ধর্ষণের এ ঘটনাটি ঘটে, গত ২৮ আগষ্ট রবিবার রাত সাড়ে ১২ ঘটিকায়। ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শাহজাদপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এ বছর এসএসসি পরীক্ষার্থী। সে গত ২৮ আগস্ট রাত সাড়ে ১২ ঘটিকায় প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দিতে গেলে পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা একই বাড়ির আনোয়ার হোসেন ওরপে কালা (৩৫) একা পেয়ে তার ওড়না নিয়ে তাকে মুখ পেছিয়ে পাশে সাহাব উদ্দিনের ঘরের পাশের গলিতে নিয়ে উপর্যপুরি ধর্ষণ করে চলে যায়। পরে ভিকটিম স্বাভাবিক হলে ঘরে এসে তার দাদীকে জানালে তিনি মোঃ হানিফকে (ভিকটিমের পিতা) জানায়। ঘটনার বিবরণ জেনে মেয়ের শারীরিক অবস্থা খারাপ দেখে তাকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার উন্নত চিকিৎসার জন্য নোয়াখালী সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। সে ৪ দিন গাইনি বিভাগে চিকিৎসা শেষে বাড়ীতে রয়েছে। হানিফ পেশায় একজন বাসের হেলপার(ড্রিম লাইন)।
ভিকটিমের পিতা মো: হানিফ মিয়া জানান, আমার স্ত্রী নারী শ্রমিক হিসেবে জর্দানে কর্মরত রয়েছে। এ সুযোগে কয়েক মাস ধরে আনোয়ার হোসেন ওরপে কালার খারাপ দৃষ্টি পড়ে আমার মেয়ের দিকে। কালা বিবাহিত এবং ২ সন্তানের জনক। সম্পর্কে সে আমার মামাতো ভাই। ঘটনার দিন আমার ঘরে শুধু আমার বৃদ্ধা মা ছিল। সে এ সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে আমার মেয়েকে ধর্ষণ করে। আমি ৩১ আগষ্ট বুধবার বাদী হয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছি। অভিযোগটি প্রত্যাহার করতে এ যাবৎ নানাভাবে হুমকি ধমক দিচ্ছে।
এ ব্যাপারে ধর্ষণকারী কালার পিতা জয়নাল আবেদিনের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে সে কোন কথা বলতে রাজি হয়নি।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মোঃ সাদেকুর রহমান এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ভুক্তভোগীর পিতা হানিফ মিয়া আজ বুধবার থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের তদন্ত চলছে। তদন্তে প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত আনোয়ার হোসেন ওরপে কালাকে পুলিশ এখন পর্যন্ত গ্রেফতার করতে পারেনি।