খেলাধূলা ডেস্ক :: বিশ্বকাপ বাছাইয়ে নাটকীয়ভাবে পরিত্যক্ত হওয়া ব্রাজিল-আজেন্টিনার ম্যাচটি আগামী ২২ সেপ্টেম্বর ব্রাজিলের সাও পাওলোর স্টেডিয়াম নিও কুইমিকা অ্যারেনাতে অনুষ্ঠিত হবে। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মুন্ডো আলবিসেলেস্তে।
এর আগে ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা ২২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বাতিল হওয়া ম্যাচটি আয়োজনের নির্দেশনা দিয়ে ব্রাজিলিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনকে (সিবিএফ) বুধবারের মধ্যে ভেন্যু চূড়ান্ত করতে বলে। নির্দেশনা পেয়ে খুব বেশি দেরিও করেননি সেলেসাওরা। মঙ্গলবার (২১ জুন) তারা ম্যাচের তারিখ ও ভেন্যু চূড়ান্ত করে ফেলেন।
এর আগে গত বছরের ৫ সেপ্টেম্বরে কনমেবল অঞ্চল থেকে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে মাঠে নেমেছিল চির প্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা। কিন্তু ৫ মিনিট না যেতেই ম্যাচ বন্ধ। ব্রাজিলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আর্জেন্টিনার চার ফুটবলার করোনা প্রটোকল ভেঙে মাঠে নেমেছেন।
যে ঘটনা আলোড়ন সৃষ্টি করে ফুটবল বিশ্বে। স্থগিত হওয়া সেই ম্যাচ অবশেষে মাঠে গড়াচ্ছে। যেহেতু সেই ম্যাচটি ব্রাজিলের মাঠে ছিল, তাই ব্রাজিলকেই বুধবারের মধ্যে ভেন্যু চূড়ান্ত করার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল ফিফা। অবশ্য ব্রাজিলের কোচ তিতে বাতিল হওয়া ম্যাচটি ইউরোপের কোনো একটি দেশে আয়োজনের পক্ষে ছিলেন।
তবে গত এপ্রিলে ব্রাজিলের বিপক্ষে ম্যাচটি খেলতে অস্বীকৃতি জানায় আর্জেন্টিনা। অপমানিত হওয়া ম্যাচটি পুনরায় না খেলতে তারা ক্রীড়া আদালতে আবেদনও করেছিল। কিন্তু ফিফা সে সময় আর্জেন্টিনার ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনকে (এএফএ) নির্দেশ দেয়, সেপ্টেম্বরে ম্যাচটি খেলতেই হবে।
ম্যাচ মাঠে গড়ালেও জরিমানার হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না দুই দলই। যেখানে শাস্তির খড়গ বেশি পড়েছে ব্রাজিলের। করোনা প্রটোকল নিশ্চিত না করতে পারায় সাড়ে ৫ লাখ সুইস ফ্রাঁ জরিমানা গুনতে হচ্ছে তাদের। আর নিয়ম ভাঙার দায়ে আর্জেন্টিনার জরিমানা আড়াই লাখ সুইস ফ্রাঁ।
ইতোমধ্যে কাতার বিশ্বকাপ নিশ্চিত করেছে দুই দেশই। এটি কেবল আনুষ্ঠানিকতার ম্যাচ। তবে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার ম্যাচ দেখতে কোনো সমীকরণ প্রয়োজন হয় না। নিঃসন্দেহে ধ্রুপদী এ ম্যাচ থাকবে আলোচনার কেন্দ্রে।