সদর (নোয়াখালী) সংবাদদাতা :: নোয়াখালীর সুবর্ণচরে নুর জাহানকে (৫৭) পাঁচ টুকরো করে হত্যার ঘটনায় ওই মামলার পলাতক বাকি ২ আসামিকে গ্রেফতার করেছে জেলা ডিবি পুলিশ। এই দুই আসামি গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে এ মামলার সকল আসামিকে পুলিশ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে জেলা ডিবির পরিদর্শক মো. জাকির হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি আরো জানান, গ্রেফতারকৃত দুই আসামিকে ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে শুক্রবার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করলে আদালত আগামি রবিবার রিমান্ড শুনানির আদেশ দিয়ে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। সাথে সাথে এ আসামিদের রিমান্ড শুনানির সময় আদালতে হাজির করার জন্য কারা কর্তৃপক্ষকে আদেশের অনুলিপি পৌঁছানের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো, হত্যা মামলার এজাহার নামীয় ৬নং আসামি চরজব্বর ইউনিয়নের জাহাজমারা এলাকার মৃত মমিন উল্লার ছেলে মো.ইসমাইল (৩৫), মামলার ৭নং আসামি চরজব্বর ইউনিয়নের জাহাজমারা এলাকার মারফত উল্লার ছেলে মো. হামিদ (৩৪)।
এর আগে, পুলিশ এ মামলায় ৫ জনকে গ্রেফতার করে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করে। বৃহস্পতিবার দিবাগত গভীর রাতে সুবর্ণচর উপজেলার চরজব্বর এলাকা থেকে তাদের দু’জনকে আটক করা হয়।
উল্লেখ্য, নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা চরজব্বর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের নুরজাহান বেগম (৫৭) নামে এক নারীকে পাঁচ টুকরো করে হত্যার ঘটনার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। নিহতের ছেলে হুমাযুনসহ তার ৭ সহযোগী মিলে ভিকটিমকে হত্যা করে খণ্ডিত টুকরোগুলো পাওনাদারদের ধান ক্ষেতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখে।
নৃশংস রহস্যাবৃত এ হত্যার ঘটনায় প্রথমে ভিকটিমের ছেলে হুমায়ুন কবির হুমা (২৮) বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করে। মামলার সূত্র ধরে পুলিশ তদন্তে নামলে হত্যার সাথে সরাসরি সন্তানের জড়িত থাকার বিষয়টি উঠে আসে। একইসাথে তার সাথে তার ৭ সহযোগী মিলে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে নিশ্চিত হয় পুলিশ।
এর মধ্যে গ্রেফতারকৃত আসামিদের মধ্যে চারজন আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। একই সাথে আটক নিহতের ছেলের বন্ধু নিরব ও কসাই নুর ইসলামের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারালো চাপাতি, বালিশ, কোদাল, ভিকটিমের ব্যবহৃত কাপড় উদ্ধার করা হয়। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় নোয়াখালী পুলিশ সুপার অফিসে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে চট্টগ্রাম রেঞ্চের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।