কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি :: ১৫ আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন মুছাপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী সহ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ।
পরে ইউপি পরিষদ প্রঙ্গণে আওয়ামীলীগ সভাপতি জসিম উদ্দীন বাবর এর সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সকলের মুরব্বী একরামুল হক মিয়া, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক মো : ফরিদ উদ্দীন মুছাপুর ইউপি চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী, আওয়ামীলীগ নেতা, আজিজুল হক দুলাল, যুবলীগ সভাপতি আহছান উল্যাহ ভূট্রো, সেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি আবুল মোবারক, ছাত্রলীগ সভাপতি সৈয়দ রফিকুল ইস়লাম রাকিব,সাধারণ সম্পাদক আরাফাত হোসেন আরমান সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
আলোচনা শেষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের জন্য এবং দেশ,জাতির শান্তি, মঙ্গল কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
পরে, তাঁর ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী আওয়ামীলীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীসহ সকল পেশার (নরী- পুরুষ) মানুষদের দুপুরে ভোজন করান।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোর রাতে সেনাবাহিনীর কিছুসংখ্যক বিপথগামী সদস্য ধানমন্ডির বাসভবনে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাদের হাতে একে একে প্রাণ হারিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব , বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু শেখ রাসেলসহ পুত্রবধু সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল। পৃথিবীর এই জঘন্যতম হত্যাকান্ড থেকে বাঁচতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর অনুজ শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত এবং তার ছেলে আরিফ ও সুকান্তবাবু, মেয়ে বেবি, বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক শেখ ফজলুল হক মণি, তার অন্তঃস্বত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনি এবং আবদুল নাঈম খান রিন্টু ও কর্নেল জামিলসহ পরিবারের ১৬ জন সদস্য ও ঘনিষ্ঠজন। এ সময় বঙ্গবন্ধুর দু’কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় প্রাণে রক্ষা পান।