কোম্পানীগঞ্জ ( নোয়াখালী ) প্রতিনিধি :: ছোট্ট একখন্ড জায়গার মালিক, তার উপর বহুদিন আগে নির্মিত ঘর ফুটো হয়ে বৃষ্টির পানি ঢুকে, ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম। কোনভাবেই থাকার মত অবস্থা নেই। নেই রোজগারের উপযুক্ত কোন ব্যক্তি। পথে-ঘাটে বাড়ী বাজারে ভিক্ষা করে যা পায় তা দিয়ে কোন রকম চলে। মাথা গোজার কোন ঠাঁই না থাকায় যেখানে রাত সেখানেই কাত। এমনটিই বলছিলেন বৃদ্ধা ছেমনা খাতুন (৭৫)। বয়সের ভারে অনেকটা অস্পষ্ট স্বরে কথাগুলো বলছিলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (০১ জুলাই) দুপুর ২টায় নোয়াখালীর বসুরহাট পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জা কঠোর লকডাউনের প্রথম দিন এলাকা পরিদর্শনকালে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের সামনে বৃদ্ধা ছেমনা সাহায্য চান। এ সময় উপস্থিত একাধিক লোক তার কথাগুলোর সমর্থন করলে মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ওই বৃদ্ধাকে ঘর নির্মাণে নগদ ৫০হাজার টাকা দান করেন। এ সময় সিরাজপুরের বাসিন্দা শাহজাদপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক আবদুল কাইয়ুমকে ডেকে ওই বৃদ্ধার ঘর নির্মাণের দায়িত্ব দেন এবং ঘর নির্মাণ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত এ সাহায্য অব্যাহত থাকার আশ্বাস দেন মেয়র।
বৃদ্ধা ছেমনা খাতুন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সিরাজপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডস্থ সর্দার বাড়ীর বাসিন্দা। তার দুই মেয়ের বড় জনের স্বামী বিয়ের ২ বছর পর মারা যায়। অর্থের অভাবে ছোটটির এখনও বিয়ে দিতে পারেননি।
এছাড়াও মেয়র আবদুল কাদের মির্জা সকাল ৯টায় পৌরসভা ভবনের সামনে ছিন্নমূল মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন। পরে মুছাপুর ইউনিয়নে আরো ৩শ অসহায় পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন।