এএইচএম মান্নান মুন্না :
নোয়াখালী কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসায় প্রথম
ভর্তিকৃত ব্যাচের ১২৩ জন ছাত্র ছাত্রীর সবক ও মতবিনিময় সভা সম্পন্ন হয়েছে।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারী) সকাল ১০ ঘটিকায় মাদ্রাসার গভর্নিং বডির সহ সভাপতি মোঃ ফজলুল কাদের মিন্টু’র সভাপতিত্বে
মাদ্রাসা মাঠে স্নাতকোত্তর সমমনা কামিল বিভাগের শিক্ষার্থীদের এ সবক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ সময়ে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, বসুরহাট ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা ফয়জু উল্লাহ।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামি আরবি বিশ্বাবিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুর রশীদ তিনি প্রধান অতিথি বক্তব্যে বলেন, ছাত্র সংখ্যা কম থাকুক আর বেশি থাকুক আল্লাহর দ্বীনের জন্য আপনারা কাজ করেছেন এটি কোন সন্দেহ নেই, ছাত্রের সংখ্যা গুরুত্ব নয় গুরুত্ব হচ্ছে মানের বিষয়।
এই প্রাচীন মাদ্রাসাটি ছিল এলাকার মানুষের জন্য কাঙ্খিত যে মাদ্রাসাটি কামিল বিভাগে উন্নীত হোক । এ মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯০১ সালে এখন ২০২৪ সাল। এটি ১২৩ বছরের একটি ইতিহাস। এই ইতিহাস বাংলাদেশের অনেকের নেই।
এখানে যারা একটু আগে কথা বলেছেন মাদ্রাসার অধ্যক্ষগণসহ অন্যান্যরা তারা প্রতিষ্ঠানের প্রতি দরদ রাখেন, প্রাণে রাখেন, ভালোবাসা রাখেন, আপনারা এতক্ষণ পর্যন্ত যে উপদেশ দিয়েছেন কথা বলেছেন, প্রতিটি কথা আমার কাছে মনি – মুক্তার মত মনে হয়েছে। বাংলাদেশে কামিল হয়েছে সর্বপ্রথম ১৯৩৫ সালে এবং পরীক্ষা দিয়েছে ১৯৩৮ সালে । কলকাতার বাহিরে শাশিয়ালী মাদ্রাসা বেসরকারি মাদ্রাসা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। তখন কিন্তু বেসরকারী কোন মাদ্রাসা কামিল পাঠদানে নিয়ম ছিলনা। এরপর ক্রমন্বয়ে অত্র অঞ্চলে কামিল পর্যায়ে প্রতিষ্ঠা লাভ করেন। বর্তমান সরকার ক্ষমতা আসার পর বিভিন্ন মাদ্রাসায় ১৮শ’ভবন নির্মাণ করেছেন, হাজার হাজার কোটি টাকা মাদ্রাসার উন্নয়নে দিয়েছেন। আল্লাহর ওপরতো অবশ্যই কৃতজ্ঞ থাকবো পাশা পাশি আবার মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞ না থাকলে আল্লাহ খুশি হননা। যারা এ মাদ্রাসা করেছেন মাদ্রাসাটি ধরে রেখেছেন তাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ, আমি কৃতজ্ঞতা জানাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি তিনি ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় আপনাদের দিয়েছেন।
নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে শিক্ষকদের জীবন খুব স্বল্প খরচে চলে কিন্তু এটি পেয়েও আলহামদুলিল্লাহ তাদের মনের খুব প্রশান্তি।
অল্প জিনিসের মধ্যে বরকতের মানসিকতা আল্লাহ দিয়েছেন এটি হচ্ছে শিক্ষকদের বড় পুঁজি। যারা এ পুঁজি নিয়ে কষ্ট করে আল্লাহর দ্বীনি প্রতিষ্ঠানকে ধরে রেখেছেন তাঁরা আল্লাহর কাছে অত্যন্ত সম্মানের, অত্যন্ত মর্যাদার।
এসময়ে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনোয়ার হোসাইন পাটোয়ারী,
ফেনী আল-জামেয়াতুল ফালাহিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুফতি ফারুক আহমাদ, সোনাইমুড়ি হামিদিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা সাইফুল্যাহ মুনীর , কোম্পানীগঞ্জ হাসপাতাল সমিতির সভাপতি ও বসুরহাট ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার গভর্নিং বড়ির দাতা সদস্য বিশিষ্ট সমাজ সেবক আব্দুল কুদ্দুছ, গভর্নিং বড়ির সদস্য ডা: মোয়াজ্জেম হোসেন, সদস্য মাফুজ আলম বাবুল, মাদ্রাসা উপধ্যক্ষ আব্দুল কাদের হেলালী।
বসুরহাট পৌরসভার আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রশীদ মঞ্জু, কোম্পানীগঞ্জ মডেল হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ কামরুজ্জামান,
লক্ষ্মিপুর কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা নেছার উদ্দিন, পরে মোনাজাত পরিচালনা করেন বসুরহাট ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ মাওলানা ফয়েজ উল্যাহ ।
অনুষ্ঠান যৌথভাবে পরিচালনা করেন মাদ্রাসার আরবী প্রভাষক মাকসুদের রহমান, প্রভাষক মোঃ আবুল কাশেম।
বক্তব্য শেষে প্রতিষ্ঠানের স্নাতকোত্তর সমমনা কামিল বিভাগের সর্বপ্রথম ব্যাচের ১২৩ শিক্ষার্থীদের সবক পাঠ করান অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি। এর পূর্বে অত্র মাদ্রাসার চলতি বছরের দাখিল পরিক্ষার্থীদেরকে বিদায়ী সংবর্ধনা দেয়া হয়।