মোহাম্মদ আমান উল্যা, চাটখিল (নোয়াখালী) প্রতিনিধি :: চাটখিল স্কয়ার হাসপাতাল (প্রাইভেট) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সোহাগের স্বেচ্ছাচারিতা ও অথ আত্মসাৎসহ নানা অনিয়ম ও দুনীতির অভিযোগে আজ শনিবার বিকেলে চাটখিল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন হাসপাতালের ক্ষতিগ্রস্ত পরিচালক ও শেয়ারহোল্ডারবৃন্দ।
হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মো.সাইফুল্লাহ মানিক অভিযোগে করে বলেন, ২০১৫ সালে চাটখিল স্কয়ার হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর বতমান এমডি দাবিদার মো.সোহাগ প্রবাস থেকে তাকে অনুরোধ করে শেয়ারহোল্ডার ও পরিচালক নেয়ার জন্য। তার অনুরোধে সকলের সাথে আলোচনা করে তাকে শেয়ারহোল্ডার ও পরিচালক করা হয়। এরপর ২০২১ সালে বিভিন্ন শতাবলীর আলোকে তাকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক করা হয়। কিন্তু এমডি হওয়ার পর থেকে সে একক ও মনগড়া সিদ্ধান্তে হাসপাতাল চালাতে শুরু করে এবং নানারকম ষড়যন্ত্র করে বিভিন্ন অজুহাতে পরিচালক ও শেয়ারহোল্ডারদের হাসপাতাল থেকে বের করে দেয়। এছাড়া সে কোন রকম মিটিং বা পরামশ না করে এককভাবে নিজের মনগড়ামত হিসাব নিকাশ করে আসছিল। এসব বিষয় জবাব চাইলে সে পরিচালক ও শেয়ারহোল্ডারদের নানাভাবে হুমকি দিয়ে ভয়ভীতি প্রদশন করে।
সাইফুল্লাহ মানিক আরো বলেন, বিভিন্ন সময় তার এসব অনিময়, শেয়ারহোল্ডারদের ও পরিচালকদের অন্যায়ভাবে বাদ দেয়া, হাসপাতাল ও ফামেসির হিসাব চাওয়ায় তাকেও সিদ্ধান্ত ছাড়া মনগড়া নোটিশ দিয়ে হাসপাতাল থেকে বের করে দেয়ার ও বেশি বাড়াবাড়ি করলে মেরে ফেলার হুমকি দেয় এবং তার অফিস কক্ষে তালা লাগিয়ে দেয়। সোহাগের এসব বিষয়ে স্খানীয় সাংসদ এইচ.এম ইব্রাহিমর নিকট অভিযোগ প্রদান করলে সমাধানের জন্য তিনি আওয়ামীলীগ নেতা মো. বেলায়েত তফদারকে দায়িত্ব দেন। সোহাগ সমাধানের তোয়াক্কা না করায় আদালতে মামলা দায়ের করি। সে তার অপকম ঢাকতে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। বতমানে তারা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে।
হাসপাতালের চেয়ারম্যান ভিপি মিজানুর রহমান বলেন, হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা হওয়ার পরে সকলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমাকে চেয়ারম্যান করা হয়েছে। আমি নিয়মিত মিটিং ও অন্যান্য কমকান্ড পরিচালনা করে এসেছি। কিন্তু বতমানে সোহাগসহ একটি গ্রুফ হাসপাতাল দখল করে নিজেদের মনগড়ামত পরিচালনা করছে। চাটখিল উপজেলার শ্রেষ্ঠ প্রাইভেট হাসপাতালকে রক্ষা করতে তিনি প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন।