কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি :: কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের কারণে সারা দেশে জনজীবনে নেমে এসেছে চরম অভাব-অনটন ও দুর্ভোগ। এর প্রভাব নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায়ও ব্যতিক্রম নয়। প্রবাসী অধ্যুষিত এ এলাকায় সাময়িকভাবে অনেক পরিবার অসহায়ত্বের মধ্যে রয়েছে। চক্ষু লজ্জায় কাউকে বলতেও পারে না।
এমন পরিস্থিতিতে উপজেলার এসকল অসহায় পরিবারগুলোর পাশে রয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জিয়াউল হক মীর। মোবাইল ও ইউএনও’র অফিসিয়াল ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে কল কিংবা এসএমসএস পেলেই গ্রামগঞ্জে খাবার নিয়ে ছুটে যান এ কর্মকর্তা।
সোমবার (১০ মে) সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, গত কয়েকদিনে কললিস্টের সূত্রধরে ৬৫ অসহায়, হতদরিদ্র ও কর্মহীন পরিবারের মধ্যে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিয়েছেন তিনি। তাঁর এমন সহযোগিতায় খুশি ওই সকল পরিবার। ইতোমধ্যে তাঁর এমন মানবিক কর্মকান্ডের সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে। করোনাকালে করোনাসংক্রান্ত সচেতনতামূলক মিটিং, কখনও অফিসে আগত অসহায় মানুষকে ত্রাণ বিতরণ, আবার কখনও কখনও রাস্তায় টহলে ব্যস্ত থাকেন এই ইউএনও।
উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এভাবে অসহায় পরিবারকে খাদ্য সহায়তা প্রদান অব্যাহত থাকার কথা জানিয়েছেন তিনি। আরো জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ৮টি ইউনিয়নে ১৭ হাজার ৪শত ৫৫ পরিবারের জন্য ভিজিএফ ও জিআর হিসেবে যে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে তার বিতরণও শেষের দিকে।
তিনি তাঁর ফেসবুক অফিসিয়াল পেইজে উল্লেখ করেন, করোনার প্রভাবে কোম্পানীগঞ্জের কোথাও কেউ খাদ্য সংকটে থাকলে আমাদের জানাবেন। অসহায় মানুষের মুখে খুশির হাসি দেখতে পেলে আমাদের ভালো লাগবে। ‘বাংলাদেশের কোন মানুষই না খেয়ে থাকবেনা’- মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এমন নির্দেশনা বাস্তবায়নে আমরা বদ্ধ পরিকর।
উল্লেখ্য বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) এর দূর্যোগময় পরিস্থিতিতে সরকারী দায়িত্ব ও স্বীয় উদ্যোগে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনে সাহসী ভূমিকা রাখায় শিক্ষা, শ্রম, বন ও পরিবেশ রক্ষা সোসাইটি কর্তৃক গত সেপ্টেম্বরে ‘দেশরত্ন’ পদকে ভূষিত হয়েছিলেন তিনি। তিনি কক্সবাজার জেলার কুতুবদিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন ও সাহসী ভূমিকা রাখায় এ পদকে ভূষিত হন। তিনি গত ০৯ আগস্ট থেকে নোয়াখালী কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।