বাংলা বাজার থেকে গুচ্ছ গ্রাম পর্যন্ত সড়কটির কার্পেটিং উঠে বেহাল দশা, দুর্ভোগ বর্ণনাতীত

Date:

এএইচএম মান্নান মুন্না :: নোয়াখালী কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর বাংলা বাজার থেকে চৌধুরী বাজার হয়ে গুচ্ছ গ্রাম ও ক্লোজার যাওয়ার অতি গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটির দীর্ঘদিন ধরে মেরামত না করায় ২৭ শ’ মিটার সড়কের কার্পেটিং ওঠে সৃষ্টি হয়েছে ছোট-বড় খানা-খন্দ। এতে সড়কটি ব্যবহার অনেকাংশে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এরপরও ঝুঁকি নিয়ে এ সড়ক দিয়ে চলাচল করছে ছোট-বড় শত শত যানবাহন।

দীর্ঘদিন থেকে সড়কটির কার্পেটিং উঠে গিয়ে বেহাল দশা হয়ে থাকলেও প্রয়োজনীয় সংস্কার না করায় জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, বাংলা বাজার দক্ষিণ মাথা থেকে গুচ্ছ গ্রাম পর্যন্ত এই সড়কের অধিকাংশই স্থান কার্পেটিংহীন হয়ে পড়েছে। তৈরি হয়েছে খানাখন্দে। একটু বৃষ্টি হলেই এতে জমে পানি। ফলে আরও দুর্ভোগ বাড়ে। কিন্ত দীর্ঘ কয়েক বছর অতিবাহিত হলেও তা আজও মেরামত হচ্ছেনা। এতে একের পর এক দুর্ঘটনাও ঘটছে। জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি উপজেলার বাণিজ্যিক প্রাণ কেন্দ্র বসুরহাট সঙ্গে যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম। উপজেলার হাজার হাজার লোকজন প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে চলাচল করে এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন ইজিবাইক, ট্রাক, ট্রলি, সিএনজি, অটোরিক্সা ও মোটরসাইকেলসহ ছোট বড় বিভিন্ন প্রকার শত শত যানবাহন চলাচল করে। এ নিয়ে চরম দুর্ভোগের শিকার হন এলাকার হাজার হাজার পথচারী।

মুছাপুর উচ্চ বিদ্যালয়,দক্ষিনে ইদ্রেছিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসা,মাঝে শরাফতিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসা, নাছের চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়সহ অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হাজার হাজার, শিক্ষার্থী এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করতে হয়। এসব শিক্ষার্থীদেরও চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

বর্ষা, শীত, গ্রীষ্ম, সব ঋতুতেই এলাকাবাসীর দুর্ভোগের অন্যতম কারণ এটি। গ্রীষ্মকালে ধুলাবালি, বর্ষায় কাদা-পানি, দুর্ভোগের যেন বিরাম নেই! ফলে প্রতিনিয়ত ঘটে ছোটখাটো দুর্ঘটনা। ওই রাস্তাকে ঘিরে এলাকাটিতে প্রায় হাজার হাজার পরিবারের বসবাস। রাস্তার এমন বেহাল দশায় চলাচলের চরম বিপাকে পড়েন ওই এলাকার বাসিন্দারা। সবচেয়ে বেশি অসুবিধায় পড়েন বৃদ্ধ ও শিশু-কিশোররা। গ্রীষ্মকালে বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে চলাচল করলেও বর্ষাকালে দুর্ভোগ বর্ণনাতীত।

এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে রাস্তাটি সংস্কারের জন্য আবেদন করা হলেও, এতেও কোন ফল পাননি তারা। সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম শাহীন চৌধুরী’র আমল থেকে রাস্তার এ দূরাবস্থা, আইয়ুব আলী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর আশার আলো দেখছেন ওই এলাকার বাসিন্দারা। তাও দুর্ভোগ যাচ্ছেনা। দুই হেভিওয়েট চেয়ারম্যান দাবীদার তাদের এলাকার রাস্তার এ অবস্থা থাকায় মানুষের মাঝে হতাশা কাজ করছে।

