সদর (নোয়াখালী) সংবাদদাতা :: দিন দিন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে নোয়াখালীতে। এজন্য নোয়াখালী-৪ আসনের সাংসদ একরামুল করিম চৌধুরীর অনুরোধে জেলা করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক তন্ময় দাস পুনরায় জেলাকে লকডাউন ঘোষণার কথা নিশ্চিত করেন। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ, সদর, সোনাইমুড়িসহ বিভিন্ন উপজেলায় দিন দিন করোনা সংক্রামণ বেড়ে যাওয়ায় পুনরায় লগডাউন ঘোষণা করা হয়েছে জেলাকে। আজ শুক্রবার সকাল থেকে শুরু হওয়া এ লগডাউন চলবে অনির্দিষ্টকালের জন্য। শুক্রবার জেলা প্রশাসক তন্মম দাস স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে পুনরায় লগডাউন ঘোষণা করা হয়। নোয়াখালীতে করোনা আক্রান্ত রোগির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০৮জনে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে রমজান ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সীমিত আকারে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করার নির্দেশনা মানছে না জেলার ব্যবসায়ীরা। এদিকে প্রতিদিনই বাড়ছে করোনা রোগী। এক পর্যায়ে নোয়াখালী-৪ আসনের সাংসদ একরামুল করিম চৌধুরীর অনুরোধে জেলা করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে ফার্মেসি, মুদি ও কাঁচা বাজারসহ অন্যান্য পরিসেবা খোলা থাকবে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত লকডাউন কার্যকর থাকবে।
শুক্রবার ঘুরে দেখা যায়, লকডাউন কার্যকর করতে পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ বিভিন্ন স্থানে কঠোর অবস্থানে রয়েছে। বসানো হয়েছে পুলিশি চেকপোস্ট। লকডাউন কার্যকরে চলছে মাইকিং ও পুলিশের টহল।
জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ১১ এপ্রিল নোয়াখালীকে লকডাউন করা হয়। এরপর রমজান ও ঈদ উপলক্ষে ১০ মে থেকে সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে মার্কেট-শপিংমল খোলার অনুমতি দেয়া হয়।