সোনাইমুড়ী (নোয়াখালী) সংবাদদাতা :: নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নে জ্বর-শ্বাসকষ্টে মারা যাওয়া ইতালি প্রবাসীর (৪৫) শরীর থেকে সংগ্রহ করা নমুনা পরীক্ষা করে পজিটিভ এসেছে। এ ঘটনায় ওই প্রবাসীকে চিকিৎসাসেবা দেওয়া নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক ও তার পরিবারের সদস্যদের কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। বিশেষ লকডাউন করা হয়েছে সোনাপুর ইউনিয়ন।
এদিকে প্রবাসী ও তার পরিবার বিষয়টি গোপন রেখে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নেওয়ায় এবং বর্তমানে তার করোনা পজিটিভ আসায় এলাকার লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
শনিবার (১১ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে ওই প্রবাসীর করোনা রিপোর্ট পজিটিভের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নোয়াখালী জেলা প্রশাসক তন্ময় দাস। এর আগে, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল থেকে নিহতের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআর।
ডিসি জানান, সোনাপুর ইউনিয়নটিকে বিশেষ লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। একইসঙ্গে ওই ইউনিয়নকে প্রশাসনের কঠোর নজরদারিতে রাখা হয়েছে। নিহতের পরিবার ও স্বজন যারা তার স্পংস্পর্শে এসেছিলেন তাদের সবাইকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নিহতের এক স্বজন জানান, গত ৫ নভেম্বর ইতালি থেকে বাংলাদেশে আসেন তিনি। এরপর কয়েক দফায় তার বিদেশ ফেরত বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে তিনি ঢাকা গিয়েছিলেন। এছাড়াও ইতালি দূতাবাসে গিয়েছিল কয়েকবার। গত ১০-১২ দিন আগ থেকে তিনি সর্দি ও জ্বরে ভুগছিলেন।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী জানান, গত বুধবার বিকেলে ইতালি প্রবাসী ওই ব্যক্তির বুকে ব্যথা বলে হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছিলেন। তার শারীরিক অবস্থা দেখে তাকে প্রথমে একবার এক্সরে ও পরে আবার এক্সরে করা হয়।
এক্সরে রিপোর্ট দেখে চিকিৎসকদের সন্দেহ হলে ওই ওয়ার্ড থেকে তাকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়। তার ফুসফুস তখনই সঠিকভাবে কাজ করছিল না। তাকে রাতেই ঢাকা নেওয়ার জন্য পরমার্শ দেওয়া হলেও তার পরিবারের লোকজন বৃহস্পতিবার সকালে তাকে নিয়ে ঢাকায় রওনা হলে পথে তার মৃত্যু হয়।
তিনি আরও জানান, ওই প্রবাসীকে চিকিৎসাসেবা দেওয়া তিন চিকিৎসক, দুই নার্স ও হাসপাতালের দুইজন স্টাফকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। ৮ নম্বর ওয়ার্ডের আশপাশের সব রোগীকে নিরাপদে সরিয়ে রাখা হয়েছে।