নিউজ ডেস্ক :: আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যারা দলীয় প্রধানের মুক্তির জন্য একটি মিছিল পর্যন্ত করতে পারে না, তারা নাকি আবার গণ-অভ্যুত্থানের রঙিন খোয়াব দেখছে?
তিনি বলেন, ‘বিএনপি নেতারা গণ-অভ্যুত্থানের দিবাস্বপ্ন দেখছেন। জনগণতো দূরে থাক, তাদের দলের কর্মীরাও এখন মাঠে নামে না। কারণ বিএনপি’র নেতৃত্বের প্রতি কর্মীদের কোনো আস্থা নেই।’
সোমবার সকালে আওয়ামী লীগের মহিলা ও শিশু বিষয়ক উপ-কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত ‘জাতির পিতার হত্যাকাণ্ড, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র’ শীর্ষক জাতীয় শোক দিবসের ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
‘সরকার জনবিচ্ছিন্ন’ বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সরকার নয়, বিএনপিই জনবিচ্ছিন্ন এবং জনগণ কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত। বিএনপি’রই পায়ের তলায় মাটি নেই। তাইতো তারা কোথাও দাঁড়াতেই পারছে না।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের পর শুরু হয় ইতিহাসের উল্টো পথে যাত্রা। ফিরে আসে পাকিস্তানি ভাবাদর্শের প্রতিক্রিয়াশীল রাজনীতির ধারা। জাতীয় জীবন ও রাষ্ট্রীয় পরিসর থেকে নির্বাসিত হয় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শ।’
ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ড. সুলতানা শফির সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগের মহিলা ও শিশু বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি, আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাফিয়া খাতুন, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগম ক্রিক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক ড. তানিয়া হক।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের বহুল প্রতিক্ষিত ও স্বপ্নের পদ্মাসেতুতে আজ সকালে ২৯১৭টি রোড ওয়ে স্ল্যাবের সবকয়টি স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে পদ্মার দুই তীরের সড়ক সংযোগ স্থাপিত হলো। এ বছরের অক্টোবর মাসের শেষ দিকে পিচঢালাইয়ের কাজ শুরু হবে। এ পর্যন্ত পদ্মাসেতুর সার্বিক অগ্রগতি ৯৪ দশমিক দুই পাঁচ ভাগ।’ সূত্র : বাসস