সদর (নোয়াখালী) সংবাদদাতা :: নোয়াখালীতে ৫ দিনের ব্যবধানে মাদ্রাসার ছাত্রী ও গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তারা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় মাদ্রাসার ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে মো. রুবেল (২৬) ও তারেককে (৩০) অভিযুক্ত করে নোয়াখালীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এ মামলা দায়ের করেছেন।
৪ আগস্ট রাতে সদর উপজেলার চর শুল্যকিয়া গ্রামের মাদ্রাসার ছাত্রী কলে অজু করতে গেলে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বখাটে রুবেল ও তারেক তাকে জোরপূর্বক মুখ চেপে ধরে বাগানে নিয়ে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। ভিকটিমের চিৎকারে বাড়ীর লোকজন এগিয়ে আসলে বখাটেরা পালিয়ে যায়। আহত অবস্থায় তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় আদালতে মামলা হয়েছে।
পরে তার আরও সহযোগী হানিফ, খলিল, বাকার ও হোসেনকে খবর দিয়ে ঘটনাস্থলে নিয়ে আসে। পরে প্রজেক্টের মালিক আবু তাহেরকে বেঁধে মারধর করে এবং উল্টো চাঁদা দাবি করে। এ ঘটনায় আবু তাহের চর জব্বর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নবীর হোসেন জানান, এ জাতীয় ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে কেউ থানায় আসেনি। তারপরেও খোঁজখবর নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। চর জব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সাহেদ জানান, এ ঘটনা কেউ আমাদেরকে জানান নি। এরপরেও আমি খোঁজ খবর নিব।