কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি :: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে নূরানী বিভাগের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে তৃতীয় জামাতের এক শিক্ষার্থীর (১২) সাথে অনৈতিক কাণ্ডের অভিযোগে উঠেছে।
এ ঘটনায় শিক্ষার্থীর মা শিউলী আক্তার বাদী হয়ে বুধবার (২৬জুন) কোম্পানীগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন। এই ঘটনায় অভিযুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষক বর্তমানে পলাতক আছেন। অভিযুক্ত শিক্ষক মো. নুর উল্যাহ উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ছোটধলী এলাকার মাওলানা গোলাম কুদ্দুছ মিয়ার বাড়ির গোলাম কুদ্দুছ’র ছেলে।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ওই ছাত্র মাদ্রাসার ছাত্রাবাসে থেকে পড়াশুনা করত। অভিযুক্ত শিক্ষক মো. নুর উল্যাহ (৩২) বিভিন্ন ধরনের প্রলোভন দেখিয়ে তাহার রুমে ডেকে নিয়ে জোর পূর্বক শিশু শিক্ষার্থীর সাথে অনৈতিক কর্মকাণ্ড করে। অভিযুক্ত শিক্ষক ওই শিক্ষার্থীর মাথায় কোরআন শরীফ তুলে দিয়ে হুমকি দিয়ে বলে তুমি এ বিষয়ে কাউকে কিছু বললে মারা যাবে এবং মাদ্রাসা থেকে বাহির করে দেব। পরে শিক্ষার্থীর অসুস্থতার ফলে এ বিষয়ে কথা বললে সে বিস্তারিত জানায় এরপর তার মা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।
নূরনী বিভাগের শিক্ষক নূর উল্যাহর বিরুদ্ধে এ ছাড়াও অসংখ্য অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে। অভিযুক্ত নূর উল্যাহ স্থানীয় হওয়ায় এবং অত্র মাদ্রাসার বড় হজুরের (প্রধান) শ্যালক হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কোন মাদ্রাসা শিক্ষক প্রতিবাদ করার সাহস পান না। এদিকে প্রতিষ্ঠান প্রধান আবু তাহের সাংবাদিক দেখে কৌশলে অফিস কক্ষ ত্যাগ করেন।
অপর দিকে মাদ্রাসার সহকারী প্রধান মোঃ মোশাররফ হোসেন এর সাথে আলাপ করা হলে তিনি জানান এ ধরনের খবর লোক মাধ্যমে শুনেছি তবে কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। তবে ক্যাম্পাসে এ খবর ছড়িয়ে যাওয়ার পর থেকে শিক্ষক নূর উল্যা মাদ্রাসায় অনুপস্থিত রয়েছে।
এদিকে শিক্ষক নূর উল্যার সাথে আলাপ করার জন্য বার বার মোবাইল ফোনে কল করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.আসাদুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি আরো জানান, পুলিশ অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে।