কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তারদের দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ তুললেন কাদের মির্জা

Date:

কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি :: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় লকডাউনের প্রথম দিনে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন যথাযথ ভূমিকা পালন না করায় ক্ষোভ ও উদ্বেগ জানিয়ে মেয়র আবদুল কাদের মির্জা সোমবার (২৮জুন) সকাল ১০টায় তার ফেসবুক পেইজে লাইভে এসে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তারদের দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ তুলে ধরলেন বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা।

তিনি বলেন, আমি সকাল ৯টা ১০মিনিটে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন করি। এ সময় জরুরী বিভাগে আনা হয় একটা মুমুর্ষ শিশুকে। আমি শিশুটাকে দেখে খুবই কষ্ট পেয়েছি। সেখানে চোখের পানি ধরে রাখতে পারিনি। এত কষ্ট লেগেছে। আমি জানতে পারলাম, হাসপাতালে কর্তব্যরত ডাক্তাদের ডিউটি সকাল ৮টা থেকে পালন করার কথা। ৯টা ৪০ মিনিট বেজে গেলেও একটা কর্মরত ডাক্তারও আসেনি। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার গাড়ী প্রবেশ করলেও কিন্তু তাকে দেখা যায়নি। হাসপাতালে উপস্থিত শত শত রোগী প্রতিদিন ডাক্তাররা ১১টার পর আসার অভিযোগ করেন। হাসপাতালের আশপাশ দেখে মনে হয় এখানে কোন অভিভাবক নেই। ময়লা আবর্জনায় ভরপুর। এ অবস্থা চলতে দেয়া যায় না। শেখ হাসিনার সকল অর্জনকে তারা ধ্বংস করে দিচ্ছে।

সরকারী আদেশ অমান্য করে পূর্বে ন্যায় বসুরহাট বাজারের বড় বড় ব্যবসায়ীরা তাদের দোকান পাট খোলা রেখেছে। বসুরহাটের বড় ব্যবসায়ী অরবিন্দ ভৌমিক অতীতের মত সে এবারও দোকান খোলা রেখে তাদের লেবাররা কাজ করছে। অপরদিকে বড় ব্যবসায়ী হেলাল হার্ডওয়্যারের মালিক দোকান খোলা রেখে মালামাল লোড-আনলোড করছে। আমি হেলাল হার্ডওয়্যারের মালিককে সরকারী আদেশ অমান্য করে দোকান খোলা রাখার দায়ে তাকে পুলিশি সোপর্দ করি। যেসকল দোকানগুলো খোলা রেখেছে এরা কখনও আমার কথা শুনেন না। তারা সবসময় দোকান খোলা রাখে। এদের ব্যাপাওে প্রশাসন সবসময় নিশ্চুপ থাকেন। নিশ্চয় প্রশাসনের সাথে তাদের লেনদেন হয়। তা না হলে তাদের প্রশাসনের কোন চুক্তি আছে। তাহলে প্রশাসনের নাকের ডগায় কিভাবে তারা দোকানগুলো খোলা রাখে? তারা এত সাহস কোথায় পায়? আমি কিছু দোকান বন্ধ করে চাবি নিয়ে আসি। ব্যবসায়ী নেত্রীবৃন্দের আলাপ-আলোচনা করে পরবর্তীতে তাদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে কাদের মির্জা আরো বলেন, ২/১টা সিএনজি রাস্তায় চলাচল করতে দেখা গেছে। পুলিশের তদন্ত ওসি রাস্তায় বের হয়ে প্রতিটি সিএনজি ড্রাইভারের কাছ থেকে ৫হাজার টাকা করে নেয়ার দাবী করেন। তারাতো গরীব মানুষ। তারা ভুল করতে পারে। তাদেরকে সতর্ক করে মাপ করে দিতে পারে না? পুলিশ তা না করে চালকদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। তারা কোত্থেকে এ টাকা দিবে?

তিনি আরো বলেন, লকডাউনে কোন করোনা রোগী অর্থের অভাবে চিকিৎসা নিতে পারছেন না এমন রোগীদের আমি অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করবো। বিত্তবানরা যে যেখানে আছেন আপনারাও সহযোগিতা করবেন। আমি এ লকডাউনে ৪হাজার কর্মহীন মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Share post:

Subscribe

Popular

More like this
Related

মাইজদী শহরের হুইল চেয়ারে বসে মোয়া বিক্রেতা অর্জুন এখন উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখেন

নোয়াখালী প্রতিনিধি :: প্রতিবন্ধী হলেও অর্জুন পাল উদ্যোক্তা হওয়ার...

আদালতের নির্দেশে ১১ বছর পর শিবির কর্মীর লাশ উত্তোলন, কাউন্সিলর গ্রেপ্তার

কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভায় আওয়ামী...

কোম্পানীগঞ্জে আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস পালিত

কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি :: ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে তারুণ্যের একতা; গড়বে...

কুকুরের ডাকে সাড়া মিললো অটোরিকশা চালক রবিন’র মরদেহ

নোয়াখালী প্রতিনিধি :: নোয়াখালীর সদর উপজেলায় সেপটিক ট্যাংক থেকে...