জনগণ আর সরকারকে এক জায়গায় এসে সমস্যার সমাধানে যেতে হবে -সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

Date:

কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি :
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, মুছাপুর নদীর পাড়ে আসার কারণ মানুষের সমস্যাটা সরকারের চশমা দিয়ে না দেখে মানুষের চশমা দিয়ে দেখা। আমরা নদী তীরবর্তী এলাকায় এসে স্থানীয় মানুষের কথা শুনলাম। সরকারি হিসেব মতে প্রতিবছর নদীভাঙনে ৩০ হাজার মানুষ সব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যায় যেটি বেসরকারি হিসেবে এক লাখের বেশি মানুষ সর্বস্বান্ত হয়ে যায়।
আমরা মাঠে এসেছি মানুষ আর সরকারের মধ্যে ভিন্ন সত্ত্বা যেন না থাকে সেটা ঘুচিয়ে দিতে। মানুষ আর সরকারকে এক জায়গায় এসে সমস্যার সমাধানে যেতে হবে। যেন অচিরেই এর সঠিক সমাধান করা যায়।

সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভেঙে যাওয়া মুছাপুর রেগুলেটর ও নদীভাঙন এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, নদী থেকে অবাধে বালু উত্তোলন দস্যুতায় পরিণত হয়েছে। বালু খেকোদের এ দস্যুতা এখনি রুখতে হবে।

তিনি বলেন, যেখানেই নদীতে বালু আছে সেখানেই জেলা প্রশাসকরা মানুষের শত আপত্তি সত্ত্বেও রাজস্ব আয়ের কথা চিন্তা করে বালু মহাল ঘোষণা করে দেয়। বালু মহল ঘোষণার যেমন সুযোগ আছে তেমনি বিলুপ্তিরও সুযোগ রয়েছে। বালু উত্তোলনকারীদের নিবৃত্ত করে সরকারিভাবে নদী ড্রেজিং করার বিষয়টি ভাবা হচ্ছে।

এখানে লোনা পানির আগ্রাসন ঠেকাতে মুছাপুর রেগুলেটর লাগবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, রেগুলেটর দিনে দিনে তৈরি করা সম্ভব না। এটার একটা প্রক্রিয়া আছে। আমরা যদি দ্রুত গতিতেও রেগুলেটর নির্মাণ করতে চাই তাও দুই থেকে তিন বছর সময় লাগবে। এখানে যে চর হয়েছে সেখানের বালু সরিয়ে দেওয়ার জন্য এলাকাবাসী প্রস্তাবনা দিয়েছে। নদীকে ক্যাপটেল ড্রেজিং এর পাশাপাশি মেইনটেন্যান্স ড্রেজিং করতে হবে। সরকারকে রেগুলেটর আর ড্রেজিং দুটোর কথাই ভাবতে হচ্ছে।

সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, উপহার হিসেবে যাচ্ছে না, ভারতে ইলিশ রপ্তানি হচ্ছে। রপ্তানির টাকা বাংলাদেশ সরকার পাবে। সেটা খুব ছোট করে দেখার মতো টাকা না। যারা এ ইলিশ চাচ্ছেন তারাও কিন্তু বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় অনেক সমর্থন দিয়েছেন। সেটি আমরা সবাই দেখেছি।

সকাল সাড়ে ৯টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, মুছাপুর রেগুলেটর, জনতা বাজার, জোরারগঞ্জ ব্রীজ পরিদর্শন করে স্থানীয়দেরকে আপাতত নদীর গতিপথ পরিবর্তন করার আশ্বাস্ত করেন।

এসময় পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক মুহাম্মদ আমিরুল হক ভূঁইয়া, নোয়াখালী জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ, সেনা বাহিনী ব্রিগেঃ জেনারেল মোঃ রিয়াজুর রহমান, পিএসসি জি অধিনায়ক ১৬ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিঃ লেঃ কর্নেল রিফাত আনোয়ার, অতিরিক্ত পুুলিশ সুপার সদর সার্কেল মোর্তাহীন বিল্লাহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নোয়াখালী নির্বাহী প্রকৌশলী মুন্সি আমীর ফয়সাল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো: ইয়াছিন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনোয়ার হোসাইন পাটোয়ারী। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার খাজা তানভীর আহমেদসহ জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Share post:

Subscribe

Popular

More like this
Related

দুদক আয়োজিত বিতর্কপ্রতিযোগিতায় ফেনী পাইলট সেরা

ফেনী প্রতিনিধি : ফেনীতে দুর্নীতি প্রতিরোধ বিষয়ক বিতর্ক প্রতিযোগিতায় সেরা...

‘ছাত্ররা আন্দোলন ও সংঘাতে না জড়িয়ে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেবেন’ :উপদেষ্টা মাহফুজ আলম

টাইম রিপোর্ট:কোনো ধরনের উসকানিতে আন্দোলন ও সংঘাতে না জড়িয়ে...

হামলায় জড়িত সেনা-পুলিশও, ঢাকা কলেজের দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী আহত

টাইম ডেস্ক :ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে...

ডেঙ্গু: ২৪ ঘণ্টায় ৫ জনের মৃত্যু

টাইম ডেস্ক:গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত ৫ জন...