চট্টগ্রাম ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টির নেপথ্যে কাজ করছে উসকানিমূলক সাংবাদিকতা

সাম্প্রদায়িক ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার নেপথ্যে অন্যতম ভূমিকা রেখে চলেছে কিছু অপতথ্য

Date:

নোয়াখালী টাইমস ডেস্ক :: গত ২ সেপ্টেম্বর ফেসবুকে বাংলাদেশের মানচিত্রের ছবিযুক্ত একটি পোস্ট ভাইরাল হতে দেখা যায়, যেখানে রংপুর বিভাগ এবং চট্টগ্রাম বিভাগকে “হিন্দুদেশ” নাম দিয়ে লাল রঙে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং বলা হচ্ছিল “আমরা এই দুইটা বিভাগ হিন্দুদের করতে চাই। আপনারা ভারতে না গিয়ে এই ২ টা জায়গায় গিয়ে বসবাস করুন।” এটি এমন একটি সময় ছড়োনো হয় যখন ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার একমাস পূর্ণ হতে চলেছে। স্বাভাবিকভাবেই পোস্টটি ফেসবুকে বেশ উত্তজনা এবং কৌতুকের সৃষ্টি করে, পোস্টটির স্ক্রিনশটও অনেককে শেয়ার দিতে দেখা যায়। পোস্টগুলোতে “হিন্দুদেশ” এর পক্ষে-বিপক্ষে প্রচুর কমেন্ট দেখা যায়। আমার মতন অনেককে অবাক করে দিয়ে এই পোস্টটি ফেসবুকে শেয়ার হবার প্রায় দুই মাস বাদে চট্টগ্রামকে ঘিরে সৃষ্টি হয়েছে সাম্প্রদায়িক এবং ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা, যার নেপথ্যে অন্যতম ভূমিকা রেখে চলেছে এই ধরণের কিছু অপতথ্য।

যেভাবে উত্তপ্ত হলো চট্টগ্রাম-
গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর ৫২ জেলায় অন্তত ২০৫টি সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। এই পরিংখ্যানে উল্লেখিত হামলাগুলোর কতখানি রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক এবং কতখানি সাম্প্রদায়িক উদ্দেশ্য প্রণোদিত তা জানা না গেলেও, সেসময় হিন্দুদের ওপর সাম্প্রদায়িক হামলার সংক্রান্ত প্রায় ৪০ টিরও বেশি গুজব শনাক্ত করেছিলো রিউমর স্ক্যানার। পরবর্তীতে চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘু নির্যাতন বন্ধসহ ৮ দফা দাবিতে বিক্ষোভ এবং অবরোধ কর্মসূচী পালন করেন সনাতন ধর্মালম্বীরা। এরপর সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবর মাসে চট্টগ্রামে হিন্দুদের বেশ কয়েকটি বিশাল সমাবেশ ঘটে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য চট্টগ্রাম নগরের লালদীঘি মাঠে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সংগঠন বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের গণসমাবেশ যেখান থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে লংমার্চের ঘোষণা আসে। এরপর সনাতন ধর্মবিশ্বাসী সংগঠন আন্তর্জাতিক শ্রীকৃষ্ণ ভাবনামৃত সংঘের (ইসকন) আলোচিত সংগঠক এবং সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে মামলা দায়ের হয়। ৩০ অক্টোবর (বুধবার) রাতে মো. ফিরোজ খান নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে নগরীর কোতোয়ালী থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, গত ৫ অগাস্ট গণঅভুত্থানের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা নিউমার্কেট মোড়ে একটি জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে। গত ২৫ অক্টোবর লালদিঘী মোড়েসমাবেশের দিন ওই পতাকার ওপর সাম্প্রদায়িক ধর্মীয় গোষ্ঠী ইসকনের গেরুয়া রঙের ধর্মীয় পতাকা উত্তোলন করে স্থাপন করে দেওয়া হয়, যা রাষ্ট্রের অখণ্ডতাকে অস্বীকার করার শামিল।

চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দায়েরের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (৩১শে অক্টোবর) বিকেল ৩টায় চট্টগ্রামের চেরাগী পাহাড় মোড়ে সমাবেশ করে বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ। উক্ত সমাবেশ থেকে ৬৪ জেলায় সমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এরপর ১লা নভেম্বর শুক্রবার পূর্বনির্ধারিত সেই সমাবেশে আসার পথে বাধা দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়। সংবাদসূত্রে জানা যায়, সেদিন বিকেলে নগরের চেরাগী পাহাড় মোড়ের সমাবেশে যোগ দিতে যাওয়ার সময় জামালখান মোড়, আন্দরকিল্লা ও বৌদ্ধমন্দির মোড়ে এ বাধা দেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, যদিও বাধা ঠেলে সমাবেশে যোগ দেন হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন।

