মোহাম্মদ উল্যাহ মিরাজ:
(২৭ সেপ্টেম্বর, শনিবার বিকাল)
নোয়াখালী-৫ আসনের সম্ভাব্য বিএনপি এমপি প্রার্থী, মেট্রো গ্রুপের কর্ণধার এবং ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. ফখরুল ইসলাম এক সংবাদ সম্মেলনে দৈনিক মানবজমিন-এ প্রকাশিত একটি সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানান।
প্রসঙ্গত, উক্ত পত্রিকার ২৭ সেপ্টেম্বর সংখ্যার প্রথম পৃষ্ঠায় প্রকাশিত “১১ খলিফার নিয়ন্ত্রণে মির্জা কাদেরের রাজত্ব” শীর্ষক সংবাদের শেষ অনুচ্ছেদে মো. ফখরুল ইসলামকে এস আলম গ্রুপের অর্থ পাচারের সাথে জড়িত বলে যেসব মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে, তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “সংবাদটি সাংবাদিকতার ন্যূনতম নীতিমালা ও নৈতিকতা অনুসরণ করে তৈরি হয়নি। শিরোনামে কিংবা প্রতিবেদনের কোথাও আমার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের পক্ষে কোনো তথ্যপ্রমাণ উপস্থাপন করা হয়নি। এমনকি তথ্যসূত্রের কোনো উল্লেখও নেই, যা এটি যে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ষড়যন্ত্রমূলক তা প্রমাণ করে।”তিনি আরও বলেন, “এস আলমের অর্থ পাচারের সঙ্গে আমার সংশ্লিষ্টতার মিথ্যা অভিযোগ প্রমাণ করতে পারলে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেবো।” তিনি এ বিষয়ে মানবজমিন পত্রিকার সম্পাদককে প্রতিবাদলিপিটি গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশ করার আহ্বান জানান এবং অভিযোগ প্রমাণে ব্যর্থ হলে গণমাধ্যমে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, “প্রতিবেদনের শিরোনাম ও বক্তব্যের সঙ্গে মো. ফখরুল ইসলামের কোনো যোগসূত্র খুঁজে পাওয়া যায় না। মির্জা কাদেরের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে ফখরুল ইসলামের সংশ্লিষ্টতার কোনো প্রমাণ সংবাদটিতে উপস্থাপিত হয়নি। বরং এটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে একজন রাজনীতিবিদের সম্মানহানি ঘটানোর অপচেষ্টা।”
ফখরুল ইসলামের পক্ষ থেকে জানানো আরো জানানো হয়, “এই মিথ্যা ও মানহানিকর সংবাদের কারণে তাঁর দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক ও সামাজিক ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। দ্রুত প্রকাশ্যে ক্ষমা না চাইলে, তিনি পত্রিকার সম্পাদকসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাধ্য হবেন।”
অন্যান্য নেতৃবৃন্দের বক্তব্য সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির বিলুপ্ত আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আফতাব আহমেদ বাচ্চু, যিনি নিজেকেও উক্ত প্রতিবেদনের ‘তৃতীয় ব্যক্তি’ হিসেবে ভিত্তিহীনভাবে অভিযুক্ত বলে দাবি করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আনিসুল হক, আফতাব আহমেদ বাচ্চু, সদস্য একরামুল হক মিলন, হারুনুর রশীদ ভুঁইয়া, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মহিন উদ্দিন ছোটন, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেদী হাসান টিপু, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক তাজুল ইসলাম চৌধুরী স্বপন, যুবদল নেতা আজিজুল হক রাজু, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আজিজ আজমীরসহ বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।