নিউজ ডেস্ক :: যারা দলীয়ভাবে আত্মস্বীকৃত দুর্নীতিবাজ সেই বিএনপির মুখে দুর্নীতি অনিয়ম নিয়ে কথা বলা ভূতের মুখে রাম রাম ধ্বনির মতো বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেছেন, বিএনপি আর দুর্নীতি শব্দ দুটি অনেকটাই সমার্থক। তাদের সময় দেশ ৫ বার দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। দুর্নীতিকে তারা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছিল। দলীয় গণতন্ত্র থেকে ৭নং ধারা বাতিল করে আত্মস্বীকৃত দুর্নীতিবাজকে দলের প্রধান করেছে। দল হিসেবে যারা নিজেদের দুর্নীতিবাজ স্বীকৃতি দিয়েছে, তাদের মুখে অনিয়ম দুর্নীতি নিয়ে কথা বলা ভূতের মুখে রাম রাম ধ্বনির মতো।
সোমবার বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ, আয়োজিত ‘জাতীয় শোক দিবসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব’ স্মরণে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
ভার্চুয়াল সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টচার্য। সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।
কাদের বলেন, ১৫ আগস্টের নির্মম হত্যাকাণ্ড ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা একই ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতা। ১৫ আগস্ট প্রাইম টার্গেট ছিলেন আমাদের ভৌগলিক মুক্তির স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার প্রাইম টার্গেট ছিলেন আমাদের অর্থনৈতিক মুক্তির স্থপতি দেশরত্ন শেখ হাসিনা। বিএনপি-জামায়াত ২০০১ সালের ক্ষমতায় আসার পর ২১ হাজার নেতাকর্মীর রক্তে দেশকে তারাই তো মৃত্যু উপতক্যা পরিণত করেছিল।
তিনি বলেন, অসম্প্রদায়িক চেতনার উপর নির্যাতন ৭১ এর পাক হানাদার বাহিনীর নির্যাতনকে স্মরণ করিয়ে দেয়। ছাত্রলীগ নেতা মাহফুজ বাবুকে অপহরণ করেছিল, যার লাশ পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। তারা আবার দুর্নীতি অনিয়ম নিয়ে কথা বলে। বিএনপি আর দুর্নীতি শব্দ দুটি অনেকটাই সমার্থক। তাদের সময় দেশ ৫ বার দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। দুর্নীতিকে তারা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছিল।
ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সর্তক করে বলেন, হত্যা ও ষড়যন্ত্রের কুশিলবরা এখনো আছে। এখনও দেশে বিদেশে ষড়যন্ত্র চলছে। উন্নয়ন বিরোধী অপশক্তি এখনো চারপাশে মাথা লুকিয়ে আছে। উগ্র সাম্প্রদায়িক অপশক্তি এখনো সুযোগের অপেক্ষায় আছে। তারা উন্নয়ন শান্তি স্বস্তির বাংলাদেশ চায় না। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সমৃদ্ধ আগামীর পথে এগিয়ে যাওয়া তাদের গাত্রোদাহ। তারা এদেশকে পাকিস্তানি ভাবধারায় নিয়ে যেতে চায় আবারও। চায় সংঘাতে জর্জরিত রক্তাক্ত প্রান্তর। সাম্প্রদায়িকতার বিষ বাষ্প ছড়িয়ে দেশের এগিয়ে যাওয়া বন্ধ করতে চায়।
তিনি বলেন, শিক্ষাঙ্গনগুলোতে নানান কৌশল আর অপকৌশলে অস্থিরতা তৈরি করতে চায়। চায় ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের সুযোগ। কিন্তু যতক্ষণ দেশরত্ন শেখ হাসিনা আছেন, বাংলাদেশের ছাত্রলীগের অদম্য তরুনরা আছে ততক্ষণ কোন ষড়যন্ত্রই হালে পানি পাবে না। দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সমৃদ্ধ আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে অগ্রযাত্রা এগিয়ে যাবেই।
অগ্রযাত্রার এসময়ে ছাত্রলীগের সুনামের ধারা নিজেদের ধরে রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেন, যারা দলীয় শৃঙ্খলা নষ্ট করবে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে হবে। মনে রাখতে হবে কোন অন্যায় অনিয়মে জড়িয়ে পরানো অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার শুদ্ধি অভিযান সকলের জন্য অভিন্ন বার্তা বহন করছে।