এরপর গত ৫ নভেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত একটি ফেসবুক পোস্টকে ঘিরে চট্টগ্রাম নগরের কোতোয়ালি থানার হাজারী গলি এলাকা হয়ে ওঠে রণক্ষেত্র। একাধিক সংবাদসূত্রে জানা যায়, মো. ওসমান নামের এক দোকানদার ঘটনার কয়েক দিন আগে তার ফেসবুকে ইসকনের নাম উল্লেখ করে একটি পোস্ট শেয়ার করেন। ঘটনার দিন এ নিয়ে ঐ এলাকার হিন্দুদের মধ্যে ক্ষোভ ও উত্তেজনা সৃষ্টি হলে তা একপর্যায়ে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এরপর পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে ঘটনাস্থলে গিয়ে ফেসবুকে পোস্টদাতা ব্যক্তিকে দোকান থেকে উদ্ধারের সময় বিক্ষোভকারীরা বাধা দেয় এবং যৌথবাহিনীকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে যৌথবাহিনী ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে থানায় নিতে সক্ষম হন। এ সম্পর্কে যৌথবাহিনীর মুখপাত্র লে. কর্নেল ফেরদৌস আহমেদ সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, যৌথবাহিনীর ওপর সেখানে জুয়েলারির কাজে ব্যবহৃত এসিড হামলা ও ইট পাটকেলসহ কাঁচের বোতল ছোড়া হয়েছে। এতে পাঁচ সেনাসদস্য ও সাত জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে বলে জানান তিনি। উক্ত সংঘর্ষের ঘটনায় সুমন চৌধুরী নামের এক যুবলীগ নেতাসহ ৮০ জন আটক এবং নিরাপত্তা বাহিনীর ১২ সদস্য আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। উক্ত ঘটনার নিন্দা জানিয়ে, চট্টগ্রামে এক প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে বাংলাদেশে ইসকন (আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ) নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম। সেই সমাবেশ থেকে ইসকন ভক্তদের ধরে ধরে জবাই করার হুমকিমূলক একটি ভিডিও ইতিমধ্যে সামাজিক মাধ্যমে সয়লাব, আশ্চর্যজনকভাবে যা কোনো বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম তুলে ধরেনি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিক্রিয়া-
ভারতীয় মিডিয়া স্বাভাবিকভাবেই চট্টগ্রাম এনং ইসকন বিষয়ে সংবাদগুলো ফলাও করে প্রচার করছে, যার কয়েকটিতে মিশে আছে অতিরঞ্জন এবং উসকানি। যেমন জি ২৪ ঘন্টা তাদের একটি প্রতিবেদনে ইসকনের পূর্বাঞ্চলীয় মুখপাত্রের বরাত দিয়ে বলেছে, চট্টগ্রাম পুলিশ নাকি ইসকনকে জঙ্গি তকমা দিয়েছে। যদিও চট্টগ্রাম পুলিশের তরফ থেকে এমন কোনো বিবৃতি পাওয়া যায়নি, বরং একটি সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের উপ-কমিশনার রইছ উদ্দিন বলেছেন, “প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ এবং ফেইসবুকের প্রচার প্রচরণাসহ সবকিছু বিচার বিশ্লেষণ করে আমরা জানতে পেরেছি ‘ইসকন সমর্থকরা’ এ হামলার সাথে জড়িত রয়েছে”। অন্যদিকে আওয়ামীপন্থী অ্যাক্টিভিস্ট নিঝুম মজুমদারের বরাতে হিন্দুস্তান টাইমস তাদের প্রতিবেদনের শিরোনাম করেছে “চট্টগ্রামে হিন্দুদের উপরে আক্রমণ সেনার, গণহত্যা শুরু হয়।

