সদর (নোয়াখালী) সংবাদদাতা :: নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে গভীর রাতে তালা ভেঙে ঘরে ঢুকে ভাংচুর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে সোনাইমুড়ি থানা পুলিশের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) নোয়াখালী প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের নিকট এই অভিযোগ করে। বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে উপজেলার চাষিরহাট ইউনিয়নের পৌরকরা গ্রামের নুরুল ইসলাম ব্যাপারী বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
অভিযোগে জানায়, পরিবারের প্রধান নিজাম উদ্দিন ব্যবসায়িক কাজে বাড়ির বাইরে বেনাপোল অবস্থান করছিলেন। ঘরে বৃদ্ধা মা, ছোট ভাইয়ের স্ত্রী ও একমাত্র ভাগ্নি ঘুমাচ্ছিল। রাত প্রায় দুইটার দিকে ঘরের সামনে কিছু লোক এসে পুলিশ পরিচয় দিয়ে দরজা খুলতে বলে। ঘরের ভেতর উত্তর দেয়, তিনজন নারী ছাড়া ঘরে কোনো পুরুষ নেই, আপনারা সকালে আসেন। এ কথা শুনে পুলিশ পরিচয়দানকারীরা অকথ্য ভাষায় গাল-মন্দ করে এবং মুহুর্ত পরে বিকট শব্দে গেটের তালা ভেঙে পাঁচজন পুলিশ ঘরে প্রবেশ করে।
তাদের মধ্যে একজন নিজেকে সোনাইমুড়ী থানার ওসি (তদন্ত) পরিচয় দিয়ে অপরজনকে এসআই উজ্জ্বল বলে ডেকে সারা ঘর সার্চ করতে নির্দেশ দেয়। এসআই উজ্জ্বল সঙ্গে থাকা সোনাইমুড়ী থানার ৩ পুলিশকে নিয়ে তাদের বেডরুমে ঢুকে ভাংচুর চালায় এবং নারীদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এসময় নারীদের ধাক্কা দিয়ে মেঝেতে ফেলে শ্লীলতাহানি করে। এ সময় বৃদ্ধা মা তার ছেলে নিজাম উদ্দিনকে মোবাইলে কল দিতে গেলে পুলিশ তার হাত থেকে মোবাইল ফোনটি নিয়ে ভেঙে ফেলে এবং অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করে।
সোনাইমুড়ী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জিসান আহমেদ জানান, ওই বাড়ির জাবেদ একটি হত্যা মামলার প্রধান সন্দেহভাজন আসামি। তার পরিবার তাকে বাঁচাতে পুলিশের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ করছে।
এ বিষয়ে থানার সোনাইমুড়ী থানার ওসি গিয়াস উদ্দিন জানান, একটি মামলার তদন্তের জন্য পুলিশ ওই বাড়িতে অভিযান চালায়। দুই ঘণ্টা ঘরের সামনে দাঁড়িয়ে থেকেও কোনো সাড়া না পেয়ে তালা ভেঙে পুলিশ ভেতরে প্রবেশ করে।