কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি :: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নে অপহরনের পর হত্যা করে লাশ গুমের এক বছর পর থানায় মামলা দায়ের। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলো— কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মো. মাঈন উদ্দিনের ছেলে মো. নিজাম উদ্দিন সবুজ, আজিজুল হকের ছেলে মো. সাইফুল ইসলাম ও আব্দুল হকের ছেলে মো. মিলন। নিহত সাইফুল ইসলাম পেশায় একজন রাজমিস্ত্রী এবং ওই এলাকার ৬নং ওয়ার্ডের কেদারের বাড়ীর মোঃ মুরাদ মিয়ার ছেলে।
রাজমিস্ত্রি সাইফ উদ্দিন প্রকাশ সাইফুল ইসলাম ২০১৫ সালের মার্চ মাসে নিখোঁজ হওয়ার পর ২০১৫ সালের জুলাই মাসে তার পিতা মো. মুরাদ মিয়া কোম্পানীগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন (নং-৪৪৩)। নিখোঁজ রাজমিস্ত্রীর ব্যবহৃত মুঠোফোন নং ০১৮৫০৩৬৩৬৩ থেকে ফোন করে পরিবারের সদস্যদের কাছে মুক্তিপণ দাবি করে। ২০১৬ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর আবারও নিহত সাইফ উদ্দিনের ব্যবহৃত মুঠোফোন থেকে তার চাচাতো ভাই মো. সবুজের মুঠোফোনে করে এক বছর আগে নিখোঁজ হওয়া সাইফ উদ্দিন আটক আছে বলে মুক্তিপণ দাবি করে। এরপর মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরবর্তীতে রাজ মিস্ত্রী সাইফ উদ্দিন হত্যা মামলার বাদী তার ভাই মো. হেলাল উদ্দিন অনুসন্ধান করে জানতে পারে যে, তার ভাইয়ের ব্যবহৃত মুঠোফোনের সিমটি চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার ১ নম্বর আসামি মো. নিজাম উদ্দিন সবুজের নামে রেজিষ্ট্রেশন করা হয়েছে। এরই সূত্র ধরে পুলিশ চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার এজাহার নামীয় তিন জনকে গ্রেফতার করে।
নিহত রাজমিস্ত্রী সাইফ উদ্দিনের ভাই হেলাল উদ্দিন ২৮ সেপ্টেম্বর বাদী হয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানায় এজাহার নামীয় তিন জন ও অজ্ঞাত নামা ৭-৮ জনকে আসামি করে কোম্পানীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা (মামলা নং ১৭) দায়ের করে।