স্থানীয় ব্যবসায়ী আলা উদ্দীন জানান, ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকার ফলে তৈরি হয় জলাবদ্ধতা। ভারী বৃষ্টিতে জমে যায় হাঁটু পানি। আর এই কাদা পানি নিয়ে প্রায়ই বাড়ি ফেরেন বৃদ্ধ ও শিশুরাসহ অন্যান্য পথচারীরা। রাস্তা মেরমতের পাশাপাশি ড্রেনেজ ব্যবস্থা না করা হলে বর্ষা মৌসুমে দুর্ভোগ লেগেই থাকবে।

এ ব্যাপার কোম্পানীগরঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ওবায়দুল বাশার’র সাথে আলাপ করা হলে তিনি জানান, আমরা বাংলা বাজার থেকে গুচ্ছ গ্রাম পর্যন্ত ২৭শ’ মিটার রাস্তা মেরামত বরাদ্ধের জন্য সংশ্লিষ্ট বরাবরে আবেদন পাঠিয়েছি আশা করি এক মাসের মধ্যে বরাদ্দ পাবো।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Share post:

Subscribe

Popular

More like this
Related

মুছাপুর নদী ভাঙনে শত বছর পুরনো বাড়ীঘর বিলীন হয়ে যাচ্ছে

এএইচএম মান্নান মুন্না:ডাকাতিয়া নদীর তীব্র ভঙ্গনে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার...

এখনো নোয়াখালীতে পানিবন্দি হাজারো মানুষ

এএইচএম মান্নান মুন্না :দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে গেল স্মরণাতীতকালের ভয়াবহ বন্যা।এরমধ্যে ফেনীর পানি নেমে গেলেও নোয়াখালীতে এখনো কাটেনি বন্যার রেশ।  গত ১৫ দিন ধরে পানিবন্দি নোয়াখালীর বিভিন্নউপজেলার কয়েক হাজার মানুষ ফলে সেখানকার বন্যার্ত মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। বন্যা-পরবর্তী খাদ্য সংকটের পাশাপাশি প্রাদুর্ভাববেড়েছে পানিবাহিত বিভিন্ন রোগের।তাদের ঘরগুলোও এখনো বসবাস অনুপযোগী।সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন নারী-শিশু ও বৃদ্ধরা।শুক্রবার দিনভর নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার ৯ নম্বর দেউটি ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায় বানভাসি মানুষের দুর্ভোগ আর অসহায়তার চিত্র।সেখানকার অধিকাংশ রাস্তাঘাটে এখনো হাঁটুসমান পানি।কোথাও বা তার একটু নিচে।ইউনিয়নের নবগ্রামের ব্যাপারি বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, বাড়ির সাতটি পরিবারই পানিবন্দি।সবার রান্নাঘরে পানি এখনো থৈ থৈ করছে।ঘরবাড়ী থেকে পানি নেমে গেলেও কাদামাটির মধ্যেই বসবাস করছেসাত পরিবারের প্রায় ৪০ জন সদস্য কোনো ঘরেই নেই মাটির চুলায় রান্নার ব্যবস্থা।শিশু,বৃদ্ধ আর অসুস্থ মানুষদের নিয়ে এই পরিবারগুলো পানিবন্দি দিন কাটাচ্ছে।এক সপ্তাহ ঘরে বাজার ছিল না, কোনো রকম শুকনো খাবার খেয়ে দিন পার করেছি।পানি আর কাদামাটিতে চলাচল করতে করতে পায়ে ক্ষত য়ে গেছে। পানি নামছেই না।ঘরের ভেতর ইট, কাঠ আর পাটের বস্তা বিছিয়ে হাঁটাচলা...

কাদের মির্জাসহ ৪৭ জনের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীর মামলা

কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি :: বসুরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র কোম্পানীগঞ্জ...

একজন কর্মীবান্ধব ও মানবিক নেতা কামাল উদ্দিন

কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি :: একজন প্রকৃত নেতা তিনিই যিনি...