বেগমগঞ্জ (নোয়াখালী) সংবাদদাতা :: নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের আমান উল্যাহ্ পুর বাজারে শিবির ও ছাত্রলীগের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় একজন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ৫জন আহত হয়েছে।
রোববার (১ মার্চ) রাত ৮টার দিকে উপজেলার ১ নং আমানুল্লাপুর ইউনিয়নের আমানুল্লাপুর পলোয়ান বাজারে রাজনৈতিক পূর্বশত্রুতার জের ধরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতরা হচ্ছেন, গুলিবিদ্ধ হাবিব, রনি, মনু, রায়হান, রাকিব। এর মধ্যে রাকিবের অবস্থা আশংকাজন।
আহতরা জানান, রাতে স্থানীয় একটি চায়ের দোকানে আড্ডা দিচ্ছিলেন তারা। হঠাৎ ৮টার দিকে শিবিরের কয়েকজন এসে এলোপাতাড়ি গুলি করে। আতংকগ্রস্ত হয়ে স্থানীয়রা দিকবিদিক ছুটোছুটি করে। এর মধ্যে শিবিরের কয়েকজন দোকানে ডুকে কুপিয়ে আহত করে ছাত্রলীগের কর্মীদের। পরে হামলাকারীরা চলে গেলে স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান।
স্থানীয় আমান উল্যাহপুর ইউপি চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান জানান, জামায়াত নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেনের ভাই ফারুক হোসেন গত কয়েকদিন আগে জেল থেকে ছাড়া পেয়ে এ হামলার পরিকল্পনা করে এবং তার নেতৃত্বে হামলা করা হয়েছে।
জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মো. আরমান হোসেন এই ঘটনায় শিবিরকর্মীদের দায়ী করে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।
সংঘর্ষের ঘটনায় রোববার দিনগত রাতে অভিযান চালিয়ে ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হচ্ছে, কৃষ্ণাপুর গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে ফারুক আহম্মদ (৪২), একই গ্রামের নুরনবীর ছেলে মাসুদ আলম (৩০),জয়নারায়নপুর গ্রামের আনোয়ার উল্যার ছেলে আকরাম হোসেন (২৪) ও ইব্রাহীম (৩০)।
নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো.আলমগীর হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আটকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হবে।