নোয়াখালী প্রতিনিধি:
ডেঙ্গুসহ বিভিন্ন মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধ, মশার প্রজননস্থল নির্মূল এবং নগরবাসীর পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্যসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বসুরহাট পৌরসভায় নাগরিক সেবায় যুক্ত হলো দেশের শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক।
৯ ডেসেম্বর(২০২৫) বসুরহাট পৌরসভার বাসস্ট্যান্ডসহ বসুরহাট পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন বাসাবাড়ির আশপাশ ও ড্রেনসমূহ পরিষ্কার ও বিশেষ ক্লিনিং ক্যাম্পেইনের আয়োজন করা হয়। এ কার্যক্রমের আওতায় ছিলো বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাস।
এছাড়াও সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বাসা বাড়ীর সামনে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযানসহ সিএনজি যোগে দুইটি (২টি) মাইক লাগিয়ে সচেতনা মূলক ক্যাম্পেইন ক্লিনিং প্রচার (মাইকিং) করা হয়।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন, নোয়াখালী জেলা ব্র্যাক সমন্বয়ক মো: নুরুজ্জামান, ব্র্যাক যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রন কর্মসূচী (টিবি) অফিসার সনাতন তালুকদার, ব্র্যাক জলবায়ু পরিবর্তন ও স্বাস্থ্য প্রকল্পের (সিসিএইচ) অফিসার সাদিয়া সুলতানা,ব্র্যাক প্রবাস বন্ধু ফোরাম – ২ কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি, সাংবাদিক এএইচএম মান্নান মুন্না, ব্র্যাক যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রন কর্মসূচী (টিবি)ফিল্ড অর্গানাইজার প্রোগ্রামার আব্দুল জলিল, ব্র্যাক যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রন কর্মসূচী (টিবি)ফিল্ড অর্গানাইজার কামরুল হাসান মোর্শেদ, বসুরহাট পৌরসভা কনভারজেন্সি ইন্সপেক্টর লিটন চন্দ্র মজুমদার সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
নেতৃস্থানীয়রা জানিয়েছেন, বসুরহাট পৌরসভায় মশা ও ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব রোধে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি সর্বস্তরের মানুষের সমন্বিত অংশগ্রহণ অপরিহার্য। তাঁরা বলেন, বাড়ির উঠোন, ছাদ, ফুলের টব, পরিত্যক্ত টায়ার, ব্যবহৃত পাত্র কিংবা এসির পানি জমার স্থান—যেকোনো জায়গায় অল্প পানি স্থির থাকলেই মশার লার্ভা জন্মাতে পারে। তাই এসব স্থান নিয়মিত পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা অত্যন্ত জরুরি।
নেতৃবৃন্দ আরও উল্লেখ করেন, ব্র্যাকের জলবায়ু পরিবর্তন ও স্বাস্থ্য প্রকল্প মাঠপর্যায়ে ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া, ম্যালেরিয়া সহ মোট ১২ ধরনের মশাবাহিত ও জলবাহিত রোগ প্রতিরোধ এবং জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধি করতে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
এই উদ্যোগের আওতায় জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে উঠান বৈঠক, মাইকিং, কমিউনিটি ক্লিনিকভিত্তিক সভা এবং জরুরি প্রতিক্রিয়া দল গঠনসহ নানামুখী কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জসহ প্রতিটি উপজেলায় কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
উল্লেখ্য, ক্যাম্পেইনের প্রধান লক্ষ্য ছিল ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার মতো মশাবাহিত রোগ সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং মশার বিস্তার উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে আনা।

