এএইচএম মান্নান মুন্না :: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে কবি নজরুল একাডেমী অগ্নিকাণ্ডের প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। আজ বুধবার( ৫ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১ ঘটিকায় একাডেমীর সামনে ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে শিক্ষক,ছাত্র ছাত্রী,অভিভাবক, কমিটির সদস্য,জনপ্রতিনিধি,স্থানীয় লোকজন, অংশ নেন।
প্রতিবাদী মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান, একাডেমীর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জহির উদ্দিন সেলিম, সহ-সভাপতি মাওঃ মিজানুর রহমান, সাধারন সাধারন সম্পাদক শমসের হোসেন হেলাল, সাবেক সাধারন সম্পাদক মাষ্টার আনোয়ারুল হক মিন্টু ,অধ্যক্ষ মোঃ সাহাব উদ্দিন,ইউপি সদস্য আব্দুল মোতালেব পিংকন,ম্যানেজিং কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন বিএসসি,মাষ্টার একরামুল হক, মাষ্টার ইউনুছ নবী নয়ন,গোলাম রাব্বানী বিপ্লব, শিহাব উদ্দিন রিপন ।
প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জহির উদ্দিন সেলিম তাঁর বক্তব্যে বলেন, আমরা অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে আসার পর আগুনে পুড়ে যাওয়া ভবনটির দরজাটি খোলা পাই।ভবনের তালাটি পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যায়নি। এতে নিশ্চিত বলতে পারি দুর্বৃত্তরা এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে।
অন্যান্য বক্তারা বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত বিদ্যালয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ ছিল। স্কুল বন্ধ করে যাওয়ার সময় প্রতিদিন স্কুলের বৈদ্যুতিক স্লুইচ অফ করে যাওয়া হয়। এমনকি ওই সময়ে এলাকায় বিদ্যুৎ এর লোডশেডিং ছিলো। এখানে বৈদ্যুতিক শর্ট-সার্কিটের সূত্রপাত হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। আমরা শতভাগ নিশ্চিত দুর্বৃত্তরা মনুষ্য সৃষ্ট হয়ে এ বিদ্যালয়টি পুঁড়িয়ে দিয়েছে ।
এ ব্যাপারে আমরা কোম্পানীগঞ্জ থানা একটি সাধারণ ডায়েরি করেছি। সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা জানান, বিদ্যালয়ের পাশে জুয়াড়ি ও গাঁজা সেবনকারীদের নিরাপদ স্থান ছিল। পুলিশ গোপন সংবাদ পেয়ে অগ্নিসংযোগের আগের দিন গাঁজাসেবনকারী ও জুয়াড়িদের ধাওয়া করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এর ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হয়ে তারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে তাদের সন্দেহ রয়েছে।
উল্লেখ্য,কাজী কবি নজরুল ইসলাম একাডেমি ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় । বিদ্যলয়টি অত্র এলাকায় পড়া- লেখায় নাম- খ্যাতি ও সুনাম রয়েছে। একাডেমি পরিচালনায় সর্বোদলীয় ৭০ জন সদস্য রয়েছে। এ একাডেমি থেকে অনেক সাবেক মেধাবী ছাত্র ছাত্রী দেশের গুরুত্বপূর্ণ সরকারী- বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রয়েছে। বর্তমানে ২৫০ জন ছাত্র ছাত্রী অধ্যায়ন করছে। গত ৩ জুলাই রাত দুই ঘটিকায় চরফকিরা ইউনিয়নের কবি নজরুল ইসলাম একাডেমী পুড়ে ছাঁই হয়ে যায়। এতে প্রায় ২০ লক্ষ টাকার খতি সাধিত হয়।