দুল কাদেরের রাতের ভোট এভাবে নিছেনা, আমি দেখছি!
তিনি তার ভাগনে রিমনকে ইঙ্গিত করে অভিযোগ করে বলেন, ‘রামপুরে আমার পুরো পরিবারের ইজ্জত হরণ করা হয়েছে। এভাবে আচরণ করছে। এ সময় কাদের মির্জা তার সক্রিয় অনুসারীদের নিয়ে আরো নতুন উদ্যোমে কাজ করার ঘোষণাও দেন।
উল্লেখ্য, সপ্তম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার আট ইউনিয়ন পরিষদের তিনটিতে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা সমর্থিত এবং চারটিতে সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল সমর্থিত ও একটিতে জামায়াত ইসলাম সমর্থিত চেয়ারম্যান বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ থেকে কাউকে দলীয় প্রতীক নৌকা দেয়া হয়নি।