কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি:: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামীলীগ দু’গ্রুপের সংঘর্ষে কর্তব্যরত সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহতের ঘটনায় একে অপরের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ এনে আলাদা আলাদা কর্মসূচি পালন করেছে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল।
সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বসুরহাট রূপালী চত্বরে শত শত নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে মিলাদ মাহফিল করে মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। অপরদিকে বিকেল ৪টায় উপজেলার চরকাঁকড়া টেকেরবাজার নামকস্থানে প্রতিবাদ সমাবেশ করে মিজানুর রহমান বাদল।
একইস্থানে দু’পক্ষের পাল্টাপাল্টি ডাকা শোকসভা ও প্রতিবাদ সভার কারণে সকল সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করে সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভা এলাকায় ১৪৪ধারা জারি করে উপজেলা প্রশাসন। পরে পুলিশের কঠোর অবস্থানের কারণে মিজানুর রহমান বাদল প্রতিবাদ সভার স্থান পরিবর্তন করে টেকেরবাজার পালন করে। ১৪৪ধারা জারির সময় পার হলে মেয়র আবদুল কাদের মির্জা পালন করে মিলাদ মাহফিল। এ সময় শত শত নেতাকর্মী মিলাদ মাহফিলে উপস্থিত হয়। কর্মসূচি পালনকালে বক্তারা সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির হত্যার ঘটনায় একে অপর গ্রুপকে জড়িয়ে দায়ী করে শাস্তির দাবী জানান। উভয়ের কর্মসূচিতে পুলিশ, ডিবি পুলিশ ও র্যাবের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত।
আবদুল কাদের মির্জার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভা করতে পেরে বাদল গ্রুপ ও বাদল গ্রুপ পৌরসভায় তার কর্মসূচি পালন করতে না পারায় মেয়র গ্রুপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘আলহামদুলিল্লাহ’ পোস্ট করার হিড়িক পড়তে দেখা যায়। সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ব্যবহারকারীদের বিশাল অংশের এমন পোস্টে সাধারণের মাঝে কৌতুহল দেখা দেয়।