কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি :: দ্বিতীয় ধাপে নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী আবদুল কাদের মির্জা নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন। নির্বাচনে জয় লাভ করলে সন্ত্রাসমুক্ত, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সম্বলিত দারিদ্র্যমুক্ত জেন্ডার বৈষম্যহীন, অসাম্প্রদায়িক, পরিবেশ বান্ধব এবং আধুনিক সকল সুযোগ সুবিধা সম্বলিত একটি পরিকল্পিত আধুনিক পরিস্কার পরিচ্ছন্ন শহর হিসেবে বসুরহাট পৌরসভাকে বাংলাদেশের মানচিত্রে উপস্থাপন করার লক্ষ্যে মানবিক পৌরসভার প্রত্যয় ব্যক্ত করে ২৫টি প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। এজন্য নির্বাচনে মূল্যবান ভোট দিয়ে বিজয় করতে পৌরবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় বসুরহাট পৌরসভা চত্বরে এক সংবাদ সম্মেলন করে মেয়র প্রার্থী আবদুল কাদের মির্জা এ নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন। এ সময় বক্তব্য রাখেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ শাহাব উদ্দিন, ভাইস চেয়ারম্যান আজম পাশা চৌধুরী রুমেল, উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগ যুগ্মসম্পাদক মোঃ আইয়ুব আলী প্রমুখ।
পূর্ণাঙ্গ নির্বাচনী ইশতেহারে যা রয়েছে: নিরপেক্ষ ও অবাধ ভোটাধিকার নিশ্চিত করা হবে, শালিস বানিজ্য বন্ধ করা হবে, জনগণকে দেয়া ওয়াদা রক্ষা না করার রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে, খালের দুই পাশে ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হবে ও গুরুত্বপূর্ণ সড়কে ৬০০ সোলার লাইট লাগানো হবে, অন্তত মাসে একবার হলেও বিভিন্ন ওয়ার্ডে তরুন-তরুনী ও উদ্যোগীদের সম্পৃক্ত করে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে কর্মশালা ও প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে, হোটেল রেস্তোরার মালিক শ্রমিকদেরকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও ক্যাটারিং বিষয়ে কর্মশালা করা হবে, পরিবেশ রক্ষা ও সকল প্রকার দূষণ বন্ধ করার ব্যবস্থা নেয়া হবে, একটি পূর্নাঙ্গ পৌরপার্ক নির্মাণ করার পরিকল্পনা রয়েছে, ছিন্নমূল ও উচ্ছেদকৃত ব্যবসায়ীদের পূনর্বাসন করা হবে, গাড়ী পার্কিং নির্মাণ করা হবে, আধুনিক বহুতল গণশৌচাগার নির্মাণ করা হবে। যাতে নারী-পুরুষের জন্য পৃথক ব্যবস্থা থাকবে, সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সকল শ্রেণীতে ১ম হওয়া ছাত্র-ছাত্রীদের অনুপ্রেরণা দেয়ার লক্ষ্যে পুরষ্কার ও বৃত্তি প্রদান করা হবে, মির্জা টাওয়ারের কাজ শীঘ্রই শুরু হবে, যাতে মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে, নিরপেক্ষ ও অবাধ ভোটাধিকার নিশ্চিত করা হবে, প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য কর্মসূচী গ্রহণ করা হবে, হিজড়া ও তৃতীয় লিঙ্গদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে এবং তাদেরকে বিভিন্ন হয়রানীমূলক কর্মকান্ড থেকে বিরত রাখার প্রচেষ্টা নেয়া হবে, বেকার যুবক-যুবতীদের জন্য চাকুরীর ব্যবস্থা করা হবে, প্রবাসী ও এলাকার বাহিরে অবস্থানরত পরিবারগুলোর সেবার জন্য হেল্প ডেক্স স্থাপন করা হবে, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডকে আরও গতিশীল করা হবে, প্রয়োজন অনুযায়ী আরো নতুন কালভার্ট নির্মাণ করা হবে এবং পুরনো কালভার্টগুলোকে আরো সুপ্রশস্থ করা হবে যাতে পানি নিষ্কাষন ও যাতায়াত সুগম হয়, কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থা পুণঃপ্রতিষ্ঠা করা হবে। যার ব্যয় ভার বহন করবে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ ও বসুরহাট বাজারের ব্যবসায়ী সংগঠন সমূহ, সম্ভাব্য সড়ক সম্প্রসারণ করা হবে। যাতে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ী চলাচল সুগম হয়, সুপ্রসস্থ সড়কগুলোর সম্ভাব্য স্থানে ফুটপাত নির্মাণ করা হবে, জন সমাগমস্থলে ও প্রকাশ্যে ধুমপান নিষিদ্ধ করা হবে, স্কুল কলেজ পড়–য়া ছাত্র-ছাত্রীদের সন্ধ্যার পর বাজার-ঘাটে অযাচিত আড্ডা দেয়া বন্ধ করা হবে।
উল্লেখ্য আগামী ১৬জানুয়ারি দ্বিতীয় ধাপে বসুরহাট পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ নির্বাচনে ২১ হাজার ১শ ১৫জন ভোটার রয়েছে। এর মধ্যে পুরুষ ১০হাজার ৬শ ২১জন ও মহিলা ১০হাজার ৪শ ৯৪জন।