কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি :: ২নং চরপার্বতী ইউনিয়নের চরপার্বতী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ১নং ওয়ার্ড কেন্দ্রে সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার দিদারুল ইসলাম নিজ টেবিলে বসে এজেন্টদের উপস্থিতিতে প্রিসাইডিং অফিসারের নির্দেশে ৪টি ব্যালট বইয়ে আনারস প্রতীকে স্বাক্ষরবিহীন সীল মারতে থাকলে গণমাধ্যম কর্মীদের নজরে পড়ে। পরে উপস্থিত সংবাদকর্মীরা ছবি ও ভিডিও ধারণ করলে প্রিসাইডিং অফিসার ব্যালটগুলি বাতিল ঘোষণা করে। এ সময় সাংবাদিকদের ঘটনাস্থল থেকে বের হয়ে যাওয়ার কঠোর নির্দেশ জারি করে প্রিসাইডিং অফিসার ও সোনালী ব্যাংক বসুরহাট শাখার সিনিয়র অফিসার নিরঞ্জন সরকার।
পরে তিনি ডিবি কল করে। ডিবির দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকতা এসআই মোঃ শামীমুল এহসান এসে সাংবাদিকদের মাঠ ত্যাগ করার নির্দেশ দিয়ে পেশাগত কাজে বাধা প্রদান করে ও শিষ্টাচারহীন আচরণ করে নাজেহাল করে। এ সময় প্রিসাইডিং অফিসার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রটি মৌখিকভাবে স্থগিত ঘোষণা করেও পরবর্তীতে ভোট গণনা করেন। অপরদিকে বিকেল ৩টায় চৌধুরীহাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ডিবি পুলিশের একই টীমের উপস্থিতিতে আনারস প্রতীকের সমর্থকরা টেলিফোন প্রতীকের সমর্থকদের ভোট কেন্দ্রে ইট, পাটকেল, কাঁচের বোতল ও ককটেল নিক্ষেপ করে এবং চেয়ার-টেবিল ভাংচুর করে আতংক সৃষ্টি করে।
ডিবি পুলিশের প্রশ্নবিদ্ধ কর্মকান্ড জনসাধারণের যেন দৃষ্টিপাত না হয়, সে জন্য সকল দোকানপাট বন্ধ করে ডিবি পুলিশের টীমটি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো বাজারের ব্যবসায়ীদের দোকান-পাট বন্ধ করে নানারকম দূর্ব্যবহার, লাঠি চার্জ ও হুমকি ধমকি প্রদান করার অভিযোগ করেছে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও প্রার্থী মোজাম্মেল হোসেন কামরুল।এ ব্যাপারে ডিবি পুলিশের দায়িত্বরত কর্মকর্তা এসআই মোঃ শামীমুল এহসান বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগগুলো সত্য নয়। আমি চৌধুরীহাট কেন্দ্রটি বাজারের উপর হওয়ায় কেন্দ্রের আশপাশের কোন গোলযোগ সৃষ্টি না হয় তার জন্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণের নির্দেশে বাজারের সকল দোকানপাট বন্ধ করে দেই।