বিশেষ প্রতিনিধি:
কোম্পানীগঞ্জে তৃণমূলে নেতা কর্মীদের দাবী বিএনপিকে ঢেলে সাজাতে হলে সাধারণ সম্পাদক পদে রাজনৈতিক প্রাণপুরুষ জাহাঙ্গীর আলম’র বিকল্প নেই!
নোয়াখালী কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র সম্মেলন আসন্ন। সম্মেলনকে সামনে রেখে দলের বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব গঠনের তৎপর হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের বৃহৎ রাজনৈতিক বড় দল জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি।কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি দীর্ঘদিন নামসর্বস্ব আহ্বায়ক কমিটি প্রায় ৩বছর পার করলে গড়ে ওঠেনি নতুন নেতৃত্ব।
বিভিন্ন গ্রুপিং এর কারণে সম্মেলন করতে ব্যর্থ হয় আহবায়ক কমিটি । বর্তমানে নেই কোন আহবায়ক ও পূর্ণাঙ্গ কমিটি। তারেক জিয়ার নির্দেশে দলকে ঢেলে সাজাতে নোয়াখালী জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটিকে নির্দেশ দিয়েছেন উপজেলা কমিটির ভেঙ্গে দেয়ার জন্য। বর্তমানে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির কোন কমিটি নেই। চলমান রাজনীতি পরিস্থিতি মাথা রেখে আগামী দিনে দলের তরুণ মেধাবী ও ত্যাগিদের দলে জায়গা তৈরী এবং নেতৃত্ব আশার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়াসহ দলের জেলা ও কেন্দ্রের নীতিনির্ধারকরা।
পাশা -পাশি দলকে আরো গতিশীল করতে বেশ কিছু পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। যেমন তারেক জিয়ার ঘোষিত ৩১ দফা।এই দফাগুলো বাস্তবায়ন করতে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক পদে নতুন মুখ দেখতে চায় তৃণমূলের নেতা কর্মীরা। তাদের অনেকই বলতে শোনা যায় ২০২৪ সালের ৯ আগষ্টের পর এ পর্যন্ত বিতর্কিতদের বাদ দিয়ে কমিটি করা হবে না কি সংগঠনিক পারফরমেন্সের ওপর ভিত্তি করে কমিটি হবে এই নিয়ে চলছে নানান জল্পনা কল্পনা।
এদিকে এই উপজেলা কমিটি স্থান করে নিতে সাধারণ সম্পাদক পদে মধ্যে চলছে দৌড়যাঁপ এবং নোয়াখালী জেলা কমিটিকে সিভি জমাসহ দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছেন অনেকেই।
কোম্পানীগঞ্জে উপজেলা বিএনপি তৃণমূল নেতা কর্মীরা এবার সাধারণ সম্পাদক পদে ত্যাগী, মেধাবী, শিক্ষিত,ভালো বক্তা ও সংগঠন খুঁজছেন। এটি চিন্তা করলে বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলম’র নাম আসে বার বার। ৫ আগষ্টের পর অন্যদের বিরুদ্ধে অনিয়ম উঠে আসলেও তাঁর বিরুদ্ধে কোন টেণ্ডার বাাণিজ্য সালিশ বাণিজ্য, চাঁদাবাজি,অসামাজিক
কোন কাজের অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
তিনি একজন নির্লোভ ও নিরঅহংকারী ব্যক্তি হিসেবে সর্বজন।
ছাত্রদল রাজনীতি দিয়ে শুরু তার রাজনীততে আসা। ছাত্র জীবন থেকে তিনি আদর্শিক সাহসী,মেধাবী রাজনীতিতে উজ্জীবিত ছিলেন। প্রতিশোধপরায়ণ রাজনীতি করতেন না। তিনি ছিলেন অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কন্ঠস্বর রাজনৈতিক একজন ব্যক্তিত্বশীল মানুষ।