জুলাই-আগস্ট গণুভ্যুত্থানের শুরু থেকে আক্রমণাত্মক উপস্থাপনার জন্য আলোচনায় থাকা ভারতীয় বাংলা সংবাদমাধ্যম রিপাবলিক বাংলা একাধিক মন্তব্য প্রতিবেদন প্রচার করেছে এই বিষয়ে। তাদের “চট্টগ্রাম আলাদা রাষ্ট্র হবে? মাউন্টব্যাটেন- নেহেরুর ভুল ঠিক করার সময় এসেছে? ভারতের হস্তক্ষেপ জরুরি?” শীর্ষক একটি প্রতিবেদনে দুই সংবাদ পরিবেশক সন্তু পান এবং ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ বলছেন, চট্টগ্রাম হাতছাড়া হতে পারে বাংলাদেশ থেকে। চট্টগ্রাম ভূ-রাজনৈতিকভাবে কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা বোঝাতে এই প্রতিবেদনে বলা হয়, যেহেতু উত্তর-পূর্ব ভারতের কোনো সমুদ্রবন্দর নেই, তাই চট্টগ্রাম যদি ভারতে চলে আসে তাহলে ভারতের মূল ভূখন্ড থেকে উত্তর-পূর্ব অংশের দূরত্ব মিটে যাবে, পণ্য পরিবহনের খরচ কমে যাবে। একইসাথে বঙ্গোপসাগরে ভারতের কর্তৃত্ব বাড়বে, আমেরিকা ধারে কাছে আসতে পারবে না।

পাকিস্তানি জাহাজ নিয়ে বিতর্ক-
গত ১৩ই নভেম্বর বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর প্রথমবারের মতো পাকিস্তানের করাচি থেকে ‘এমভি ইউয়ান জিয়ান ফা ঝং’ নামের কন্টেইনার বহনকারী একটি জাহাজ সরাসরি এসে ভিড়েছিলো বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরে। গত কয়েকদিন ধরে এ নিয়ে বাংলাদেশ এবং ভারতের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ও সংবাদমাধ্যমে এ নিয়ে চলছে আলোচনা এবং বিতর্ক। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পণ্য খালাস হয়ে গেলে পরদিনই জাহাজটি বন্দর ত্যাগ করেছে। এবিষয়ে বিবিসি বাংলা বলছে, দুবাই টু চট্টগ্রাম রুট ধরে আসা জাহাজটির পরবর্তী গন্তব্য ইন্দোনেশিয়া। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বিবিসিকে জানিয়েছেন, “দুবাই থেকে চট্টগ্রাম, এই সার্ভিস আমাদের আগে থেকেই আছে। এইবার আসার সময় তারা করাচি বন্দর হয়ে বাংলাদেশে আসছে। স্বাধীনতার পরে সরাসরি এভাবে কোনও জাহাজ বাংলাদেশে এসেছে কি না, তা জানি না। আমার জানামতে, এইবার সরাসরি এসেছে। পাকিস্তানের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য আগে থেকেই ছিলো। আগে পাকিস্তান থেকে যে কন্টেইনার আসতো, তার কিছু আসতো সিঙ্গাপুর হয়ে, কিছু আসতো কলম্বো হয়ে”। প্রথম আলোর একটি প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, পাকিস্তান থেকে আমদানি হওয়া কনটেইনারে রয়েছে শিল্পের কাঁচামাল ও ভোগ্যপণ্য

কিছু ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এই জাহাজকে ইউনুস সরকারের ‘পাক প্রেম’ প্রেম হিসেবে প্রচার করেছে। ওপার বাংলার আনন্দবাজার পত্রিকা তাদের দুটি সংবাদ শিরোনামে বলছে “বাংলাদেশে করাচির পণ্যবাহী জাহাজ, মুক্তিযুদ্ধ ভুলে পাকিস্তানকে কাছে টানতে চান ইউনূস?” এবং “পাকিস্তানের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক গড়ছেন ইউনূস, চট্টগ্রাম-করাচি সরাসরি জাহাজ চলাচল চালু”। হিন্দুস্তান টাইমস তাদের শিরোনাম করেছে “করাচির জাহাজ নোঙর ফেলল বাংলাদেশের বন্দরে, উথলে উঠছে পাক-প্রেম”। রিপাবলিক বাংলা তাদের ভিডিও প্রতিবেদনের শিরোনামে লিখেছে “এক জাহাজ অস্ত্র নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে পাকিস্তানি জাহাজ? মৌলবাদের ষোলকলা পূর্ণ হল বাংলাদেশের?” উক্ত প্রতিবেদনে শুরুতে উপস্থাপক ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ বলছেন, “পাকিস্তান কিংবা সিরিয়া হতে চায় নতুন বাংলাদেশ… সামরিক অস্ত্রের পর এবার কি পারমাণবিক অস্ত্র চুক্তি?… পাকিস্তান-বাংলাদেশের মধ্যে এবার কি পারমাণবিক চুক্তি হতে চলেছে? পারমাণবিক শক্তি নিয়ে চুক্তি দু’দেশের মধ্যে। কেন এই চুক্তি সই করার চেষ্টা চলছে?” প্রতিবেদনের এক পর্যায়ে বাংলাদেশের সামরিক ব্যয়ের বেশ কিছু পরিসংখ্যান হাজির করে বলা হচ্ছে, শেষ দুইমাসে ইউনূস সরকার ৪০ হাজার কোটি টাকার অস্ত্র কিনেছেন। অথচ এমন তথ্যের কোন উৎস উদ্ধৃত করা হয়নি উক্ত প্রতিবেদনে, বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম এবং অন্য কোনো অফিসিয়াল সূত্র থেকে এমন কোনো কেনাকাটার খবর পাওয়া যায়নি। উলটো ২০১৭ সালের বেশ কয়েকটি ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সংবাদে পাওয়া গেছে, ভারতীয় সেনাবাহিনীর আধুনিকায়নে ৪০ হাজার কোটি টাকা অস্ত্র কেনা হচ্ছে।

