কোম্পানীগঞ্জ ( নোয়াখালী ) প্রতিনিধি :: কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার হাজারীহাট হাইস্কুল এন্ড বিএম কলেজের অধ্যক্ষ সুলতান আহম্মেদ চৌধুরীকে দ্বিতীয় দফায় শোকজ নোটিশ জারি করেছে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর।
কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর গত ২২ নভেম্বরের ৫৭.০৩.০০০০.০৯২.৩১.৪০৭.১৪-৮৬৮(
শোকজ নোটিশে যা উল্লেখ করা হয়-
সুলতান আহম্মেদ চৌধুরী উল্লেখিত প্রতিষ্ঠানে প্রধান শিক্ষক পদে বহাল থেকে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ প্রাপ্ত হন। তিনি এসএসসি ও এইচএসসি উভয় পরীক্ষায় মানবিক শাখা হতে ৩য় বিভাগে উত্তীর্ণ, (সমগ্র শিক্ষা জীবনে ১টির বেশী ৩য় শ্রেণী গ্রহণযোগ্য নয়)। বিধায় ২৪ অক্টোবর ১৯৯৫সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত পরিপত্র এবং ১১জুন ১৯৯৬সালের বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের (এসআরও-৫৪, আইন/৯৬) প্রবিধানমালায় বর্ণিত শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার শর্তাবলী অনুযায়ী তার কাম্যশিক্ষাগত যোগ্যতা ছিল না। কাজেই উক্ত অধ্যক্ষ পদে তার নিয়োগ বিধি সম্মত হয়নি।
বে-সরকারি জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১০ (৪ ফেব্রুয়ারী ২০১০ এ প্রণীত মার্চ ২০১৩ পর্যন্ত সংশোধিত) এর ১১(১৯) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বর্তমানে কর্মরত প্রধান শিক্ষকগণ স্ব-বেতনে নিয়োজিত থাকবেন। তার পদটি কোন কারণে শূন্য হলে পদটি বিলুপ্ত হবে তবে প্রধান শিক্ষক কর্মরত থাকা অবস্থায় অধ্যক্ষ নিয়োগ করা যাবে না মর্মে উল্লেখ রয়েছে। সে মোতাবেক সুলতান আহম্মেদ চৌধুরী প্রধান শিক্ষক পদে বহাল থেকে ২০০৬ সালে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে জানুয়ারী/২০১৫ মাস পর্যন্ত প্রধান শিক্ষক পদের এমপিও গ্রহণ বিধি সম্মত হয়নি।
কিন্তু সুলতান আহম্মেদ চৌধুরী প্রধান শিক্ষক পদে বহাল থাকা অবস্থায় ২০০৬সালের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, নিয়োগ কমিটির সুপারিশের আলোকে ২৭/০৬/২০০৬খ্রি. তারিখে অধ্যক্ষ পদে যোগদান, জানুয়ারী/২০১৫ পর্যন্ত প্রধান শিক্ষক পদের বেতন ভাতার সরকারি অংশ গ্রহণ, যা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ১৯৯৫ ও ২০১০ এ প্রণীত, মার্চ ২০১৩ পর্যন্ত সংশোধিত পরিপত্র এবং ১৯৯৬ সালের বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের প্রবিধানমালা অনুযায়ী বর্ণিত নির্দেশনা সমূহ লংঘিত হয়েছে মর্মে প্রতীয়মান।
নোটিশে আরো উল্লেখ করা হয়- নিয়োগকালীন তার কাম্য শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকায় বিষয়টি এমপিওভুক্তির সময় নথিতে উল্লেখ থাকলেও তবে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগপ্রাপ্তি পর প্রধান শিক্ষক পদের বেতনভাতা গ্রহণের কোন আইনগত সুযোগ নেই। একই সময়ে দুই পদে অধিষ্ঠিত থাকা এবং অধ্যক্ষ পদে যোগদানের পর প্রধান শিক্ষক পদে বেতনভাতা গ্রহণ বিধি সম্মত নয়। এমতাবস্থায় একই সাথে দুই পদে অধিষ্ঠিত থেকে অধ্যক্ষ পদে যোগদানের পর ও প্রধান শিক্ষক পদে বেতনভাতা গ্রহণ কেন অবৈধ নয় এবং কেন তাহার বিরুদ্ধে এমপিও জনবল কাঠামো-২০১৮এর আলোকে বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা আগামী ১০ কর্ম দিবসের মধ্যে ওই দপ্তরে প্রেরণের নোটিশ জারি করা হয়।
এ ব্যাপারে ম্যানেজিং কমিটি, অভিভাবক, শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের সাথে আলাপ করলে তারা সুলতান আহম্মেদ চৌধুরী’র এমন কর্মকান্ডে প্রতিষ্ঠানের আর্থিক ক্ষতিসহ ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে বলে মনে করছে।
সুলতান আহম্মেদ চৌধুরী’র সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নুরুল হুদার সাথে আলাপ করা হলে তিনি জানান, অধ্যক্ষ সুলতান আহম্মেদ চৌধুরী বর্তমানে দেশের বাহিরে অবস্থান করায় তার মুঠোফোন বন্ধ রয়েছে।