তিনি ১৯৯০ সালে মধ্যম চরকাঁকড়া উচ্চ বিদ্যালয় শাখার ছাত্রদল সভপতি, ১৯৯২ সালে চরকাঁকড়া ইউনিয়ন ছাত্রদল সভাপতি, এরপর মাধ্যমিক শিক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সরকারী মুজব কলেজে ভর্তির পর ১৯৯৪ সালে কলেজ শাখা ছত্রদল’র সাধরণ সম্পাদক ১৯৯৬ সালে উপজেলা ছাত্রদল’র আহবায়ক পরবর্তীতে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। তার নেতৃত্বে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদল সুচারুভাবে পরিচালিত হয়। এই নেতৃত্বের গুণাবলী দেখে সাবেক আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ তাঁকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা যুবদলের সভাপতি নির্বাচিত করেন। পরে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা বিএনপি’র যুগ্ন- আহবায়ক দায়িত্ব পালন করেন।
এব্যাপারে চরকাঁকড়া ৪নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি কামাল উদ্দিন খাঁন,জিয়া স্মৃতি সংসদের সভাপতি ছালা উদ্দিন সবুজ, বিএনপি নেতা মাফুজ আলম, গোলাম ছারওয়ার , কৃষক দল নেতা আব্দুর রহিম বাবুল, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা কাজী মোহম্মদ সোহেল, ছাত্রদল নেতা মো: ইয়াসিন হোসেন রিমনসহ তৃণমূল’র অনেকেই বলেন, আওয়ামীলীগ দুঃশাসনের ১৭ বছরে জাহাঙ্গীর আলম হত্যা মামলা হামলা, বাড়ী ঘর ভাঙ্গচুরসহ নির্যাতন’র শিকার হয়েছেন।
সরকার বিরোধী রাজপথের নানা আন্দোলনে জাহাঙ্গীর ছিলেন সম্মুখ সারির একজন।অন্যায় আর অত্যাচারের বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন আপোষহীন।
বিএনপি ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠের নেতা কর্মীদের আপদে বিপদে এবং দুর্দিনেও পাশে ছিলেন। তিনি একজন সুবক্তাও বটে।
আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে এতো হামলা মামলার স্বীকার হয়ে জীবন বাজি রেখে রাজপথে ছিলেন, দলীয় কার্যক্রম, আন্দোলন এবং সংগঠন পরিচালনায় তাঁর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ ও প্রশংসনীয়। তার বক্তব্যে উঠে আসে আওয়ামী লীগ সরকারী বাহিনীর নিপীড়ন-নির্যাতন ও জেল-জুলুম,অন্যায় আর অত্যাচারের প্রতিবাদী কন্ঠ।
২০১৪ সালে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত ভাইস-চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্ধিতা করেন, যেখানে তিনি শক্ত অবস্থান তৈরি করেন মাঠপর্যায়ে। আওয়ামীলীগ ভোট কারচুপি না করলে তিনি বিপুল ভোটে নির্বাচিত হতেন।
রাজনৈতিক শুরু থেকে আজ পর্যন্ত নেতা কর্মীদের পাশে আছেন। তৃণমূল নেতা- কর্মীরা তাকে ছেড়ে যায়নি। আগামীতে দলের উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তাঁকে পাশে রাখতে চান।
২০২৪ এর ৫ই আগষ্ট ছিলো বাঙালি জাতির স্মরণীয় একটি দিন।ওই দিন যার বক্তব্যে কোম্পনীগঞ্জের উত্তাল মানুষকে মুগ্ধ করে ছিলো, জাহাঙ্গীর আলম’র দুর্দান্ত ঐতিহাসিক বক্তব্যে সেই দিন মানুষ প্রতিশোধ ও ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থেকেছেন, এবং শান্ত হয়েছেন।
এ ব্যাপারে সাধারণ সম্পাদক পদ প্রত্যাশী জাহাঙ্গীর আলম বলেন,কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আগামী সম্মেলনে দলের নীতিনীতি নির্ধারকগণ ত্যাগী ও মেধাবীদের মূল্যায়ন করবেন। আওয়ামী লীগ সরকার আমার বিরুদ্ধে হত্যাসহ ২১টি মামলা দিয়েছে। ৩২বছরের রাজনীতির জীবনে দলের নেতা কর্মীদের পাশে ছিলাম তাদেরকে রেখে কোথাও পালিয়ে যায়নি ।কোম্পানীগঞ্জে দলের মধ্যে যে গ্রুপিং আমি সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হলে গ্রুপ নিরসন করে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দলকে সু- সংগঠিত এবং তারেক জিয়ার হাতকে আরো শক্তিশালী করবো ইনশাআল্লাহ।