কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি :: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে প্রেম করে বিয়ের ৩ বছরের মাথায় আত্মহত্যা করেছেন মারজাহান আক্তার রিক্তা (২১) নামে এক তরুণী। শুক্রবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে বসুরহাট পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের ওয়াজ উদ্দিন ব্যাপারীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মারজাহান আক্তার রিক্তা ওই বাড়ির আবু নাছেরের মেয়ে। তার আট মাস বয়সী একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। শনিবার (২১ অক্টোবর) ভোরে লক্ষীপুরের চন্দ্রগঞ্জ থানার পশ্চিম লতিফপুর গ্রাম থেকে স্বামী ফয়সাল মাহমুদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পরিবারের দাবি, স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের অত্যাচার সইতে না পেরে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন তিনি। এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও বার্তা উদ্ধার করেছে পুলিশ। এতে স্বামী ও শাশুড়ির নির্যাতনের বর্ণনা ও আত্মহত্যার কারণ সম্পর্কে বর্ণনা আছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
রিক্তার বাবা আবু নাছের বলেন, টিকটকে প্রেম করে তিন বছর আগে পরিবারের অমতে ফয়সাল মাহমুদকে বিয়ে করেন রিক্তা। পরে ওই বাড়িতে গিয়ে দেখেন ছেলের কিছুই নেই। এসব নিয়ে কথা বলায় স্বামী, তার মা তাছলিমা বেগম (৪০) ও ননদ পিংকী (২০) রিক্তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো। তিনদিন আগে রিক্তা অসহ্য হয়ে আমাদের বাড়িতে চলে আসে এবং শুক্রবার দুপুরে মোবাইলে ভিডিও করে মৃত্যুর জন্য স্বামী, শাশুড়ি ও ননদকে দায়ী করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রণব চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ রিক্তার বাবার বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেছে। তার গায়ে কিছু কাটা বা আঁচড়ের দাগ রয়েছে। মৃত্যুর আগে করা দুই মিনিট ৪৮ সেকেন্ডের একটি ভিডিওসহ তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি জব্দ করা হয়। এতে তিনি মৃত্যুর জন্য স্বামী ও তার পরিবারের লোকজনকে দায়ী করেছেন।
ওসি আরও বলেন, এ ঘটনায় তিনজনকে আসামি করে নিহতের বাবা আবু নাছেরের দায়ের করা অভিযোগটি আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা হিসেবে রুজু করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যার নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্যে লক্ষীপুর থেকে স্বামী ফয়সাল মাহমুদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।