সদর (নোয়াখালী) সংবাদদাতা :: নোয়াখালীতে সাবেক স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে ফাঁসানোর জন্য নিজের মামা ওমর ফারুখকে (৩২) হত্যা করে সেফটিক ট্যাংকে ফেলে রাখেন আনছারুল করিম (৩৮)। সোমবার (৯ মে) দুপুরে নিজ কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম।
গ্রেপ্তারকৃত আনছারুল করিম কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের উত্তর সরদার ঘোনা গ্রামের মো. ইসমাইলের ছেলে।
নিহত ওমর ফারুখ কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের উত্তর সরদার ঘোনা গ্রামের আলী আহমদের ছেলে।
পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, গতকাল রাত ৩টার দিকে অভিযান পরিচালনা করে চট্টগ্রাম মহানগরীর আকবর শাহ থানা এলাকা থেকে আনছারুল করিমকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি পেশায় রিকশাচালক।
তিনি বলেন, আনছারুল করিম জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। গত ৫ মে রাত ৮ টার দিকে তিনি তার মামা ওমর ফারুখের পরিহিত শার্ট গলায় পেঁচিয়ে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। পরে মরদেহ সেফটিক ট্যাংকের ভেতরে ফেলে রাখেন। তারপর ৮ মে আনছারুল করিম নিজেই ফোন করে মরদেহ সেফটিক ট্যাংকের ভেতরে থাকার খবর দেন।
পুলিশ সুপার, নিহতের ভাই আব্দুর রহমান বাদী হয়ে সুধারাম মডেল থানায় হত্যা মামলা করেছেন। আনছারুল করিমকে আদালতে তুলে জবানবন্দি নেওয়া হবে। এছাড়াও এ ঘটনায় কারো সম্পৃক্ততা পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, নোয়াখালী (প্রশাসন ও অপরাধ) দীপক জ্যোতি খীসা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর দপ্তর) মো. মোর্তাহীন বিল্লাহ, সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আকরামুল হাসান, সুধারাম মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জাকির হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, গতকাল রোববার (৮ মে) বিকেল ৩টার দিকে নোয়াখালী সদর উপজেলার ৭নং ওয়ার্ডের উত্তর চাকলা গ্রামের হারুনের বাড়ির সেফটিক ট্যাংক থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে সুধারাম মডেল থানা পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উত্তর চাকলা গ্রামের হারুনের বাড়িতে থাকা সেফটিক ট্যাংকের মধ্যে একটি মরদেহ রয়েছে- মোবাইলে এমন খবর পেয়ে সেটি দেখতে যান বাড়ির লোকজন। একপর্যায়ে ট্যাংকের ওপরে থাকা ঢাকনার ফাঁক দিয়ে মানুষের একটি পা দেখতে পান তারা। বিষয়টি সুধারাম মডেল থানায় জানালে পুলিশ, পিবিআই ও ডিবি পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সেফটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে ভাসমান অবস্থায় এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে। পরে নিহত ব্যক্তির পরিচয় পাওয়া যায়।