কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি :: নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার বিরুদ্ধে নোয়াখালীর বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের ২নং আমলি আদালতে মানহানির মামলার আবেদন করেছে এক ইউপি সদস্য ও যুবলীগ নেতা।
বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) দুপুর পৌনে ১টার দিকে নোয়াখালীর বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের ২নং আমলি আদালতে এই মানহানি মামলার আবেদন করা হয়। মামলার বাদী ১০ নং অশ্বদিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক এবং ইউপি সদস্য মো.রিয়াজ উদ্দিন।
মামলার আবেদনে বাদী উল্লেখ করেন, তিনি আওয়ামীলীগের কর্মী হয়েও গত কয়েকদিন যাবত বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় নেতাসহ স্থানীয় বিভিন্ন নেতার বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ন বক্তব্য রেখে এবং কটাক্ষ করে বক্তব্য রেখে নেতাদের মানহানি করেছেন। আবদুল কাদের মির্জার বক্তব্যের কারণে ভাঙ্গা উপজেলার এমপি নিক্সন চৌধুরী নোয়াখালী জেলা সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করিয়াছেন। শুধু তাই নয়। তিনি তাহার রাজনৈতিক বক্তব্য প্রদানকালে মোয়াজ্জেন আযান দিলে তিনি বলিয়াছেন যে, আযান ১০ মিনিট পরে দিলেও চলত। ইহাতে আমি একজন ধর্মপ্রাণ মুসলিম হিসেবে মনে করি যে, তিনি এই মন্তব্য করে পুরো ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের উপর তাহাদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে। তাহার এই একাধিক কুরুচিপূর্ণ এবং মানহানিকর বক্তব্য প্রদান করায় স্থানীয় সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী এবং স্থানীয় উপজেলা চেয়ারম্যানের মানহানি হওয়ায় এবং ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হওয়ায় আমি বাংলাদেশ যুবলীগের একজন নিবেদিত কর্মি হিসেবে আমার হৃদয়ে আঘাত হওয়ায় তাঁহার বিরুদ্ধে অত্র মামলা দায়ের করিলাম।
মামলায় বাদির আইনজীবী পলাশ চন্দ্র সাহা জানান, বাদি মোঃ রিয়াজ উদ্দিন বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার বিরুদ্ধে গত ৫ জানুয়ারি দেয়া তাঁর একটি বক্তব্যকে মানহানিকর উল্লেখ করে দন্ডবিধির ২৯৮/৫০০/৫০১ ধারা একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। তবে কোম্পানীগঞ্জ আমলী আদালতের বিজ্ঞ বিচারক বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) অনুপস্থিত থাকায় আগামী রবিবার (২৪ জানুয়ারি) মামলায় বাদির জবানবন্দি রেকর্ড করার কথা রয়েছে।
মামলার বিষয়ে মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেন, অতীতেও আমার বিরুদ্ধে অসংখ্য মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছিল। এবার সত্য কথা বলায় দলের কিছু দুষ্কৃতিকারীর গায়ে লেগেছে। তিনি বলেন, আমি অপরাজনীতির বিরুদ্ধে কথা বলেছি। এতে কেউ রাগ হলে বা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিলে তাতে আমার কিছু বলার নেই। তবে যতো বাধাই আসুক সত্যবচনে একটুও পিছপা হবেন না বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এদিকে বিকেলে বসুরহাট পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা। বিক্ষোভ মিছিল শেষে জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন জেহানের কুশপুত্তলিকা দাহ করেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খিজির হায়াত খান, সাধারণ সম্পাদক নুরনবী চৌধুরী, বসুরহাট পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আজম পাশা চৌধুরী রুমেল, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি গোলাম ছারওয়ার, সাধারণ সম্পাদক লুৎফুর রহমান মিন্টু, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও চরপার্বতী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম তানভীর, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নিজাম উদ্দিন মুন্নাসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীবৃন্দ।