কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি :: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় সাঈদা আক্তার পপি(২৫) নামে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। শ্বশুরবাড়ির লোকজন এটিকে গলায় ফাঁসের দাবি করলেও পপির স্বজনরা বলছেন এটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড।
সাঈদা আক্তার উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মক্কা নগরের শিপনের স্ত্রী এবং একই গ্রামের ইলিয়াস চুকানি বাড়ির শামসুদ্দিন মিয়ার মেয়ে। এর আগে বুধবার ভোরে উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের শহীদুল্লাহর বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে। পরে বিকাল ৪টার দিকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
নিহতের মা খাইরুন নাহার অভিযোগ করে বলেন, দশ বছর আগে শিপনের সাথে পপিকে বিয়ে দেন। তাদের দাম্পত্য জীবনে দুটি ছেলে সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে নানান নির্যাতন করতো শিপন ও তার পরিবার। গত রাতভর নির্যাতন চালিয়ে তাকে তারা হত্যা করে সকাল ১০ টার দিকে হাসপাতালে নেয়ার অভিনয় করে বাড়িতে লাশ রেখে সবাইকে ফাঁস নিয়েছে জানান। পরে পুরো পরিবার লাশ রেখে পালিয়ে যায়। আমার মেয়েকে হত্যার বিচার চাই।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে একাধিকবার নিহতের স্বামী শিপনের ফোনে কল করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন ফেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।