কাদের মির্জাসহ ৪৭ জনের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীর মামলা

Date:

কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি :: বসুরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগ’র সভাপতি আব্দুল কাদের মির্জাসহ ৪৭ জনের বিরুদ্ধে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙ্গচুর ও লুটপাটের অভিযোগে নোয়াখালী আদালতে মামলা করেছেন বসুরহাট বাজারের ব্যবসায়ী ফিরোজ আলম মিলন।

সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) কোম্পানীগঞ্জ চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইকাবাল হোসেন মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য নোয়াখালী পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার অপর আসামীরা হলেন, শাহাদাত হোসেন, সাহাব উদ্দিন পাটোয়ারী, সোহাগ হাজারী, আবুল খায়ের, হাফিজ উদ্দিন শাহীনসহ ৪৭জন। এছাড়া ১৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. আবদুর রহিম সেহেল বলেন, ফিরোজ আলম মিলন তার মালিক আর মালিকীয় জায়গায় ব্যবসা পরিচালনা করেন। তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম মেসার্স হুমায়ুন কবির টিম্বার এন্ড স-মিল। ফিরোজ আলম মিলনকে সাবেক মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা পৌরসভাতে ঢেকে নিয়ে গোরবা ফাÐের জন্য ৫০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন। তিনি চাঁদা না দেওয়ায় তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভেঙ্গে লুট পাট করে পৌর শিশু পার্ক সাইন বোর্ড ঝুলিয়ে দেন। বাদীর পক্ষের এই জায়গার ওপর বিজ্ঞ আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও আব্দুল কাদের মির্জার নেতৃত্বে ভাঙচুর লুটপাট করে আর্থিকভাবে ক্ষতি করেন। অভিযুক্তদের শাস্তি হওয়া প্রয়োজন।

মামলার অভিযোগ সূত্র জানা গেছে, বাদী ফিরোজ আলম মিলন বসুরহাটের একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ২০২১ সালে ২৪ সেপ্টেম্বর তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আব্দুল কাদের মির্জার উপস্থিতিতে বুলডোজার দিয়ে তার স্থাপনা ভাঙচুর করা হয়েছে, ভাংচুরের আগে কারখানায় রক্ষিত কোটি কোটি টাকা মূল্যের ফার্নিচার তৈরির ১০টি মেশিন, ১টি স’মিল, ১টি জেনারেটর, ২০টি সিলিং ফ্যান, ১০টি স্ট্যান্ড ফ্যান, সেগুন কাঠ, সেগুন কাঠের রদ্দা, লৌহা কাঠের রদ্দা, গামারি কাঠ, গামারি গাছের পাল্লাসহ তৈরি করা বিভিন্ন আসবাবপত্র পিকাপ ভ্যান ও ট্রাক্টরে করে লুট করে নিয়ে যায়। এতে ২২ কোটি টাকা ক্ষতি হয়।

এ বিষয়ে ফিরোজ আলম মিলন বলেন, আমার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা তাৎক্ষণিককভাবে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, কোম্পানীগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তাকে টেলিফোনে অবগত করি। কিন্তু কেউই আমার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রক্ষা করতে পারেনি। কাদের মির্জা, ওবায়দুল কাদের ছোট ভাই এবং বসুরহাট পৌরসভার মেয়র ছিলো। তখন ভয়ে কেউ আমার অভিযোগ আমলে নেয়নি। এখন ন্যায়বিচারের আশায় আমি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি। আমি তাদের বিচার চাই।

এ ব্যাপরে আবদুল কাদের মির্জার বক্তব্য নেয়ার জন্য তার মুঠোফোনে বার বার কল করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Share post:

Subscribe

Popular

More like this
Related

মাইজদী শহরের হুইল চেয়ারে বসে মোয়া বিক্রেতা অর্জুন এখন উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখেন

নোয়াখালী প্রতিনিধি :: প্রতিবন্ধী হলেও অর্জুন পাল উদ্যোক্তা হওয়ার...

আদালতের নির্দেশে ১১ বছর পর শিবির কর্মীর লাশ উত্তোলন, কাউন্সিলর গ্রেপ্তার

কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভায় আওয়ামী...

কোম্পানীগঞ্জে আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস পালিত

কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি :: ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে তারুণ্যের একতা; গড়বে...

কুকুরের ডাকে সাড়া মিললো অটোরিকশা চালক রবিন’র মরদেহ

নোয়াখালী প্রতিনিধি :: নোয়াখালীর সদর উপজেলায় সেপটিক ট্যাংক থেকে...