করোনায় একদিনে মৃত্যু ২,আক্রান্ত ২ হাজারের বেশি

Date:

মোঃইয়ামিন ভূঁইয়া (ঢাকা) :: দেশে করোনা সংক্রমণ বাড়ার ধারাবাহিকতায় এক দিনে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দুই হাজার ছাড়িয়েছে। আজ সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২ হাজার ১০১ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। একই দিনে করোনায় মৃত্যু হয়েছে দুজনের।

আগের দিন করোনা শনাক্ত হয়েছিল ১ হাজার ৬৮০ জনের। করোনায় মৃত্যু হয়েছিল দুজনের।

এর আগে দেশে করোনা শনাক্তের হার ১০-এর ওপরে ছিল গত ১৭ ফেব্রুয়ারি, ১০ দশমিক ২৪। এরপর শনাক্তের হার ধারাবাহিকভাবে কমেছিল।

বাংলাদেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয় ২০২০ সালের ৮ মার্চ। এর পর থেকে এখন পর্যন্ত দেশে করোনা সংক্রমণের চিত্রে কয়েক দফা ওঠানামা করতে দেখা গেছে। করোনা পরিস্থিতি প্রায় সাড়ে তিন মাস নিয়ন্ত্রণে থাকার পর গত বছরের ডিসেম্বরের শেষ দিকে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। করোনার নতুন ধরন অমিক্রনের প্রভাবে দ্রুত বাড়তে থাকে রোগী শনাক্ত ও শনাক্তের হার।

টানা ২০ দিন মৃত্যুহীন থাকার পর ২০ জুন করোনায় একজনের মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরপর টানা চার দিন করোনায় একজন করে মৃত্যু হয়। মধ্যে এক দিন কারও মৃত্যু হয়নি। সর্বশেষ দুই দিনে তিনজন ও দুজনের প্রাণ গেল এই ভাইরাসে।

আজ বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৩ হাজার ৮২০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ২০। আগের দিন এ হার ছিল ১৫ দশমিক ৬৬।

সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় যে ২ হাজার ১০১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে, তাঁদের মধ্যে ১ হাজার ৯০০ জন ঢাকা বিভাগের। এর মধ্যে ১ হাজার ৮০৬ জনই মহানগরসহ ঢাকা জেলার। বাকি বিভাগগুলোর মধ্যে চট্টগ্রামে ১৩১, খুলনা ১৯, ময়মনসিংহ ১৪, বরিশাল ১৩, রংপুর ১০ এবং সিলেট ও রাজশাহীতে ৭ জন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে, তাঁরা ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। তাঁদের একজন পুরুষ, আরেকজন নারী।

সংক্রমণের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত দেশে ১৯ লাখ ৬৭ হাজার ২৭৪ জনের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৬ হাজার ৮৬৭ জন। আর মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ১৪২ জনের।

দেশে করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় সব ক্ষেত্রে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা, ‘নো মাস্ক, নো সার্ভিস’ নীতি প্রয়োগসহ ছয় দফা ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে সরকারের করোনাসংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। পরামর্শের মধ্যে আরও রয়েছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও জনসমাগম বর্জন করা। এ ছাড়া ধর্মীয় প্রার্থনার স্থানে (যেমন মসজিদ, মন্দির, গির্জা ইত্যাদি) সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।

সূত্রঃ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Share post:

Subscribe

Popular

More like this
Related

মুছাপুর নদী ভাঙনে শত বছর পুরনো বাড়ীঘর বিলীন হয়ে যাচ্ছে

এএইচএম মান্নান মুন্না:ডাকাতিয়া নদীর তীব্র ভঙ্গনে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার...

এখনো নোয়াখালীতে পানিবন্দি হাজারো মানুষ

এএইচএম মান্নান মুন্না :দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে গেল স্মরণাতীতকালের ভয়াবহ বন্যা।এরমধ্যে ফেনীর পানি নেমে গেলেও নোয়াখালীতে এখনো কাটেনি বন্যার রেশ।  গত ১৫ দিন ধরে পানিবন্দি নোয়াখালীর বিভিন্নউপজেলার কয়েক হাজার মানুষ ফলে সেখানকার বন্যার্ত মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। বন্যা-পরবর্তী খাদ্য সংকটের পাশাপাশি প্রাদুর্ভাববেড়েছে পানিবাহিত বিভিন্ন রোগের।তাদের ঘরগুলোও এখনো বসবাস অনুপযোগী।সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন নারী-শিশু ও বৃদ্ধরা।শুক্রবার দিনভর নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার ৯ নম্বর দেউটি ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায় বানভাসি মানুষের দুর্ভোগ আর অসহায়তার চিত্র।সেখানকার অধিকাংশ রাস্তাঘাটে এখনো হাঁটুসমান পানি।কোথাও বা তার একটু নিচে।ইউনিয়নের নবগ্রামের ব্যাপারি বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, বাড়ির সাতটি পরিবারই পানিবন্দি।সবার রান্নাঘরে পানি এখনো থৈ থৈ করছে।ঘরবাড়ী থেকে পানি নেমে গেলেও কাদামাটির মধ্যেই বসবাস করছেসাত পরিবারের প্রায় ৪০ জন সদস্য কোনো ঘরেই নেই মাটির চুলায় রান্নার ব্যবস্থা।শিশু,বৃদ্ধ আর অসুস্থ মানুষদের নিয়ে এই পরিবারগুলো পানিবন্দি দিন কাটাচ্ছে।এক সপ্তাহ ঘরে বাজার ছিল না, কোনো রকম শুকনো খাবার খেয়ে দিন পার করেছি।পানি আর কাদামাটিতে চলাচল করতে করতে পায়ে ক্ষত য়ে গেছে। পানি নামছেই না।ঘরের ভেতর ইট, কাঠ আর পাটের বস্তা বিছিয়ে হাঁটাচলা...

কাদের মির্জাসহ ৪৭ জনের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীর মামলা

কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি :: বসুরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র কোম্পানীগঞ্জ...

একজন কর্মীবান্ধব ও মানবিক নেতা কামাল উদ্দিন

কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি :: একজন প্রকৃত নেতা তিনিই যিনি...