ভারতীয় সামাজিক মাধ্যমে চট্টগ্রাম নিয়ে গুজব-
ভারতীয় সামাজিকমাধ্যমে সম্প্রতি চট্টগ্রামের বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে হয়েছে অপতথ্যের ছড়াছড়ি, যার কয়েকটি পরবর্তীতে বাংলাদেশেও ভাইরাল হয়েছে। এরকম কয়েকটি উল্লেখযোগ্য গুজব হলো:

*চট্টগ্রামে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং জামায়াতে ইসলামীর সন্ত্রাসীদের যৌথ হামলায় ৫০ জনেরও বেশি হিন্দু নিহত ও আহত হয়েছে। * অন্তত ৬ জন হিন্দু নারী ও মেয়েকে উগ্র ইসলামবাদীরা অপহরণ করেছে।
* ইসলাম ধর্মালম্বীর দোকানে হামলার দৃশ্যকে হিন্দুদের ওপর হামলা বলে প্রচার।
* চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর হাতে নয়, অমিত সূত্রধর নিহত হয়েছেন মৌলভীবাজারে সড়ক দুর্ঘটনায়।
* চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের বক্তব্যকে নরেন্দ্রমোদির কাছে মানবিক আবেদন বলে প্রচার।
* চট্টগ্রামে হাজারী গলিতে যৌথ বাহিনীর অভিযানে হিন্দু ধর্মাবলম্বী ব্যক্তি নিহত হওয়ার ভুয়া দাবি।
* চট্টগ্রামে স্বৈরাচার বিরোধী মিছিলে ‘লীগ ধর, জবাই কর’ স্লোগানের ভিডিওকে ‘ইসকন জবাই কর’ স্লোগান দেওয়া হচ্ছে দাবিতে প্রচার।
* গত আগস্টে টাঙ্গাইলে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের একটি বিক্ষোভ মিছিলকে চট্টগ্রামে হিন্দুদের ওপর সেনাবাহিনীর হামলার অভিযোগে হওয়া প্রতিবাদের মিছিল বলে প্রচার।
* এক জাহাজ অস্ত্র নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে পাকিস্তানি জাহাজ।
* বাংলাদেশের সাথে পাকিস্তানের সামরিক এবং পারমাণবিক শক্তি চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে।

তথ্যসূত্র: Dhaka Tribune

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Share post:

Subscribe

Popular

More like this
Related

কোম্পানীগঞ্জে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালিত

কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি:‘অধিকার, সমতা, ক্ষমতায়ন, নারী ও কন্যার উন্নয়ন’—এই...

কোম্পানীগঞ্জে দশম শ্রেণীর ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি :: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় ইয়াসমিন আক্তার...

কোম্পানীগঞ্জে মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টা ঘটনায় অভিযুক্ত আটক

কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি :: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় মাদ্রাসায় যাওয়ার...

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা শীল সমবায় সমিতির নির্বাচনে নির্মল সভাপতি,পংকজ সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত

কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি:নোয়াখালীর 'কোম্পানীগঞ্জ কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা শীল সমবায় সমিতি লি:...