কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং অফিসার মোঃ রবিউল আলম এ ফলাফল ঘোষণা করেন।
ফলাফল সংগ্রহ ও পরিবেশন কেন্দ্র থেকে এ তথ্যা জানা যায়, ১, ২ ও ৩নং ওয়ার্ড (সংরক্ষিত-১) হতে মহিলা কাউন্সিলর পদে ১হাজার ৯শ ৪০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছে রওশন আরা মিলি (প্রতীক আনারস)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি খায়রুন আজম (প্রতীক বলপেন) ১হাজার ৩শ ৩১ ভোট পেয়েছেন। ৪, ৫ ও ৬নং ওয়ার্ড (সংরক্ষিত-২) হতে মাকসুদা আক্তার (প্রতীক আনারস) ২ হাজার ২শ ৬৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি রৌশন আরা (চশমা প্রতীক) পেয়েছেন ২হাজার ১শ ৩০ ভোট। ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ড (সংরক্ষিত-৩) হতে হাছিনা আক্তার (প্রতীক আনারস) ২হাজার ১শ ১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি জোসনা আক্তার (প্রতীক চশমা) পেয়েছেন ১ হাজার ৮শ ৯০ ভোট।
সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে আওয়ামীলীগ সমর্থিত যারা নির্বাচিত হয়েছেন: ১নং ওয়ার্ড থেকে সাইফুর রহমান, ২নং ওয়ার্ড থেকে আবুল হোসেন আরজু, ৩নং ওয়ার্ড থেকে নুর হোসেন ফরহাদ, ৬নং ওয়ার্ড থেকে জসিম উদ্দিন তালুকদার, ৭নং ওয়ার্ড থেকে মোঃ রাসেল ও ৯নং ওয়ার্ড থেকে এ বি এম ছিদ্দিক। বিএনপি সমর্থিত ৪নং ওয়ার্ড থেকে মাজহারুল হক (তৌহিদ), ৮নং ওয়ার্ড থেকে নুর নবী সবুজ। এবং ৫নং ওয়ার্ড হতে হারুন অর রশীদ শাহেদ স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচিত হয়েছেন।
উল্লেখ্য বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচন একটি নজিরবিহীন নির্বাচন আখ্যা দিয়েছে ভোটাররা। কোনো ধরণের অপ্রতিকর ঘটনা ছাড়াই এ নির্বাচন ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশ গ্রহণের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিগত নির্বাচনগুলোতে মনোনয়ন দাখিলের পর হতে মামলা, হামলা, হুমকি, ককটেল বিষ্ফোরণ, এজেন্টদের বের করে দেয়া, ভোটারদের প্রলুব্ধ করা, ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নেয়াসহ নানান অভিযোগ থাকলেও এ নির্বাচনে সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম চিত্র ফুটে উঠেছে। এ রকম কোনো দৃশ্যই দেখা যায়নি। সকাল ৮টা থেকে বিকেল পর্যন্ত পরাজিত প্রার্থীদের এ নির্বাচনের বিরুদ্ধে কোনো রকমের অভিযোগও উত্থাপন করেননি। তবে ভোট কেন্দ্রগুলোতে পুরুষ ভোটারের চেয়ে মহিলা ভোটারের উপস্থিত ছিল লক্ষণীয়। এমনকি সন্ধ্যা পর্যন্ত মহিলাদের ভোট দিতে দেখা গেছে। আবদুল কাদের মির্জার এই বিজয়ী উৎসবে নেতাকর্মী ও সকল পেশার মানুষ স্থানীয় রূপালী চত্বরে উল্লাসে মেতে উঠে।