কোম্পানীগঞ্জে ৩২জন জেলেদের মাঝে বকনা বাচুর বিতরণ

Date:

কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি :
ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় নিবন্ধিত সুফলভোগী বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার প্রান্তিক ৩২ জেলেদের মাঝে বকনা বাচুর বিতরণ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারী) বেলা ১২ টায় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা চত্বরে উপজেলা মৎস্য বিভাগের আয়োজনে বিকল্প কর্মসংস্থানের উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) মোঃ আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারী’র সভাপতিত্বে এ সময়ে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা মৎস কর্মকর্তা মোঃ ইকবাল হোসেন।

এ সময় প্রধান অতিথি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলার মানুষকে ভালোবাসেন বলেই প্রান্তিক জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থান হিসেবে উপহারস্বরূপ কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় জেলেদের মাঝে গরুর বকনা বাছুর পাঠিয়েছেন। এই ধারাবাহিকতায় উপজেলার বাকি সুবিধাভোগী জেলেদের এই প্রকল্পের আওতায় নিয়ে আসা হবে বলে জানান তিনি।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আশ্রাফুল ইসলাম সরকারের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আরজুমান পারভীন, উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা তাসলিমা ফেরদৌসী, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ বেলাল হোসেন,উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মোঃ মাইন উদ্দিন,কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ পরিদর্ষক (তদন্ত) মোঃ আব্দুস সোলতান প্রমূখ।

অনুষ্ঠান শেষে প্রধান অতিথি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নে ১২টি চর এলাহী ইউনিয়নে ১০টি,চরফকিরা ইউনিয়ন ১০টিসহ মোট ৩২ জন প্রান্তিক নিবন্ধিত জেলেকে ১টি করে বকনা বাচুর গরু বিতরণ করেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Share post:

Subscribe

Popular

More like this
Related

মুছাপুর নদী ভাঙনে শত বছর পুরনো বাড়ীঘর বিলীন হয়ে যাচ্ছে

এএইচএম মান্নান মুন্না:ডাকাতিয়া নদীর তীব্র ভঙ্গনে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার...

এখনো নোয়াখালীতে পানিবন্দি হাজারো মানুষ

এএইচএম মান্নান মুন্না :দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে গেল স্মরণাতীতকালের ভয়াবহ বন্যা।এরমধ্যে ফেনীর পানি নেমে গেলেও নোয়াখালীতে এখনো কাটেনি বন্যার রেশ।  গত ১৫ দিন ধরে পানিবন্দি নোয়াখালীর বিভিন্নউপজেলার কয়েক হাজার মানুষ ফলে সেখানকার বন্যার্ত মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। বন্যা-পরবর্তী খাদ্য সংকটের পাশাপাশি প্রাদুর্ভাববেড়েছে পানিবাহিত বিভিন্ন রোগের।তাদের ঘরগুলোও এখনো বসবাস অনুপযোগী।সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন নারী-শিশু ও বৃদ্ধরা।শুক্রবার দিনভর নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার ৯ নম্বর দেউটি ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায় বানভাসি মানুষের দুর্ভোগ আর অসহায়তার চিত্র।সেখানকার অধিকাংশ রাস্তাঘাটে এখনো হাঁটুসমান পানি।কোথাও বা তার একটু নিচে।ইউনিয়নের নবগ্রামের ব্যাপারি বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, বাড়ির সাতটি পরিবারই পানিবন্দি।সবার রান্নাঘরে পানি এখনো থৈ থৈ করছে।ঘরবাড়ী থেকে পানি নেমে গেলেও কাদামাটির মধ্যেই বসবাস করছেসাত পরিবারের প্রায় ৪০ জন সদস্য কোনো ঘরেই নেই মাটির চুলায় রান্নার ব্যবস্থা।শিশু,বৃদ্ধ আর অসুস্থ মানুষদের নিয়ে এই পরিবারগুলো পানিবন্দি দিন কাটাচ্ছে।এক সপ্তাহ ঘরে বাজার ছিল না, কোনো রকম শুকনো খাবার খেয়ে দিন পার করেছি।পানি আর কাদামাটিতে চলাচল করতে করতে পায়ে ক্ষত য়ে গেছে। পানি নামছেই না।ঘরের ভেতর ইট, কাঠ আর পাটের বস্তা বিছিয়ে হাঁটাচলা...

কাদের মির্জাসহ ৪৭ জনের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীর মামলা

কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি :: বসুরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র কোম্পানীগঞ্জ...

একজন কর্মীবান্ধব ও মানবিক নেতা কামাল উদ্দিন

কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি :: একজন প্রকৃত নেতা তিনিই যিনি...